চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে জাকির সম্রাট-৩ ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুটি লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত ৪ জন যাত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক।
নিহতরা হলেন- ভোলা জেলার লালমোহন থানার সিরাজুল ব্যাপারীর ছেলে ৩৮ বছর বয়সী আব্দুল গণি, একই এলাকার মো. কালুর ছেলে ৪৫ বছর বয়সী মো. সাজু, মিলন মিয়ার স্ত্রী ও মোক্তার হোসেনের মেয়ে ৩৫ বছর বয়সী রিনা এবং চরফ্যাশন থানার আমির হোসেনের ছেলে ৬০ বছর বয়সী মো. হানিফ।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ২টা দিকে চাঁদপুর সদরের হরিনা এলাকায় মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) বাবু লাল বৈদ্য জানান, চাঁদপুর সদরের হরিনা এলাকায় মেঘনা নদীতে কুয়াশার কারণে দুটি লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। ওই সময় দুজন নিহতসহ বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। তবে লঞ্চ দুটি গন্তব্য শনাক্ত না করার কারণে নিহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ভোলার ঘোষেরহাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী এম.ভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি রাত ২টার পর হাইমচর নৌ এলাকা অতিক্রম করছিল। একই সময়ে ঢাকা থেকে বিএনপির সম্মেলনের যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলো বরিশালগামী এম.ভি অ্যাডভেঞ্চার-৯। এসময় নদীজুড়ে প্রচণ্ড ঘন কুয়াশা থাকায় দিক নির্ণয় করতে না পেরে অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি জাকির সম্রাট-৩ কে সজোরে ধাক্কা দেয়।
যাত্রীরা জানান, কুয়াশার ভেতরেও অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি বেপরোয়া গতিতে ছিল। সংঘর্ষের পর বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হলেও লঞ্চটি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। অপরদিকে দুর্ঘটনায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত জাকির সম্রাট-৩ যখন মাঝনদীতে ডুবো-ডুবো অবস্থায় ভাসছিল, তখন ভোলা থেকে ঢাকাগামী এম.ভি কর্ণফুলী-৯ নামে অপর একটি লঞ্চ দ্রুত এগিয়ে আসে। তারা অনেক যাত্রীকে উদ্ধার করে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।




















































