শিরোনাম :
Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন

দুই সপ্তাহে রিজার্ভ বেড়ে ২৬ কোটি ডলার

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:১৫:৩৫ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৩৬ বার পড়া হয়েছে

আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর- এ তিন মাসে প্রবাসী আয় বেড়েছে। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলারের চাহিদাও কমেছে।

এর প্রভাবে গত দুই সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ বেড়েছে ২৫ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, ৯ অক্টোবর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ গ্রস (মোট) রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৪৯৭ কোটি ৪৪ লাখ ডলার।

আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী নিট রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৯৮২ কোটি ৬৭ লাখ ২০ হাজার ডলার (বিপিএম-৬)। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে রয়েছে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর নিট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯৫৬ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার (বিপিএম-৬)। আর গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৪৬৭ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার।

বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে বছরে ২৩ বিলিয়ন ডলারের মতো প্রবাসী আয় আসছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর – এ তিন মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ৬৫৪ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার ডলার।

আগের দুই অর্থবছরে প্রবাসী আয় আসে যথাক্রমে দুই হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার এবং দুই হাজার ৩৯২ কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার ডলার।

এ প্রবাসী আয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে আসে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয়ের বড় অংশ নিজেদের আমদানি ব্যয় মেটানোর পর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে।

পাশাপাশি বৈদেশিক ঋণ, বৈদেশিক বিনিয়োগের অর্থ ও সহায়তার ডলার থেকেও রিজার্ভে জমা হয়। এর বাইরে রপ্তানি আয়ও রিজার্ভের উৎস। তবে রপ্তানি আয়ের ডলারের প্রায় পুরোটাই আবার কাঁচামাল আমদানিতে চলে যায়।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আগস্ট থেকে আবার প্রবাসী আয় বাড়তে থাকে। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর রিজার্ভের চাহিদা কিছুটা কমে; নিজস্ব উৎস থেকেই চাহিদা মেটাতে থাকে। একই সময়ে জ্বালানি কিনতে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকেও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে কম দ্বারস্থ হতে হয়। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার দ্রুত ক্ষরণ কমতে থাকে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ

দুই সপ্তাহে রিজার্ভ বেড়ে ২৬ কোটি ডলার

আপডেট সময় : ০৮:১৫:৩৫ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর- এ তিন মাসে প্রবাসী আয় বেড়েছে। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলারের চাহিদাও কমেছে।

এর প্রভাবে গত দুই সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ বেড়েছে ২৫ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, ৯ অক্টোবর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ গ্রস (মোট) রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৪৯৭ কোটি ৪৪ লাখ ডলার।

আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী নিট রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৯৮২ কোটি ৬৭ লাখ ২০ হাজার ডলার (বিপিএম-৬)। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে রয়েছে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর নিট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯৫৬ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার (বিপিএম-৬)। আর গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৪৬৭ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার।

বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে বছরে ২৩ বিলিয়ন ডলারের মতো প্রবাসী আয় আসছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর – এ তিন মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ৬৫৪ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার ডলার।

আগের দুই অর্থবছরে প্রবাসী আয় আসে যথাক্রমে দুই হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার এবং দুই হাজার ৩৯২ কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার ডলার।

এ প্রবাসী আয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে আসে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয়ের বড় অংশ নিজেদের আমদানি ব্যয় মেটানোর পর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে।

পাশাপাশি বৈদেশিক ঋণ, বৈদেশিক বিনিয়োগের অর্থ ও সহায়তার ডলার থেকেও রিজার্ভে জমা হয়। এর বাইরে রপ্তানি আয়ও রিজার্ভের উৎস। তবে রপ্তানি আয়ের ডলারের প্রায় পুরোটাই আবার কাঁচামাল আমদানিতে চলে যায়।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আগস্ট থেকে আবার প্রবাসী আয় বাড়তে থাকে। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর রিজার্ভের চাহিদা কিছুটা কমে; নিজস্ব উৎস থেকেই চাহিদা মেটাতে থাকে। একই সময়ে জ্বালানি কিনতে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকেও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে কম দ্বারস্থ হতে হয়। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার দ্রুত ক্ষরণ কমতে থাকে।