শিরোনাম :
Logo ঝটিকা মিছিলের বিষয়ে ‘মনিটরিং’ জোরদার করবে সরকার, নেবে কঠোর ব্যবস্থা : প্রেস সচিব Logo ভোলার মুহাদ্দিস নোমানী হত্যার বিচারে ইবিতে মানববন্ধন Logo নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে ছিনতাই, শঙ্কিত শিক্ষার্থীরা Logo আজকের ৪টি দ্বিতল বাসের যাত্রা নবদিগন্তের সূচনা : ইবি উপাচার্য Logo সিরাজগঞ্জে জাতীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর সদর হাসপাতালের সম্প্রসারিত পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডের উদ্বোধন Logo শেখহাসিনার ছাত্রলীগ যেই দুঃসাহস করতে পারেনি, সেই দুঃসাহস ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশে এখন ছাত্রদল করা শুরু করেছে, পঞ্চগড়ে -সারজিস Logo আশিকাটি ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায় কর্মসূচীর উদ্বোধন Logo মেধাভিত্তিক নিয়োগ হলে নিয়োগপ্রাপ্ত সকলেই দেশের সম্পদ হবে : আসিফ মাহমুদ Logo অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে হাঙরের আক্রমণে নিহত ১

ঝিনাইদহের আলোচিত হিজড়াকে খুন-ময়না তদন্ত রিপোর্ট

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৪৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৬ নভেম্বর ২০২০
  • ৭৬২ বার পড়া হয়েছে

হত্যার ৬৭ দিন পরও ধরা পড়েনি খুনিরা প্রশ্ন উঠেছে কারিশমা হিজড়ার আসল খুনি
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের আলোচিত কারিশমা হিজড়াকে খুন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এখন প্রশ্ন উঠেছে কারিশমা হিজড়ার আসল খুনি কে? আর কেনই বা তাতে খুন করা হলো ? তবে পুলিশ বলছে খুনিদের গ্রেফতার করা হলে মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করা যাবে। পুলিশ জানায় এ বছরের গত ৯ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার উদয়পুর গ্রামের নিজ ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় কারিশমা (৪০) হিজড়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কারিশমা সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মৃত সুলতান আলীর সন্তান। কথিত আত্মহত্যার ধরণ দেখে পুলিশ প্রথম থেকেই সন্দেহ করে পরিকল্পিত ভাবে কারশিমাকে খুন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর পুলিশের আশংকাই সত্য হলো। এদিকে পুলিশসহ সরকারের একাধিক টিম এই হত্যার রহস্য উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে। দতন্তের কাজ অনেক দুরে এগিয়েছেও। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই কামাল হোসেন শুক্রবার বিকালে জানান, প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকারীদের সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা পুর্নাঙ্গভাবে ডিটেক্ট করতে পারিনি। এটা নিয়ে ৪/৫টি সংস্থা একযোগে কাজ করছে। তিনি আশা করেন খুব দ্রুত ঘাতক চক্রকে ধরা যাবে। তিনি বলেন, হিজড়াদের মধ্যে দ্বন্দ, সম্পত্তি আত্মসাৎ এমনকি তৃতীয় কোন পক্ষ এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। তিনি বলেন গলায় দড়ি দিলে ঘাড়ের পেছনে দাগ থাকে না। এটা হত্যাকান্ড। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, কারশিমা হিজড়া উদয়পুর গ্রামে যখন বাড়ি তৈরী শুরু করেন, তখন একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ চাঁদা দাবী করে। এছাড়া ঝিনাইদহ ও কোটচাঁদপুরের হিজড়াদের একটি গ্রুপ তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল। এ সব মিলিয়ে কারশিমা হিজড়াকে খুব ঠান্ড মাথায় খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ মনে করছে। কারিশমার বড় ভাই নুরুন্নবী বলেন, উদয়পুর গ্রামের ওই বাড়িতে কারিশমা একাই থাকতো। সম্প্রতি অন্যত্র বাড়ি তৈরী করায় শহরের টার্মিনাল এলাকার কাজল নামের এক ব্যক্তির কাছে তিনি বাড়িটি বিক্রি করার জন্য বায়না করেন। ঘটনার দিন ওই বাড়িতে ক্রেতারা গেলে তার লাশ দেখতে পায়। বিছানায় বসা অবস্থায় ফ্যানের সাথে ঝুলে ছিল কারিশমার মৃতদেহ। সম্পতি, নগদ টাকা ও গহনার কারণে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে তার ভাই দাবী করেন। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। তবে খুনের ৬৭ দিন অতিবাহিত হলেও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঝটিকা মিছিলের বিষয়ে ‘মনিটরিং’ জোরদার করবে সরকার, নেবে কঠোর ব্যবস্থা : প্রেস সচিব

ঝিনাইদহের আলোচিত হিজড়াকে খুন-ময়না তদন্ত রিপোর্ট

আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৪৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৬ নভেম্বর ২০২০

হত্যার ৬৭ দিন পরও ধরা পড়েনি খুনিরা প্রশ্ন উঠেছে কারিশমা হিজড়ার আসল খুনি
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের আলোচিত কারিশমা হিজড়াকে খুন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এখন প্রশ্ন উঠেছে কারিশমা হিজড়ার আসল খুনি কে? আর কেনই বা তাতে খুন করা হলো ? তবে পুলিশ বলছে খুনিদের গ্রেফতার করা হলে মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করা যাবে। পুলিশ জানায় এ বছরের গত ৯ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার উদয়পুর গ্রামের নিজ ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় কারিশমা (৪০) হিজড়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কারিশমা সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মৃত সুলতান আলীর সন্তান। কথিত আত্মহত্যার ধরণ দেখে পুলিশ প্রথম থেকেই সন্দেহ করে পরিকল্পিত ভাবে কারশিমাকে খুন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর পুলিশের আশংকাই সত্য হলো। এদিকে পুলিশসহ সরকারের একাধিক টিম এই হত্যার রহস্য উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে। দতন্তের কাজ অনেক দুরে এগিয়েছেও। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই কামাল হোসেন শুক্রবার বিকালে জানান, প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকারীদের সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা পুর্নাঙ্গভাবে ডিটেক্ট করতে পারিনি। এটা নিয়ে ৪/৫টি সংস্থা একযোগে কাজ করছে। তিনি আশা করেন খুব দ্রুত ঘাতক চক্রকে ধরা যাবে। তিনি বলেন, হিজড়াদের মধ্যে দ্বন্দ, সম্পত্তি আত্মসাৎ এমনকি তৃতীয় কোন পক্ষ এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। তিনি বলেন গলায় দড়ি দিলে ঘাড়ের পেছনে দাগ থাকে না। এটা হত্যাকান্ড। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, কারশিমা হিজড়া উদয়পুর গ্রামে যখন বাড়ি তৈরী শুরু করেন, তখন একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ চাঁদা দাবী করে। এছাড়া ঝিনাইদহ ও কোটচাঁদপুরের হিজড়াদের একটি গ্রুপ তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল। এ সব মিলিয়ে কারশিমা হিজড়াকে খুব ঠান্ড মাথায় খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ মনে করছে। কারিশমার বড় ভাই নুরুন্নবী বলেন, উদয়পুর গ্রামের ওই বাড়িতে কারিশমা একাই থাকতো। সম্প্রতি অন্যত্র বাড়ি তৈরী করায় শহরের টার্মিনাল এলাকার কাজল নামের এক ব্যক্তির কাছে তিনি বাড়িটি বিক্রি করার জন্য বায়না করেন। ঘটনার দিন ওই বাড়িতে ক্রেতারা গেলে তার লাশ দেখতে পায়। বিছানায় বসা অবস্থায় ফ্যানের সাথে ঝুলে ছিল কারিশমার মৃতদেহ। সম্পতি, নগদ টাকা ও গহনার কারণে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে তার ভাই দাবী করেন। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। তবে খুনের ৬৭ দিন অতিবাহিত হলেও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি।