নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গায় মাদকসহ আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিনজনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পৃথক অভিযানে মাদকসহ আটকের পর তাঁদেরকে এ কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের দক্ষিণ গোরস্থানপাড়ার মহিদ পাঠানের ছেলে আবুল পাঠান (৫০), মল্লিকপাড়ার মৃত জনি উদ্দিনের ছেলে আসলাম আলী (৫০) এবং বড় মসজিদপাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আসলাম উদ্দিন (৪৫)।
সাজাপ্রাপ্তদের গতকালই জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার সকাল ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ সাদিকুর রহমানের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ ও সহকারী উপপরিদর্শক আকবর হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন স্থানে মাদকবিরোধী অভিযান চালান। এসময় চুয়াডাঙ্গা শহরের দক্ষিণ গোরস্থানপাড়ায় আবুল পাঠানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১ অ্যাম্পুল ভারতীয় বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ তাকে আটক করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে আবুল পাঠানকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এদিকে, গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যদের সাথে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্নস্থানে মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। এসময় শহরের পুরাতন ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার বিএডিসির রাস্তার পাশ থেকে ৫শ’ মি.লি তাড়িসহ আসলাম আলীকে আটক করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাবিবুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আসলাম আলীকে ১৫দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১শ টাকা জরিমানা করেন।
অপরদিকে, গতকাল বিকেল ৫টার দিকে সদরের ইউএনও মুহাম্মদ সাদিকুর রহমানের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা চুয়াডাঙ্গা শহরের পুরাতন ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার বিএডিসি মোড়ে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে বড় মসজিদপাড়ার আসলাম উদ্দিনকে আটক করেন। আটককৃত আসলাম উদ্দিনের কাছ থেকে ১ অ্যাম্পুল ভারতীয় বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়। এসময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আসলাম উদ্দিনকে ৫ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২শ টাকা জরিমানা করেন। সাজাপ্রাপ্তদের গতকালই জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহযোগিতায় ছিলেন পেশকার সুবহান আলী ও আব্দুল লতিফ।