শিরোনাম :
Logo জাবি ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা Logo দৈনিক কালের কন্ঠের সম্পাদকের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ! Logo গল্লামারী মৎস্য খামার হস্তান্তরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে খুবি শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি Logo ইবিতে হিন্দু ধর্ম অবমাননার অভিযোগে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি Logo খুবির আবাসন সংকট ও ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ নিরসনে বাধা গল্লামারী মৎস্য খামার Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল সোসাইটির সভাপতি নিতু, সাধারণ সম্পাদক রিদয় Logo ডাঃ আব্দুল হাই ফাউন্ডেশনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: ৯৩ কৃতি শিক্ষার্থীর মাঝে বৃত্তি সনদ ও নগদ সহায়তা প্রদান Logo সিরাজগঞ্জে রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার আগেই ফাটল! প্রশাসনের তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ Logo আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: জবির ফিন্যান্স ১৭তম ব্যাচের সহপাঠীদের বিবৃতি

রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়ে সব কিছু হারিয়ে উপায়ন্ত না পেয়ে ভারতের সঙ্গেই আঁতাতের চেষ্টা বিএনপির

  • আপডেট সময় : ০৩:১১:২৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৯ আগস্ট ২০২০
  • ৭৬০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়ে সব কিছু হারিয়ে উপায়ন্ত না পেয়ে এখন ভারতের সঙ্গেই গোপন আঁতাত করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনপি। তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো ভারতের আস্থা অর্জন করা।

বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে বিএনপি মনে করছে, রাজনীতি করতে হলে ভারতের আস্থাভাজন হওয়া প্রয়োজন। আর এ কারণেই ভারতের কাছে এক রকমের আত্মসমর্পণ করেছে বিএনপি। একইসঙ্গে ভারতের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ক্রীতদাস হয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হতে চাইছে তারা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের ভেতরে এরইমধ্যে বেশ কিছু অনুশাসন জারি করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ভারত বিরাগভাজন হয় এমন কোনো বক্তব্য, মন্তব্য ও বিবৃতি না দেয়া। আর বিএনপি নেতারাও তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন। যেমন কাশ্মীর ইস্যুতে বিএনপি নীরব ভূমিকা পালন করেছে।

এছাড়াও বিএনপি নেতাদের মধ্যে যারা ভারতপন্থী হিসেবে পরিচিত তাদের ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিনির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ভারত যেন বিএনপিকে বিশ্বাস করে, সেটি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুসহ আরো কয়েকজনকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির সিনিয়র ও দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, ২০০৭ সালের পটপরিবর্তনের আগে থেকেই বিএনপি থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয় ভারত।

অনেকে বলছেন, ২০০১ সালে ভারতের সঙ্গে গ্যাস বিক্রিসহ বেশ কিছু বিষয়ে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিএনপি। তবে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে বিএনপি এক রকম চুক্তি ভঙ্গ করেছে বলে মনে করে ভারতীয় কূটনৈতিক মহল। যার ফলে বিএনপিকে বিশ্বাসঘাতক মনে করে ভারত। তাই বর্তমানে বিএনপি ভারতের আস্থা অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জাবি ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা

রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়ে সব কিছু হারিয়ে উপায়ন্ত না পেয়ে ভারতের সঙ্গেই আঁতাতের চেষ্টা বিএনপির

আপডেট সময় : ০৩:১১:২৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৯ আগস্ট ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়ে সব কিছু হারিয়ে উপায়ন্ত না পেয়ে এখন ভারতের সঙ্গেই গোপন আঁতাত করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনপি। তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো ভারতের আস্থা অর্জন করা।

বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে বিএনপি মনে করছে, রাজনীতি করতে হলে ভারতের আস্থাভাজন হওয়া প্রয়োজন। আর এ কারণেই ভারতের কাছে এক রকমের আত্মসমর্পণ করেছে বিএনপি। একইসঙ্গে ভারতের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ক্রীতদাস হয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হতে চাইছে তারা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের ভেতরে এরইমধ্যে বেশ কিছু অনুশাসন জারি করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ভারত বিরাগভাজন হয় এমন কোনো বক্তব্য, মন্তব্য ও বিবৃতি না দেয়া। আর বিএনপি নেতারাও তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন। যেমন কাশ্মীর ইস্যুতে বিএনপি নীরব ভূমিকা পালন করেছে।

এছাড়াও বিএনপি নেতাদের মধ্যে যারা ভারতপন্থী হিসেবে পরিচিত তাদের ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিনির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ভারত যেন বিএনপিকে বিশ্বাস করে, সেটি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুসহ আরো কয়েকজনকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির সিনিয়র ও দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, ২০০৭ সালের পটপরিবর্তনের আগে থেকেই বিএনপি থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয় ভারত।

অনেকে বলছেন, ২০০১ সালে ভারতের সঙ্গে গ্যাস বিক্রিসহ বেশ কিছু বিষয়ে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিএনপি। তবে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে বিএনপি এক রকম চুক্তি ভঙ্গ করেছে বলে মনে করে ভারতীয় কূটনৈতিক মহল। যার ফলে বিএনপিকে বিশ্বাসঘাতক মনে করে ভারত। তাই বর্তমানে বিএনপি ভারতের আস্থা অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ