সোমবার | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে গেছে ১১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি কর্মী, রেমিট্যান্স এসেছে ১৫,৭৯১ মিলিয়ন ডলার Logo চাঁদপুর-৩ আসনে গনফোরাম মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. সেলিম আকবরের মনোনয়ন দাখিল Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম বেপারী Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন Logo চুয়াডাঙ্গা ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে কাপছে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৬ ডিগ্রি Logo চুয়াডাঙ্গা -১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জনাব, মো: শরীফুজ্জামান শরীফ এর মনোনয়ন ফর্ম জমা Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন অ্যাড. শাহজাহান মিয়া Logo ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মতলব উত্তর উপজেলা শাখার শপথ অনুষ্ঠান Logo আসন্ন নির্বাচন আয়োজনে ‘আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত’ : প্রধান উপদেষ্টা Logo পলাশবাড়ী চৌমাথায় সৌন্দর্যহীন ফাঁকা জায়গা, নান্দনিক উন্নয়নের দাবি স্থানীয়দের

দর্শনায় পানি থেকে মাদকব্যবসায়ী উধাও!

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১১:৪৯:১৫ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৯
  • ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুরে মাদকব্যবসায়ীকে ধরতে অভিযান চালায় ৫৮ বিজিবি সদস্যরা। এসময় নিজেকে আটকের হাত থেকে বাচাতে পুকুরে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মাদকব্যবসায়ী হুমায়ুন কৌশলে পালিয়ে উধাও হয়ে যায়। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মসজিদপাড়ার দিঘপুকুর বা দিঘপাড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ঝিনাইদহের মহেশপুর ৫৮-বিজিবি’র নিয়োজিত এক এফএস সদস্য গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের সিয়ামের ছেলে চিহিৃত মাদকব্যবসায়ী হুমায়ুনকে এলাকার বিভিন্নস্থানে ঘুরতে দেখে বিজিবিকে খবর দেয়। এর কিছু পরে দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামে মসজিদপাড়া দিঘপুকুর এলাকায় মাদকব্যবসায়ী হুমায়ুনকে ঝাপ্টে ধরার চেষ্টা করেন ৫৮-বিজিবি’র ওই এফএস সদস্য। এসময় মাদকব্যবসায়ী হুমায়ুন আটক এড়াতে দিঘপুকুরের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং পালিয়ে যাওয়া চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু ওই এফএস সদস্য পুকুরপাড়ে দাড়িয়ে থাকাতে মাদকব্যবসায়ী হুমায়ুন পানিতে অবস্থান করতে থাকে। একপর্যায়ে সেখানে পৌছায় ৫৮ বিজিবির দর্শনা নিমতলা ক্যাম্পের হাবিলদার তালেবসহ সঙ্গীয় ফোর্স। এসময় নিমতলা ক্যাম্পের বিজিবির সদস্যরা মাদকব্যবসায়ী হুমায়ুনের কাছে ৪ পাতা ফেনসিডিল আছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে পানিতে থাকা মাদকব্যবসায়ীকে প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে জেরা করতে থাকে। অথচ পানিতে নেমে কিভাবে ওই মাদকব্যবসায়ীকে আটক করা যায় তেমন চেষ্টা বিজিবির সদস্যদের করতে দেখা যায়নি। পানিতে থেকেই ধড়িবাজ মাদকব্যবসায়ী হুমায়ুন বিভিন্ন প্রশ্নের দিতে থাকে এবং পালোনোর পথ খুজতে থাকে। ততক্ষনে পুকুর পাড়ে প্রায় হাজার খানেক উৎসুক জনতার ঢল নামে। কৌতুলী জনতা দেখতা থাকে মাদকব্যবসায়ী ও বিজিবির আটক-পলায়ন খেলা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, একজন চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে পুকুর থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে ধরে বিজিবির হাতে দিতে পারেনি। ধড়িবাজ ওই মাদকব্যবসায়ী যে কেমন করে যে পালিয়ে গেল? কেউ বুঝতে পারেনি। এছাড়া কয়েক ঘন্টা পানির মধ্যে রেখেই বিজিবির সদস্যরা তাকে জেরা করে। কিন্তু পানিতে নেমে বিজিবি সদস্যরা তাকে ধরার চেষ্টা করেনি। যাহোক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে কিভাবে যে কৌশলে ধড়িবাজ ওই মাদকব্যবসী পালিয়ে গেল বিজিবিসহ উপস্থিত কেউ বুঝতে পারেনি। ধড়িবাজ ওই মাদকব্যবসায়ী পালিয়ে গেলে ক্ষুব্ধ হোন হাবিলদার তালেবসহ বিজিবির সদস্যরা। এসময় বিজিবি সদস্যরা একই গ্রামের সালামতের ছেলে রায়হান রানা, হালিমের ছেলে ফিরোজ ও আজিজের স্ত্রী নেছার উপর অকারণে চড়াও হলে উপস্থিত জনতার রোষানলে পড়েন। পরে অবস্থা বেগতিক হলে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরের হস্তক্ষেপে উপস্থিত জনতার কাছে ক্ষমা চেয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন হাবিলদার তালেবসহ বিজিবি সদস্যরা।
এ ঘটনায় ৫৮-বিজিবির দর্শনা নিমতলা ক্যাম্পের হাবিলদার তালেবের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি বক্তব্য না দিয়েই টীম নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পরে দর্শনা নিমতলা বিজিবি ক্যাম্পের ইনচার্জের নিকট এবিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি জনৈক এক সাংবাদিকের নাম নিয়ে বলেন, তাকে বলে দিয়েছি, আপনারা নিউজ কইরেন না। বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে গেছে ১১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি কর্মী, রেমিট্যান্স এসেছে ১৫,৭৯১ মিলিয়ন ডলার

দর্শনায় পানি থেকে মাদকব্যবসায়ী উধাও!

আপডেট সময় : ১১:৪৯:১৫ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৯

নিউজ ডেস্ক:দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুরে মাদকব্যবসায়ীকে ধরতে অভিযান চালায় ৫৮ বিজিবি সদস্যরা। এসময় নিজেকে আটকের হাত থেকে বাচাতে পুকুরে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মাদকব্যবসায়ী হুমায়ুন কৌশলে পালিয়ে উধাও হয়ে যায়। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মসজিদপাড়ার দিঘপুকুর বা দিঘপাড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ঝিনাইদহের মহেশপুর ৫৮-বিজিবি’র নিয়োজিত এক এফএস সদস্য গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের সিয়ামের ছেলে চিহিৃত মাদকব্যবসায়ী হুমায়ুনকে এলাকার বিভিন্নস্থানে ঘুরতে দেখে বিজিবিকে খবর দেয়। এর কিছু পরে দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামে মসজিদপাড়া দিঘপুকুর এলাকায় মাদকব্যবসায়ী হুমায়ুনকে ঝাপ্টে ধরার চেষ্টা করেন ৫৮-বিজিবি’র ওই এফএস সদস্য। এসময় মাদকব্যবসায়ী হুমায়ুন আটক এড়াতে দিঘপুকুরের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং পালিয়ে যাওয়া চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু ওই এফএস সদস্য পুকুরপাড়ে দাড়িয়ে থাকাতে মাদকব্যবসায়ী হুমায়ুন পানিতে অবস্থান করতে থাকে। একপর্যায়ে সেখানে পৌছায় ৫৮ বিজিবির দর্শনা নিমতলা ক্যাম্পের হাবিলদার তালেবসহ সঙ্গীয় ফোর্স। এসময় নিমতলা ক্যাম্পের বিজিবির সদস্যরা মাদকব্যবসায়ী হুমায়ুনের কাছে ৪ পাতা ফেনসিডিল আছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে পানিতে থাকা মাদকব্যবসায়ীকে প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে জেরা করতে থাকে। অথচ পানিতে নেমে কিভাবে ওই মাদকব্যবসায়ীকে আটক করা যায় তেমন চেষ্টা বিজিবির সদস্যদের করতে দেখা যায়নি। পানিতে থেকেই ধড়িবাজ মাদকব্যবসায়ী হুমায়ুন বিভিন্ন প্রশ্নের দিতে থাকে এবং পালোনোর পথ খুজতে থাকে। ততক্ষনে পুকুর পাড়ে প্রায় হাজার খানেক উৎসুক জনতার ঢল নামে। কৌতুলী জনতা দেখতা থাকে মাদকব্যবসায়ী ও বিজিবির আটক-পলায়ন খেলা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, একজন চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে পুকুর থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে ধরে বিজিবির হাতে দিতে পারেনি। ধড়িবাজ ওই মাদকব্যবসায়ী যে কেমন করে যে পালিয়ে গেল? কেউ বুঝতে পারেনি। এছাড়া কয়েক ঘন্টা পানির মধ্যে রেখেই বিজিবির সদস্যরা তাকে জেরা করে। কিন্তু পানিতে নেমে বিজিবি সদস্যরা তাকে ধরার চেষ্টা করেনি। যাহোক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে কিভাবে যে কৌশলে ধড়িবাজ ওই মাদকব্যবসী পালিয়ে গেল বিজিবিসহ উপস্থিত কেউ বুঝতে পারেনি। ধড়িবাজ ওই মাদকব্যবসায়ী পালিয়ে গেলে ক্ষুব্ধ হোন হাবিলদার তালেবসহ বিজিবির সদস্যরা। এসময় বিজিবি সদস্যরা একই গ্রামের সালামতের ছেলে রায়হান রানা, হালিমের ছেলে ফিরোজ ও আজিজের স্ত্রী নেছার উপর অকারণে চড়াও হলে উপস্থিত জনতার রোষানলে পড়েন। পরে অবস্থা বেগতিক হলে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরের হস্তক্ষেপে উপস্থিত জনতার কাছে ক্ষমা চেয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন হাবিলদার তালেবসহ বিজিবি সদস্যরা।
এ ঘটনায় ৫৮-বিজিবির দর্শনা নিমতলা ক্যাম্পের হাবিলদার তালেবের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি বক্তব্য না দিয়েই টীম নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পরে দর্শনা নিমতলা বিজিবি ক্যাম্পের ইনচার্জের নিকট এবিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি জনৈক এক সাংবাদিকের নাম নিয়ে বলেন, তাকে বলে দিয়েছি, আপনারা নিউজ কইরেন না। বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে।