রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সেতু ধ্বংস করলো ইউক্রেন

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৫:১৪ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৪
  • ৭১৯ বার পড়া হয়েছে

রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে অভিযান চালিয়েছে ইউক্রেন। অভিযান চালানোর মধ্যেই রাশিয়ার সেম নদীর ওপর অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ধ্বংস করেছে ইউক্রেন। সেনা সরবরাহের জন্য ক্রেমলিন সেতুটি ব্যবহার করতো বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।

কুরস্ক অঞ্চলে অনুপ্রবেশ অব্যাহত রেখেছে ইউক্রেন।

রুশ কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্লুশকোভো শহরের কাছে এ অভিযানে স্থানীয় জেলার কিছু অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ক্রেমলিন ওই সেতু ব্যবহার করে সেনা সরবরাহ করে আসছিল, এটি ধ্বংস হওয়ায় সেই কাজ ব্যাহত হতে পারে।

এদিকে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনীয় সেনারা কুরস্কে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করছে। সেনারা দখলকৃত অঞ্চলগুলোকে বিনিমিয় মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে পারে অর্থাৎ মস্কোর দখলে থাকা ইউক্রেনীয় অঞ্চলগুলোর সঙ্গে রুশ অঞ্চলগুলো বিনিময় করা যেতে পারে।

ইউক্রেনের এই অভিযানের ফলে এক লাখ ২০ হাজারের বেশি রুশ নাগরিক নিরাপদে স্থানে সরে গেছে। যদিও শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির একজন সিনিয়র সহযোগী মাইখাইলো পোদোলিয়াক বলেছেন, ‘ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ড দখল করতে চায় না। ’ তিনি আরও বলেছেন, ‘রাশিয়ায় তাদের অনুপ্রবেশের মূল উদ্দেশ্যগুরোর মধ্যে একটি হলো মস্কোকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করা।

গত ৬ অগাস্টে হঠাৎ করেই রাশিয়ার সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের সেনারা ঢুকে পড়ে।

সাত দিন পরেই রাশিয়ার ভূখণ্ডের এক হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখলে নেওয়ার দাবি করে দেশটি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ভূমিতে ঢুকতে সক্ষম হয়েছে ইউক্রেনের সেনারা। সূত্র: বিবিসি

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সেতু ধ্বংস করলো ইউক্রেন

আপডেট সময় : ০৩:৫৫:১৪ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৪

রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে অভিযান চালিয়েছে ইউক্রেন। অভিযান চালানোর মধ্যেই রাশিয়ার সেম নদীর ওপর অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ধ্বংস করেছে ইউক্রেন। সেনা সরবরাহের জন্য ক্রেমলিন সেতুটি ব্যবহার করতো বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।

কুরস্ক অঞ্চলে অনুপ্রবেশ অব্যাহত রেখেছে ইউক্রেন।

রুশ কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্লুশকোভো শহরের কাছে এ অভিযানে স্থানীয় জেলার কিছু অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ক্রেমলিন ওই সেতু ব্যবহার করে সেনা সরবরাহ করে আসছিল, এটি ধ্বংস হওয়ায় সেই কাজ ব্যাহত হতে পারে।

এদিকে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনীয় সেনারা কুরস্কে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করছে। সেনারা দখলকৃত অঞ্চলগুলোকে বিনিমিয় মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে পারে অর্থাৎ মস্কোর দখলে থাকা ইউক্রেনীয় অঞ্চলগুলোর সঙ্গে রুশ অঞ্চলগুলো বিনিময় করা যেতে পারে।

ইউক্রেনের এই অভিযানের ফলে এক লাখ ২০ হাজারের বেশি রুশ নাগরিক নিরাপদে স্থানে সরে গেছে। যদিও শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির একজন সিনিয়র সহযোগী মাইখাইলো পোদোলিয়াক বলেছেন, ‘ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ড দখল করতে চায় না। ’ তিনি আরও বলেছেন, ‘রাশিয়ায় তাদের অনুপ্রবেশের মূল উদ্দেশ্যগুরোর মধ্যে একটি হলো মস্কোকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করা।

গত ৬ অগাস্টে হঠাৎ করেই রাশিয়ার সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের সেনারা ঢুকে পড়ে।

সাত দিন পরেই রাশিয়ার ভূখণ্ডের এক হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখলে নেওয়ার দাবি করে দেশটি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ভূমিতে ঢুকতে সক্ষম হয়েছে ইউক্রেনের সেনারা। সূত্র: বিবিসি