শনিবার | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo মতলব দক্ষিণ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা Logo হাদীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট ও বার্মিজ লুঙ্গিসহ ২২ জন পাচারকারী আটক Logo কচুয়ায় র‍্যাবের অভিযানে ৫ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া Logo জাতীয় ছাত্রশক্তি জাবি শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা Logo জাবিতে ইলিয়াস ও পিনাকীর কুশপুত্তলিকা দাহন Logo পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ Logo সাতক্ষীরা-কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

লক্ষ্মীপুরে ভিজিএফ’র চাল নিয়ে চেয়ারম্যানের গড়িমশি!

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১২:১২:০৫ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১২ জুন ২০১৯
  • ৭৬৬ বার পড়া হয়েছে

মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:- লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ভিজিএফ’র চাল পায়নি ৮টি ইউনিয়নের ৭টির দুস্থরা। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেলের খামখেয়লিপনায় অসহায় পরিবারগুলো এ চাল পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, আটটি ইউনিয়ন পরিষদের প্রত্যেক চেয়ারম্যানের কাছ থেকে শতকরা ২৫টি ভিজিএফ কার্ডের চাল দাবি করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। সরকারি নিয়ম পরিপন্থি এ দাবি ছিল চেয়ারম্যানের খামখেয়ালিপনা। এ কারণে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় থেকে চাল নেননি।
জানা যায়, ঈদে খাবারের অভাব মিটাতে সরকার এখানকার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার দুস্থদের জন্য ২০২.৪৫৫ মেট্টিক টন ভিজিএফ’র চাল বরাদ্ধ দিয়েছে। ওইসব ইউনিয়নের ১৩ হাজার ৪৯৭ জন কার্ডধারী দুস্থরা প্রত্যেকে ১৫ কেজি করে এ চাল পাবে।
কিন্তু ঈদের পূর্বে একটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৪ হাজার ৪৬৪টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৬৬.৯৫ মেট্টিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। কিন্ত উপজেলার পৌরসভা ও চরবাদাম ছাড়া অন্য কোনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এখনো পর্যন্ত চাল নেননি।
এদিকে, ঈদের পূর্বে পৌরসভা ও চর বাদাম ইউনিয়নে ৪ হাজার ৪৬৪টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৬৬.৯৫ মেট্টিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, মেঘনার ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে উপকূলীয় এ উপজেলার মানুষগুলো কৃষি কাজ ও নদীতে মাছ ধরেই তাদের সংসার চালায়। গত মার্চ-এপ্রিল নিষেদাজ্ঞা শেষে নদীতে নামলেও কাঙ্খিত ইলিশ ধরা পড়েনি জেলেদের জালে। তাইতো এবার ধারদেনা করে কোনরকম তাদেরকে ঈদ কাটাতে হয়েছে। ঈদের আগে ভিজিএফ’র চালগুলো পেলে ঈদটি খুশিতে কাটাতে পারতেন।
কিন্তু পাশ্ববর্তী উপজেলার দুস্থরা ভিজিএফে’র চাল পেলেও রামগতিতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় ফণির আঘাতে এ জনপদের তিন শতাধিক কাঁচা ও টিনসেট ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তাদের কাছে শতকরা ২৫টি করে নাম দাবি করেছেন। এটি সস্পূর্ণ সরকারি নিয়ম পরিপন্থি। বিগত দিনে কোনো উপজেলা চেয়ারম্যান এরকম দাবি করেননি। ঈদে দুস্থদের কষ্ট লাঘবের জন্য সরকার চাল দিলেও চেয়ারম্যানের অযৌক্তিক লোভের কারণে তা বিতরণ সম্ভব হয়নি। এতে সরকারের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে।’
রামগতি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমান উল্লাহ বলেন, ‘ভিজিএফের চালগুলো ঈদের আগেই বিতরণের কথা ছিল। কিন্তু গুদামে চাল না থাকার কারনে বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। তবে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই বাকি ইউনিয়নগুলোতে চাল বিতরণ করা হবে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি সত্য নয়। ঈদের আগে মৎস্য বিভাগের তালিকা অনুযায়ী জেলেদের চাল দিতে হয়েছে। এ কারণে দুস্থদের চাল বিতরণ করতে পারিনি। সঠিকভাবে দুস্থদের নামের তালিকা করতে বলা হয়েছে। খুব শিগগিরই চালগুলো বিতরণ করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মতলব দক্ষিণ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

লক্ষ্মীপুরে ভিজিএফ’র চাল নিয়ে চেয়ারম্যানের গড়িমশি!

আপডেট সময় : ১২:১২:০৫ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১২ জুন ২০১৯

মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:- লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ভিজিএফ’র চাল পায়নি ৮টি ইউনিয়নের ৭টির দুস্থরা। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেলের খামখেয়লিপনায় অসহায় পরিবারগুলো এ চাল পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, আটটি ইউনিয়ন পরিষদের প্রত্যেক চেয়ারম্যানের কাছ থেকে শতকরা ২৫টি ভিজিএফ কার্ডের চাল দাবি করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। সরকারি নিয়ম পরিপন্থি এ দাবি ছিল চেয়ারম্যানের খামখেয়ালিপনা। এ কারণে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় থেকে চাল নেননি।
জানা যায়, ঈদে খাবারের অভাব মিটাতে সরকার এখানকার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার দুস্থদের জন্য ২০২.৪৫৫ মেট্টিক টন ভিজিএফ’র চাল বরাদ্ধ দিয়েছে। ওইসব ইউনিয়নের ১৩ হাজার ৪৯৭ জন কার্ডধারী দুস্থরা প্রত্যেকে ১৫ কেজি করে এ চাল পাবে।
কিন্তু ঈদের পূর্বে একটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৪ হাজার ৪৬৪টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৬৬.৯৫ মেট্টিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। কিন্ত উপজেলার পৌরসভা ও চরবাদাম ছাড়া অন্য কোনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এখনো পর্যন্ত চাল নেননি।
এদিকে, ঈদের পূর্বে পৌরসভা ও চর বাদাম ইউনিয়নে ৪ হাজার ৪৬৪টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৬৬.৯৫ মেট্টিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, মেঘনার ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে উপকূলীয় এ উপজেলার মানুষগুলো কৃষি কাজ ও নদীতে মাছ ধরেই তাদের সংসার চালায়। গত মার্চ-এপ্রিল নিষেদাজ্ঞা শেষে নদীতে নামলেও কাঙ্খিত ইলিশ ধরা পড়েনি জেলেদের জালে। তাইতো এবার ধারদেনা করে কোনরকম তাদেরকে ঈদ কাটাতে হয়েছে। ঈদের আগে ভিজিএফ’র চালগুলো পেলে ঈদটি খুশিতে কাটাতে পারতেন।
কিন্তু পাশ্ববর্তী উপজেলার দুস্থরা ভিজিএফে’র চাল পেলেও রামগতিতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় ফণির আঘাতে এ জনপদের তিন শতাধিক কাঁচা ও টিনসেট ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তাদের কাছে শতকরা ২৫টি করে নাম দাবি করেছেন। এটি সস্পূর্ণ সরকারি নিয়ম পরিপন্থি। বিগত দিনে কোনো উপজেলা চেয়ারম্যান এরকম দাবি করেননি। ঈদে দুস্থদের কষ্ট লাঘবের জন্য সরকার চাল দিলেও চেয়ারম্যানের অযৌক্তিক লোভের কারণে তা বিতরণ সম্ভব হয়নি। এতে সরকারের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে।’
রামগতি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমান উল্লাহ বলেন, ‘ভিজিএফের চালগুলো ঈদের আগেই বিতরণের কথা ছিল। কিন্তু গুদামে চাল না থাকার কারনে বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। তবে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই বাকি ইউনিয়নগুলোতে চাল বিতরণ করা হবে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি সত্য নয়। ঈদের আগে মৎস্য বিভাগের তালিকা অনুযায়ী জেলেদের চাল দিতে হয়েছে। এ কারণে দুস্থদের চাল বিতরণ করতে পারিনি। সঠিকভাবে দুস্থদের নামের তালিকা করতে বলা হয়েছে। খুব শিগগিরই চালগুলো বিতরণ করা হবে।