সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর হোসেন জানান, গত নভেম্বর থেকে দেশটিতে সংঘাত বেড়েছে। বর্তমানে রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের আশপাশে সংঘাত চলছে।
কিছু দিন পর পর সেখানকার ভারী বিস্ফোরণের শব্দ এপারে ভেসে আসছে।
মংডু শহরের পশ্চিম সীমান্তের টেকনাফ পৌরসভা, সাবরাং ইউনিয়ন ও দক্ষিণের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে বিস্ফোরণের শব্দ বেশি শোনা যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
সাবরাং ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ শরিফ বলেন, টানা পাঁচ দিন শান্ত থাকার পর বুধবার রাত থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। সীমান্ত এলাকার মানুষ সারারাত আতঙ্কে কেটেছে।
সীমান্ত এলাকার লোকজন জানান, গত নভেম্বর থেকে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির লড়াই চলছে। সম্প্রতি মংডু টাউনশিপের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে দুটি শহরসহ বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৪টি সীমান্তচৌকি, রাচিডং-বুচিডং টাউনশিপের বেশ কয়েকটি থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। এখন মংডু শহর দখলের জন্য লড়ছে তারা।
সীমান্ত এলাকার লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, মাঝে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর সীমান্তের ওপারে আবার সংঘাত শুরু হয় গত ১৮ জুন। ওই দিনের পর থেকে টেকনাফে ক্রমাগত বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সর্বশেষ বুধবার রাত থেকে আজ সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আবারও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত তীব্রতর হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে যেকোনো অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করা হয়েছে।
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কোনো রোহিঙ্গা যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে ব্যাপারে সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা নজরদারি বাড়িয়েছে।