পুলিশের বিতর্কিত কর্মকর্তা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার টাকার বিনিময়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। পাচারকারীদের সহায়তায় অবৈধভাবে তিনি লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম সীমান্ত পাড়ি দিয়েছেন বলে জানা গেছে পাটগ্রাম থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে।
গতকাল বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দহগ্রাম ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া ওলেরপাড়ার এলাকার পাচারকারী শুভ পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমারের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে বিপ্লব কুমার ভারতে প্রবেশ করেন।
পাচারকারীদের এ সংক্রান্ত কয়েকটি কথোপকথনের অডিও রেকর্ড এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।পরে এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে পাটগ্রাম ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপক পঙ্কজ কুমার মদনকে মঙ্গলবার রাতে স্থানীয়রা আটক করেন। পরে তাকে পাটগ্রাম থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। যদিও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য না পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পাটগ্রাম থানার ওসি আবু সাঈদ চৌধুরী।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকেলে পাচারকারী শুভ (৩০) রংপুরে টাকা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েন। ওই সময় রংপুরের স্থানীয় বিএনপির নেতারা মোবাইল ফোনে পাটগ্রামের তাদের দলীয় কয়েকজন নেতার সঙ্গে শুভর ব্যাপারে কথা বলেন। এ সময় শুভও তাদের কথোপকথনে যোগ দেন। কথা বলার একপর্যায়ে শুভ বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকারকে দহগ্রাম সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতে পার করে দেওয়া হয়েছে। ’
মোবাইল ফোনে কথার সূত্র ধরে আরও জানা যায়, ‘একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা পঙ্কজ ও দহগ্রামের আকছেদুল, মমিন, লম্বা শাহীন, ফারুক, রাজিব, শামীম ও মকছেদুলের সহায়তায় বিপ্লবকে সীমান্ত পার করে দেওয়া হয়। বিপ্লবকে জলঢাকা মীরগঞ্জের মিঠু, নিশাদও রুবেল পাটগ্রামে আনতে সহায়তা করে। সীমান্ত পার করার সময় দেড় লাখ টাকা নেওয়া হয়। ’
এ বিষয়ে শুভ ও তার বাবা ওসমান গণির সঙ্গে কথা বলতে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি।