শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা Logo “কণিকা”সংগঠনের সচেতনতা সেমিনার ও কুইজ এমইএস কলেজে অনুষ্ঠিত Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

দুই সপ্তাহে রিজার্ভ বেড়ে ২৬ কোটি ডলার

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:১৫:৩৫ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর- এ তিন মাসে প্রবাসী আয় বেড়েছে। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলারের চাহিদাও কমেছে।

এর প্রভাবে গত দুই সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ বেড়েছে ২৫ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, ৯ অক্টোবর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ গ্রস (মোট) রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৪৯৭ কোটি ৪৪ লাখ ডলার।

আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী নিট রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৯৮২ কোটি ৬৭ লাখ ২০ হাজার ডলার (বিপিএম-৬)। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে রয়েছে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর নিট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯৫৬ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার (বিপিএম-৬)। আর গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৪৬৭ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার।

বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে বছরে ২৩ বিলিয়ন ডলারের মতো প্রবাসী আয় আসছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর – এ তিন মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ৬৫৪ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার ডলার।

আগের দুই অর্থবছরে প্রবাসী আয় আসে যথাক্রমে দুই হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার এবং দুই হাজার ৩৯২ কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার ডলার।

এ প্রবাসী আয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে আসে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয়ের বড় অংশ নিজেদের আমদানি ব্যয় মেটানোর পর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে।

পাশাপাশি বৈদেশিক ঋণ, বৈদেশিক বিনিয়োগের অর্থ ও সহায়তার ডলার থেকেও রিজার্ভে জমা হয়। এর বাইরে রপ্তানি আয়ও রিজার্ভের উৎস। তবে রপ্তানি আয়ের ডলারের প্রায় পুরোটাই আবার কাঁচামাল আমদানিতে চলে যায়।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আগস্ট থেকে আবার প্রবাসী আয় বাড়তে থাকে। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর রিজার্ভের চাহিদা কিছুটা কমে; নিজস্ব উৎস থেকেই চাহিদা মেটাতে থাকে। একই সময়ে জ্বালানি কিনতে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকেও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে কম দ্বারস্থ হতে হয়। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার দ্রুত ক্ষরণ কমতে থাকে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

দুই সপ্তাহে রিজার্ভ বেড়ে ২৬ কোটি ডলার

আপডেট সময় : ০৮:১৫:৩৫ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর- এ তিন মাসে প্রবাসী আয় বেড়েছে। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলারের চাহিদাও কমেছে।

এর প্রভাবে গত দুই সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ বেড়েছে ২৫ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, ৯ অক্টোবর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ গ্রস (মোট) রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৪৯৭ কোটি ৪৪ লাখ ডলার।

আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী নিট রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৯৮২ কোটি ৬৭ লাখ ২০ হাজার ডলার (বিপিএম-৬)। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে রয়েছে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর নিট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯৫৬ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার (বিপিএম-৬)। আর গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৪৬৭ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার।

বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে বছরে ২৩ বিলিয়ন ডলারের মতো প্রবাসী আয় আসছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর – এ তিন মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ৬৫৪ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার ডলার।

আগের দুই অর্থবছরে প্রবাসী আয় আসে যথাক্রমে দুই হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার এবং দুই হাজার ৩৯২ কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার ডলার।

এ প্রবাসী আয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে আসে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয়ের বড় অংশ নিজেদের আমদানি ব্যয় মেটানোর পর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে।

পাশাপাশি বৈদেশিক ঋণ, বৈদেশিক বিনিয়োগের অর্থ ও সহায়তার ডলার থেকেও রিজার্ভে জমা হয়। এর বাইরে রপ্তানি আয়ও রিজার্ভের উৎস। তবে রপ্তানি আয়ের ডলারের প্রায় পুরোটাই আবার কাঁচামাল আমদানিতে চলে যায়।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আগস্ট থেকে আবার প্রবাসী আয় বাড়তে থাকে। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর রিজার্ভের চাহিদা কিছুটা কমে; নিজস্ব উৎস থেকেই চাহিদা মেটাতে থাকে। একই সময়ে জ্বালানি কিনতে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকেও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে কম দ্বারস্থ হতে হয়। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার দ্রুত ক্ষরণ কমতে থাকে।