বায়েজিদ পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) :
গাইনান্ধার পলাশবাড়ী পৌরসভার অন্যতম ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকা চৌমাথা। প্রতিদিন হাজারো মানুষের চলাচল থাকলেও এখানেই রয়েছে দীর্ঘদিনের এক অবহেলিত চিত্র। চৌমাথায় অবস্থিত পাবলিক টয়লেটের পশ্চিম পার্শ্বে থাকা ফাঁকা জায়গাটি বছরের পর বছর ধরে কোনো পরিকল্পনা বা ব্যবহারের বাইরে পড়ে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, পৌর শহরের কেন্দ্রস্থলে এমন একটি উন্মুক্ত জায়গা থাকা সত্ত্বেও তা সৌন্দর্যবর্ধন বা জনসেবামূলক কাজে ব্যবহার না হওয়ায় পরিবেশ যেমন নান্দনিকতা হারাচ্ছে, তেমনি শহরের সামগ্রিক ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেকের মতে, এ স্থানটি অপরিকল্পিতভাবে পড়ে থাকায় ময়লা-আবর্জনা জমে পরিবেশ দূষণের আশঙ্কাও বাড়ছে।
এলাকাবাসীর দাবি, সামান্য পরিকল্পনা ও আন্তরিক উদ্যোগ নিলেই জায়গাটি চৌমাথার দৃশ্যমান সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে উঠতে পারে। সেখানে পরিকল্পিত সবুজায়ন, ফুলের বাগান, বসার বেঞ্চ, পথচারীদের জন্য বিশ্রাম কর্নার, দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা কিংবা আধুনিক
আলোকসজ্জা স্থাপন করা হলে পুরো এলাকা হয়ে উঠবে আরও প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, সৌন্দর্যবর্ধন করা হলে ক্রেতা ও পথচারীদের উপস্থিতি বাড়বে, যা ব্যবসা-বাণিজ্যেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। পাশাপাশি সন্ধ্যার পর আলোকসজ্জা থাকলে নিরাপত্তাও বাড়বে বলে মত দেন তারা।
এ বিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহল দ্রুত পলাশবাড়ী পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, নগর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ ফাঁকা জায়গাটিকে কার্যকর ও নান্দনিকভাবে ব্যবহার করা জরুরি। তাদের প্রত্যাশা, পৌরসভা শিগগিরই উদ্যোগ নিয়ে চৌমাথার এ অবহেলিত স্থানকে আধুনিক এবং সাধারণ মানুষের জন্য মনোরম ও দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
























































