শিরোনাম :
Logo হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ Logo কচুয়ায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর Logo চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ Logo দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার

বাবুল আক্তারের শ্বশুরের সাথে কথা বলেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:১৭:৫১ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৮১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

চাকরি থেকে অব‌্যাহতি নেওয়া পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেনকে কার্যালয়ে ডেকে মাহমুদা খানম মিতু হত্যার বিষয়ে কথা বলেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে তদন্ত কর্মকর্তার কক্ষে ঢোকেন মোশাররফ। বের হন দুপুর দুইটার দিকে।

তদন্তকারী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘মিতু হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কথা বলতে তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাকে ডেকেছিলেন। এসময় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বাবুলের সম্পৃক্ততার প্রশ্ন উঠে আসলে আমি বলেছি, ‘মিতু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বাবুলের যদি কোন সম্পৃক্ততা থাকে তাহলে অবশ্যই তা তদন্ত করা হোক। এ বিষয়ে আপনাদের কাছে কোন তথ্য থাকলে তা তদন্ত করে দেখুন। তবে শুধু বাবুল নয় অন্য কেউও যদি জড়িত থাকে তাও তদন্ত করে দেখা হোক।’

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেছিলেন, মামলা সম্পর্কে তথ্য জানতে নিহত মাহমুদা খানমের বাবাকে ডাকা হয়েছে। তার সঙ্গে কথা শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

পদোন্নতি পেয়ে এসপি হয়ে বাবুল চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে বদলি হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে গত ৫ জুন সকালে বন্দর নগরীর ওআর নিজাম রোডে সন্তানের সামনে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় তার স্ত্রী মিতুকে।

পদোন্নতির আগ পর্যন্ত বাবুল নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন।
স্ত্রী হত‌্যার পর বাবুল বাদী হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। এরপর দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় চলে যান।

হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ জঙ্গি সংশ্লিষ্টতাকে প্রাধান্য দিলেও কয়েক দিন পর তা মোড় নেয় অন্যদিকে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটা জঙ্গিকাণ্ড বলে তারা মনে করছেন না।

এর মধ‌্যে গত ২৪ জুন রাতে বাবুল আক্তারকে বনশ্রীর শ্বশুরবাড়ি থেকে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর নানা গুঞ্জন ছড়ায়।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ ইতোমধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে। দুজন পুলিশের সঙ্গে ‘কথিত বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতও হয়েছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ

বাবুল আক্তারের শ্বশুরের সাথে কথা বলেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা!

আপডেট সময় : ১১:১৭:৫১ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

চাকরি থেকে অব‌্যাহতি নেওয়া পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেনকে কার্যালয়ে ডেকে মাহমুদা খানম মিতু হত্যার বিষয়ে কথা বলেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে তদন্ত কর্মকর্তার কক্ষে ঢোকেন মোশাররফ। বের হন দুপুর দুইটার দিকে।

তদন্তকারী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘মিতু হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কথা বলতে তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাকে ডেকেছিলেন। এসময় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বাবুলের সম্পৃক্ততার প্রশ্ন উঠে আসলে আমি বলেছি, ‘মিতু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বাবুলের যদি কোন সম্পৃক্ততা থাকে তাহলে অবশ্যই তা তদন্ত করা হোক। এ বিষয়ে আপনাদের কাছে কোন তথ্য থাকলে তা তদন্ত করে দেখুন। তবে শুধু বাবুল নয় অন্য কেউও যদি জড়িত থাকে তাও তদন্ত করে দেখা হোক।’

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেছিলেন, মামলা সম্পর্কে তথ্য জানতে নিহত মাহমুদা খানমের বাবাকে ডাকা হয়েছে। তার সঙ্গে কথা শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

পদোন্নতি পেয়ে এসপি হয়ে বাবুল চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে বদলি হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে গত ৫ জুন সকালে বন্দর নগরীর ওআর নিজাম রোডে সন্তানের সামনে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় তার স্ত্রী মিতুকে।

পদোন্নতির আগ পর্যন্ত বাবুল নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন।
স্ত্রী হত‌্যার পর বাবুল বাদী হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। এরপর দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় চলে যান।

হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ জঙ্গি সংশ্লিষ্টতাকে প্রাধান্য দিলেও কয়েক দিন পর তা মোড় নেয় অন্যদিকে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটা জঙ্গিকাণ্ড বলে তারা মনে করছেন না।

এর মধ‌্যে গত ২৪ জুন রাতে বাবুল আক্তারকে বনশ্রীর শ্বশুরবাড়ি থেকে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর নানা গুঞ্জন ছড়ায়।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ ইতোমধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে। দুজন পুলিশের সঙ্গে ‘কথিত বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতও হয়েছেন।