শিরোনাম :
Logo সাবেক সংসদ সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সভাপতি ছেলুন জোয়ার্দ্দার আর নেই Logo বিশ্বব্যাপী দূতাবাস বন্ধের ঘোষণা দিলো ইসরায়েল Logo ইরানে হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিল বাংলাদেশ Logo ‘কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সরবরাহের সম্ভাবনা নেই’ Logo ‘ইসরায়েল আন্তর্জাতিক নীতিমালা ভঙ্গ করেছে, বিশ্ব ঝুঁকিতে’ Logo বাংলাদেশ আর কোনো বিদেশি প্রভুর ইশারায় চলবে না: গোলাম পরওয়ার Logo ইরানে ইসরায়েলের বিমান হামলায় জামায়াতের তীব্র নিন্দা Logo যে কোনো সময় দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: আমীর খসরু Logo রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে: ড. ইউনূস Logo বাংলাদেশের মানুষের মাঝে ইসলামী গণজাগরণ সৃষ্টি হচ্ছে মাওলানা মাকসুদুর রহমান

ইসরায়েলি বসতি বন্ধে আহ্বান জাতিসংঘের!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:৩২:১৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৭৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

দখলকৃত ভূমিতে ইসরায়েলি অবৈধ বসতি নির্মাণ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
এসব বসতি নির্মাণ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং তা বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে ওই প্রস্তাবে।

প্রস্তাবটি পাস হওয়ায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করলেও, ইসরায়েল জানিয়েছে, প্রস্তাবের শর্তগুলো তারা মানবে না।
প্রথমে মিশর এই প্রস্তাবটি এনেছিল, কিন্তু এর বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করার জন্য মার্কিন হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনুরোধ করে ইসরায়েল। এরপর মিশর প্রস্তাবটি ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু পরে মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, সেনেগাল আর ভেনিজুয়েলা আবার প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদে তোলে।

১৫ সদস্য দেশের পরিষদে ১৪-০ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়, ভোট দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।
এ ধরণের ভোটাভুটিতে সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র ভেটো বা আপত্তি দিয়ে থাকে। তবে এই প্রস্তাবের ভোটের সময় দেশটি ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে।

জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সামান্থা পাওয়ার বলেছেন, প্রস্তাবের সব শব্দ বা বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয় বলে এর পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র নয়। আবার আমরা বিরুদ্ধেও দাঁড়াইনি, কারণ সমস্যার সমাধানে যে দুই দেশ নীতিতে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, এই প্রস্তাব তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

প্রস্তাবটি পাসে সন্তোষ প্রকাশ করে ফিলিস্তিনি নেতারা বলেছেন, এই প্রস্তাব আন্তর্জাতিক আইনের বড় বিজয় এবং ইসরায়েল যে উগ্র কর্মকাণ্ড করছে, সেটির প্রত্যাখ্যান করেছে বিশ্ব।

তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, ইসরায়েল এই প্রস্তাবের শর্ত মানবে না বরং এই প্রস্তাবের কার্যকারিতা ঠেকাতে তারা মার্কিন হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য অপেক্ষা করবেন।
ট্রাম্প এর মধ্যেই বলেছেন, আসছে জানুয়ারি তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর পরিস্থিতি অন্যরকম হবে।
বসতি নির্মাণের বিষয়টি ইসরায়েল -ফিলিস্তিনের মধ্যে সবচেয়ে উত্তেজনাকর বিষয় এবং শান্তি আলোচনার বড় বাধা বলে বিবেচনা করা হয়।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধে দখল করা জমিতে ১৪০টি বসতি তৈরি করেছে ইসরায়েল, যেখানে প্রায় ৫ লাখ ইহুদি বসবাস করেন।

ট্যাগস :

সাবেক সংসদ সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সভাপতি ছেলুন জোয়ার্দ্দার আর নেই

ইসরায়েলি বসতি বন্ধে আহ্বান জাতিসংঘের!

আপডেট সময় : ০৫:৩২:১৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

দখলকৃত ভূমিতে ইসরায়েলি অবৈধ বসতি নির্মাণ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
এসব বসতি নির্মাণ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং তা বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে ওই প্রস্তাবে।

প্রস্তাবটি পাস হওয়ায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করলেও, ইসরায়েল জানিয়েছে, প্রস্তাবের শর্তগুলো তারা মানবে না।
প্রথমে মিশর এই প্রস্তাবটি এনেছিল, কিন্তু এর বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করার জন্য মার্কিন হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনুরোধ করে ইসরায়েল। এরপর মিশর প্রস্তাবটি ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু পরে মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, সেনেগাল আর ভেনিজুয়েলা আবার প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদে তোলে।

১৫ সদস্য দেশের পরিষদে ১৪-০ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়, ভোট দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।
এ ধরণের ভোটাভুটিতে সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র ভেটো বা আপত্তি দিয়ে থাকে। তবে এই প্রস্তাবের ভোটের সময় দেশটি ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে।

জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সামান্থা পাওয়ার বলেছেন, প্রস্তাবের সব শব্দ বা বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয় বলে এর পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র নয়। আবার আমরা বিরুদ্ধেও দাঁড়াইনি, কারণ সমস্যার সমাধানে যে দুই দেশ নীতিতে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, এই প্রস্তাব তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

প্রস্তাবটি পাসে সন্তোষ প্রকাশ করে ফিলিস্তিনি নেতারা বলেছেন, এই প্রস্তাব আন্তর্জাতিক আইনের বড় বিজয় এবং ইসরায়েল যে উগ্র কর্মকাণ্ড করছে, সেটির প্রত্যাখ্যান করেছে বিশ্ব।

তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, ইসরায়েল এই প্রস্তাবের শর্ত মানবে না বরং এই প্রস্তাবের কার্যকারিতা ঠেকাতে তারা মার্কিন হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য অপেক্ষা করবেন।
ট্রাম্প এর মধ্যেই বলেছেন, আসছে জানুয়ারি তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর পরিস্থিতি অন্যরকম হবে।
বসতি নির্মাণের বিষয়টি ইসরায়েল -ফিলিস্তিনের মধ্যে সবচেয়ে উত্তেজনাকর বিষয় এবং শান্তি আলোচনার বড় বাধা বলে বিবেচনা করা হয়।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধে দখল করা জমিতে ১৪০টি বসতি তৈরি করেছে ইসরায়েল, যেখানে প্রায় ৫ লাখ ইহুদি বসবাস করেন।