নিউজ ডেস্ক:
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ নতুন করে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারে ইসরাইল ও ইউএই সম্মত হওয়ার পর তিনি এমন আহ্বান জানালেন। প্যারিসসহ পশ্চিমা দেশের অনেক সরকার ইসরাইল ও ইউএই’র এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও ফিলিস্তিন সর্বসম্মতভাবে এর কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার পর টুইটারে ম্যাক্রোঁ বলেন, তিনি ফিলিস্তিন নেতাকে বলেছেন যে তিনি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে বদ্ধপরিকর ।
তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে একটি নিরপেক্ষ সমাধানে পৌঁছাতে ফের আলোচনা শুরু করা জরুরি।
ফরাসি নেতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেয়া এ চুক্তির এবং ইউএই’র ‘সাহসী সিদ্ধান্তের’ প্রশংসা করে বলেন, এতে বলা হয়েছে যে দুবাইয়ের ইচ্ছা ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা।
‘নতুন করে ভূমি দখল বন্ধে’ এ চুক্তি করা হয়েছে ইউএই’র এমন দাবির পর অধিকৃত পশ্চিম তীরের ব্যাপারে ইসরাইলের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন অস্পষ্ট রয়েছে।
এর আগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, তিনি ভূমি দখল কেবলমাত্র বিলম্ব করতে সম্মত হয়েছিলেন, বাতিল করতে না এবং তিনি বলেন, ‘আমাদের মাটিতে আমাদের অধিকার তিনি কখনো ত্যাগ করবেন না।’
ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়ান-ইয়েভস লি ড্রিয়ান বলেন, ভূমি দখল বন্ধ ‘অবশ্যই চূড়ান্ত পদক্ষেপ হবে। তিনি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ব্যাপারে আলোচনা শুরু করারও আহ্বান জানান।
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএফএ পরিবেশিত খবরে বলা হয়, আব্বাস রোববার ম্যাক্রোঁর সঙ্গে ইউএই’র করা ওই চুক্তির বিষয়ে কথা বলেছেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘অন্য যেকোন দেশের মতো ইউএই ফিলিস্তিনের জনগণের নামে কথা বলতে পারে না।’
সংস্থাটি জানায়, সম্পর্ক স্বাভাবিক করার অজুহাত তুলে করা এ চুক্তি ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ প্রত্যাখান করেছে।
এতে আরো বলা হয়, ম্যাক্রো ‘ফিলিস্তিনের প্রশ্ন’ নিয়ে আলোচনা করতে প্যারিসে আব্বাসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এদিকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট শর্ত সাপেক্ষে এ ধরণের আলোচনায় বসার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। আর এ বৈঠকের তারিখ দ্রুত নির্ধারণ করা হচ্ছে।
ইসরাইলের সাথে এ চুক্তির আওতায় ইহুদি এ রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষেত্রে ইউএই হচ্ছে আরব বিশ্বের তৃতীয় দেশ। এর আগে ১৯৭৯ সালে মিশর এবং ১৯৯৪ সালে জর্ডান এ ধরনের চুক্তি করেছিল।