শিরোনাম :
Logo খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা Logo কয়রায় চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে পরিবারের সর্বস্ব লুট  Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় মামুনুর রশীদ মোল্লাকে ফুলেল শুভেচ্ছা Logo ইকসু দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর ইকসু’ Logo মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি ফোটাতে কচুয়ায় উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ Logo কচুয়ার নন্দনপুরে ৩৩০ উপকারভোগীর মাঝে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ Logo পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের পানিতে বন্যার দুর্ভোগে অর্ধশত পরিবার। Logo সাতক্ষীরা পৌরসভা ৩ নাম্বার ওয়ার্ডে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন উদ্বোধন -মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের আহ্বান Logo কচুয়ার সন্তান ইয়াসিন হোসেন ফেনী জেলার শ্রেষ্ঠ সার্ভেয়ার নির্বাচিত Logo হাতপাখা বিজয়ী হলে জনগনের বাজেটের  টাকা জনগণের উন্নয়নে খরচ হবে – মানসুর আহমদ সাকী

ইসরায়েলি হামলায় হামাস প্রধানের বোনসহ নিহত ১০

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১১:১৪:০১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ

ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যেই হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার বোনসহ ১০ স্বজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিনের শুরুতে উত্তর গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরে হানিয়ার পরিবারের বাড়িতে এ হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে।

গাজার জরুরি পরিষেবা সংস্থা এ কথাগুলো জানিয়েছে। গাজার জরুরি পরিষেবা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘বিমান হামলায় ১০ জন মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার বোন জাহরা হানিয়াও রয়েছেন। ’

এসময় বাসাল আরও বলেন, ‘কয়েকজনের মরদেহ এখনো বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে আছে। মরদেহগুলো বের করে আনার মতো সরঞ্জাম আমাদের কাছে নেই। ’ উদ্ধারকর্মীরা অন্য মরদেহগুলো গাজা নগরীর আল-আহলি হাসপাতালে নিয়ে যান বলেও জানান তিনি।

হামলার বিষয়ে জানতে বার্তাসংস্থা এএফপির পক্ষ থেকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এই ঘটনার বিষয়ে তারা অবহিত জানালেও হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।

এর আগে ঈদুল ফিতরের দিন গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় হানিয়ার তিন ছেলে ও চার নাতি-নাতনি নিহত হন। তারা গাড়িতে করে আত্মীয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন। ওই সময় হানিয়া বলেছিলেন, গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে ৬০ আত্মীয়-স্বজন হারিয়েছেন তিনি।

এদিকে রাফাসহ গাজার অন্য এলাকায়ও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গতকাল গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক তথ্যমতে, ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় ৩২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৩৯ জন। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৩৭ হাজার ৬৫৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৬ হাজারের বেশি। নিহতদের শতকরা ৫৬ ভাগ নারী ও শিশু।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা

ইসরায়েলি হামলায় হামাস প্রধানের বোনসহ নিহত ১০

আপডেট সময় : ১১:১৪:০১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ

ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যেই হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার বোনসহ ১০ স্বজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিনের শুরুতে উত্তর গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরে হানিয়ার পরিবারের বাড়িতে এ হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে।

গাজার জরুরি পরিষেবা সংস্থা এ কথাগুলো জানিয়েছে। গাজার জরুরি পরিষেবা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘বিমান হামলায় ১০ জন মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার বোন জাহরা হানিয়াও রয়েছেন। ’

এসময় বাসাল আরও বলেন, ‘কয়েকজনের মরদেহ এখনো বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে আছে। মরদেহগুলো বের করে আনার মতো সরঞ্জাম আমাদের কাছে নেই। ’ উদ্ধারকর্মীরা অন্য মরদেহগুলো গাজা নগরীর আল-আহলি হাসপাতালে নিয়ে যান বলেও জানান তিনি।

হামলার বিষয়ে জানতে বার্তাসংস্থা এএফপির পক্ষ থেকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এই ঘটনার বিষয়ে তারা অবহিত জানালেও হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।

এর আগে ঈদুল ফিতরের দিন গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় হানিয়ার তিন ছেলে ও চার নাতি-নাতনি নিহত হন। তারা গাড়িতে করে আত্মীয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন। ওই সময় হানিয়া বলেছিলেন, গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে ৬০ আত্মীয়-স্বজন হারিয়েছেন তিনি।

এদিকে রাফাসহ গাজার অন্য এলাকায়ও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গতকাল গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক তথ্যমতে, ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় ৩২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৩৯ জন। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৩৭ হাজার ৬৫৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৬ হাজারের বেশি। নিহতদের শতকরা ৫৬ ভাগ নারী ও শিশু।