শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা Logo “কণিকা”সংগঠনের সচেতনতা সেমিনার ও কুইজ এমইএস কলেজে অনুষ্ঠিত Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

বিশ্বজুড়ে ১৮ মাসের মধ্যে খাদ্যপণ্যের দাম সর্বোচ্চ: এফএও

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১১:৩১:১৫ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৭৫ বার পড়া হয়েছে

সারা বিশ্বে ১৮ মাসের মধ্যে খাদ্যের মূল্য সর্বোচ্চ স্তরে পৌছেছে। মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে বৈরী আবহাওয়া এবং জ্বালানির ক্রমবর্ধমান মূল্য উল্লেখ করেছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।

এফএও জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর তুলনায় অক্টোবরে মূল্য বৃদ্ধির হার ২ শতাংশ বেড়েছে। এফএও ফুড প্রাইস ইনডেক্স অক্টোবর মাসে ১২৭.৪ পয়েন্টে পৌঁছায়। এটি এপ্রিল ২০২৩-এর পর থেকে সর্বোচ্চ রেকর্ড। সংস্থাটি বলছে, গত বছরের অক্টেবরে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের যে দাম ছিল, তার তুলনায় চলতি ২০২৪ সালের অক্টোবরে তা বৃদ্ধি পেয়েছে অন্তত ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

বৈরী আবহাওয়া এবং জ্বালানির ক্রমবর্ধমান মূল্যের কারণে কৃষি উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা খাদ্য বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে।

মূল্যবৃদ্ধিতে সবচাইতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে ভোজ্য তেলে। অক্টোবর মাসে ভোজ্য তেলের মূল্য ৭.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দুবছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এছাড়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রত্যাশার চেয়ে কম উৎপাদনের কারণে পাম, সয়াবিন, সূর্যমুখী ও সরিষার তেলের মূল্য বেড়েছে।

শস্যের মূল্য ০.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রে বৈরী আবহাওয়ার কারণে এই মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। তবে, অক্টোবর ২০২৩-এর তুলনায় শস্যের মূল্য এখনও ৮.৩ শতাংশ কম।

ডেইরি এবং দুগ্ধজাত পণ্যের মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পণ্যগুলোর মূল্য ১.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২১.৪ শতাংশ বেশি। বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধির ফলে এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে বলে উল্লেখ করেছে এফএও। চিনির দাম অক্টোবর মাসে ২.৬ শতাংশ বেড়েছে। ব্রাজিলে খরার কারণে চিনির উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে। একইসঙ্গে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি চিনির দাম বৃদ্ধির একটি বড় কারণ। তবে, গত বছরের তুলনায় চিনির মূল্য এখনও ১৮.৬ শতাংশ কম।

তবে, মাংসের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। অক্টোবরে মাংসের মূল্য ০.৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অক্টোবরে মাংসের মূল্য কমলেও গত বছরের তুলনায় মাংসের মূল্য ৭.৫ শতাংশ বেশি রয়েছে। পশ্চিম ইউরোপে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু বাজারে চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বিশ্বজুড়ে ১৮ মাসের মধ্যে খাদ্যপণ্যের দাম সর্বোচ্চ: এফএও

আপডেট সময় : ১১:৩১:১৫ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

সারা বিশ্বে ১৮ মাসের মধ্যে খাদ্যের মূল্য সর্বোচ্চ স্তরে পৌছেছে। মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে বৈরী আবহাওয়া এবং জ্বালানির ক্রমবর্ধমান মূল্য উল্লেখ করেছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।

এফএও জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর তুলনায় অক্টোবরে মূল্য বৃদ্ধির হার ২ শতাংশ বেড়েছে। এফএও ফুড প্রাইস ইনডেক্স অক্টোবর মাসে ১২৭.৪ পয়েন্টে পৌঁছায়। এটি এপ্রিল ২০২৩-এর পর থেকে সর্বোচ্চ রেকর্ড। সংস্থাটি বলছে, গত বছরের অক্টেবরে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের যে দাম ছিল, তার তুলনায় চলতি ২০২৪ সালের অক্টোবরে তা বৃদ্ধি পেয়েছে অন্তত ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

বৈরী আবহাওয়া এবং জ্বালানির ক্রমবর্ধমান মূল্যের কারণে কৃষি উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা খাদ্য বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে।

মূল্যবৃদ্ধিতে সবচাইতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে ভোজ্য তেলে। অক্টোবর মাসে ভোজ্য তেলের মূল্য ৭.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দুবছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এছাড়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রত্যাশার চেয়ে কম উৎপাদনের কারণে পাম, সয়াবিন, সূর্যমুখী ও সরিষার তেলের মূল্য বেড়েছে।

শস্যের মূল্য ০.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রে বৈরী আবহাওয়ার কারণে এই মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। তবে, অক্টোবর ২০২৩-এর তুলনায় শস্যের মূল্য এখনও ৮.৩ শতাংশ কম।

ডেইরি এবং দুগ্ধজাত পণ্যের মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পণ্যগুলোর মূল্য ১.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২১.৪ শতাংশ বেশি। বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধির ফলে এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে বলে উল্লেখ করেছে এফএও। চিনির দাম অক্টোবর মাসে ২.৬ শতাংশ বেড়েছে। ব্রাজিলে খরার কারণে চিনির উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে। একইসঙ্গে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি চিনির দাম বৃদ্ধির একটি বড় কারণ। তবে, গত বছরের তুলনায় চিনির মূল্য এখনও ১৮.৬ শতাংশ কম।

তবে, মাংসের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। অক্টোবরে মাংসের মূল্য ০.৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অক্টোবরে মাংসের মূল্য কমলেও গত বছরের তুলনায় মাংসের মূল্য ৭.৫ শতাংশ বেশি রয়েছে। পশ্চিম ইউরোপে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু বাজারে চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়েছে।