বৃহস্পতিবার | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ Logo সাতক্ষীরা-কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo চাঁদপুর ভূঁইয়ার ঘাট ডিঙ্গি মাঝি সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি Logo তফসিল ঘোষণার পর বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান Logo চাঁদপুরে সোনালী ব্যাংকের সিবিএ নেতা আবদুস সামাদ মিয়ার ইন্তেকাল—সহকর্মীদের মাঝে গভীর শোক Logo পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পে ৪০০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অনুসন্ধানে দুদক

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:৩১:১৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৬২ বার পড়া হয়েছে

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণে অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম মাকসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও জাল জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ৭ হাজার কোটি টাকার প্রাক্কলিত প্রকল্পের ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকায় বৃদ্ধি করা, বিভিন্ন সরঞ্জামাদি স্থানীয়ভাবে ক্রয় করে বিদেশ থেকে ক্রয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, সয়েল টেস্টে অনিয়ম ও নকশা পরিবর্তন করে ৯০০ কোটি টাকা লোপাট, প্রকল্পের ৩টি বড় কাজ অন্য ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।

মো. আক্তার হোসেন আরও বলেন, অভিযোগ আছে দরপত্রে ইউরোপীয় মানের যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জামাদির উল্লেখ থাকলেও চীন ও কোরিয়ার নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জামাদি সংযোজন করা হয়। সিলিংয়ের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে (শেখ হাসিনা) খুশি করার জন্য অযৌক্তিক কাজ করে ১২ কোটি টাকা অপচয়সহ সিন্ডিকেট করে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

২০১৭ সালে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা- জাইকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। বাকি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এই নির্মাণকাজ করছে জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং। ২০২৩ সালে অক্টোবর মাসে এটির আংশিক উদ্বোধন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ

থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পে ৪০০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অনুসন্ধানে দুদক

আপডেট সময় : ০৬:৩১:১৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণে অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম মাকসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও জাল জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ৭ হাজার কোটি টাকার প্রাক্কলিত প্রকল্পের ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকায় বৃদ্ধি করা, বিভিন্ন সরঞ্জামাদি স্থানীয়ভাবে ক্রয় করে বিদেশ থেকে ক্রয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, সয়েল টেস্টে অনিয়ম ও নকশা পরিবর্তন করে ৯০০ কোটি টাকা লোপাট, প্রকল্পের ৩টি বড় কাজ অন্য ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।

মো. আক্তার হোসেন আরও বলেন, অভিযোগ আছে দরপত্রে ইউরোপীয় মানের যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জামাদির উল্লেখ থাকলেও চীন ও কোরিয়ার নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জামাদি সংযোজন করা হয়। সিলিংয়ের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে (শেখ হাসিনা) খুশি করার জন্য অযৌক্তিক কাজ করে ১২ কোটি টাকা অপচয়সহ সিন্ডিকেট করে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

২০১৭ সালে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা- জাইকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। বাকি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এই নির্মাণকাজ করছে জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং। ২০২৩ সালে অক্টোবর মাসে এটির আংশিক উদ্বোধন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।