মঙ্গলবার | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান প্রেস সচিবের Logo মহান বিজয় দিবস আগামীকাল Logo নোবিপ্রবি ছাত্রশিবির আয়োজিত আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত Logo জামায়াতের নির্বাচনী সভায় পুলিশ সদস্যের অংশগ্রহণ, এএসআইয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা Logo মিজাফ বিজয় সম্মাননা পেলেন চিত্রনায়ক ডি এ তায়েব Logo সমাজসেবায় ৯ বছরের পথচলা: জীবনদীপের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোচনা সভা Logo চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo ঐতিহ্যবাহী খাদ্য ভান্ডার ‘বনফুল’ চাঁদপুর শাখা উদ্বোধন Logo প্রাইভেট হাসপিটাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার কমিটি গঠন সভাপতি ডাঃ মোবারক হোসেন চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক জি এম শাহীন Logo কচুয়ায় বিশেষ অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত মাদক মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার

ঝিনাইদহের আলোচিত হিজড়াকে খুন-ময়না তদন্ত রিপোর্ট

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৪৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৬ নভেম্বর ২০২০
  • ৭৭৮ বার পড়া হয়েছে

হত্যার ৬৭ দিন পরও ধরা পড়েনি খুনিরা প্রশ্ন উঠেছে কারিশমা হিজড়ার আসল খুনি
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের আলোচিত কারিশমা হিজড়াকে খুন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এখন প্রশ্ন উঠেছে কারিশমা হিজড়ার আসল খুনি কে? আর কেনই বা তাতে খুন করা হলো ? তবে পুলিশ বলছে খুনিদের গ্রেফতার করা হলে মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করা যাবে। পুলিশ জানায় এ বছরের গত ৯ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার উদয়পুর গ্রামের নিজ ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় কারিশমা (৪০) হিজড়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কারিশমা সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মৃত সুলতান আলীর সন্তান। কথিত আত্মহত্যার ধরণ দেখে পুলিশ প্রথম থেকেই সন্দেহ করে পরিকল্পিত ভাবে কারশিমাকে খুন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর পুলিশের আশংকাই সত্য হলো। এদিকে পুলিশসহ সরকারের একাধিক টিম এই হত্যার রহস্য উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে। দতন্তের কাজ অনেক দুরে এগিয়েছেও। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই কামাল হোসেন শুক্রবার বিকালে জানান, প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকারীদের সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা পুর্নাঙ্গভাবে ডিটেক্ট করতে পারিনি। এটা নিয়ে ৪/৫টি সংস্থা একযোগে কাজ করছে। তিনি আশা করেন খুব দ্রুত ঘাতক চক্রকে ধরা যাবে। তিনি বলেন, হিজড়াদের মধ্যে দ্বন্দ, সম্পত্তি আত্মসাৎ এমনকি তৃতীয় কোন পক্ষ এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। তিনি বলেন গলায় দড়ি দিলে ঘাড়ের পেছনে দাগ থাকে না। এটা হত্যাকান্ড। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, কারশিমা হিজড়া উদয়পুর গ্রামে যখন বাড়ি তৈরী শুরু করেন, তখন একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ চাঁদা দাবী করে। এছাড়া ঝিনাইদহ ও কোটচাঁদপুরের হিজড়াদের একটি গ্রুপ তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল। এ সব মিলিয়ে কারশিমা হিজড়াকে খুব ঠান্ড মাথায় খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ মনে করছে। কারিশমার বড় ভাই নুরুন্নবী বলেন, উদয়পুর গ্রামের ওই বাড়িতে কারিশমা একাই থাকতো। সম্প্রতি অন্যত্র বাড়ি তৈরী করায় শহরের টার্মিনাল এলাকার কাজল নামের এক ব্যক্তির কাছে তিনি বাড়িটি বিক্রি করার জন্য বায়না করেন। ঘটনার দিন ওই বাড়িতে ক্রেতারা গেলে তার লাশ দেখতে পায়। বিছানায় বসা অবস্থায় ফ্যানের সাথে ঝুলে ছিল কারিশমার মৃতদেহ। সম্পতি, নগদ টাকা ও গহনার কারণে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে তার ভাই দাবী করেন। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। তবে খুনের ৬৭ দিন অতিবাহিত হলেও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান প্রেস সচিবের

ঝিনাইদহের আলোচিত হিজড়াকে খুন-ময়না তদন্ত রিপোর্ট

আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৪৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৬ নভেম্বর ২০২০

হত্যার ৬৭ দিন পরও ধরা পড়েনি খুনিরা প্রশ্ন উঠেছে কারিশমা হিজড়ার আসল খুনি
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের আলোচিত কারিশমা হিজড়াকে খুন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এখন প্রশ্ন উঠেছে কারিশমা হিজড়ার আসল খুনি কে? আর কেনই বা তাতে খুন করা হলো ? তবে পুলিশ বলছে খুনিদের গ্রেফতার করা হলে মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করা যাবে। পুলিশ জানায় এ বছরের গত ৯ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার উদয়পুর গ্রামের নিজ ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় কারিশমা (৪০) হিজড়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কারিশমা সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মৃত সুলতান আলীর সন্তান। কথিত আত্মহত্যার ধরণ দেখে পুলিশ প্রথম থেকেই সন্দেহ করে পরিকল্পিত ভাবে কারশিমাকে খুন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর পুলিশের আশংকাই সত্য হলো। এদিকে পুলিশসহ সরকারের একাধিক টিম এই হত্যার রহস্য উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে। দতন্তের কাজ অনেক দুরে এগিয়েছেও। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই কামাল হোসেন শুক্রবার বিকালে জানান, প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকারীদের সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা পুর্নাঙ্গভাবে ডিটেক্ট করতে পারিনি। এটা নিয়ে ৪/৫টি সংস্থা একযোগে কাজ করছে। তিনি আশা করেন খুব দ্রুত ঘাতক চক্রকে ধরা যাবে। তিনি বলেন, হিজড়াদের মধ্যে দ্বন্দ, সম্পত্তি আত্মসাৎ এমনকি তৃতীয় কোন পক্ষ এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। তিনি বলেন গলায় দড়ি দিলে ঘাড়ের পেছনে দাগ থাকে না। এটা হত্যাকান্ড। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, কারশিমা হিজড়া উদয়পুর গ্রামে যখন বাড়ি তৈরী শুরু করেন, তখন একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ চাঁদা দাবী করে। এছাড়া ঝিনাইদহ ও কোটচাঁদপুরের হিজড়াদের একটি গ্রুপ তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল। এ সব মিলিয়ে কারশিমা হিজড়াকে খুব ঠান্ড মাথায় খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ মনে করছে। কারিশমার বড় ভাই নুরুন্নবী বলেন, উদয়পুর গ্রামের ওই বাড়িতে কারিশমা একাই থাকতো। সম্প্রতি অন্যত্র বাড়ি তৈরী করায় শহরের টার্মিনাল এলাকার কাজল নামের এক ব্যক্তির কাছে তিনি বাড়িটি বিক্রি করার জন্য বায়না করেন। ঘটনার দিন ওই বাড়িতে ক্রেতারা গেলে তার লাশ দেখতে পায়। বিছানায় বসা অবস্থায় ফ্যানের সাথে ঝুলে ছিল কারিশমার মৃতদেহ। সম্পতি, নগদ টাকা ও গহনার কারণে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে তার ভাই দাবী করেন। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। তবে খুনের ৬৭ দিন অতিবাহিত হলেও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি।