রবিবার | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি সোহেল রুশদী, সাধারণ সম্পাদক এম এ লতিফ নির্বাচিত Logo বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে দেয়ালে ওসমান হাদির গ্রাফিতি  Logo পলাশবাড়ীতে দলিল লেখকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ Logo শীতার্ত মানুষের পাশে প্রশাসন: বেদে পল্লীতে কম্বল দিলেন চাঁদপুর ডিসি Logo মাদকের কুফল সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টি ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে সমাবেশ সন্তানরা কোথায় যাচ্ছে, কার সঙ্গে মিশছে—এ বিষয়ে বাবা-মাকে আরও সচেতন হতে হবে-চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোঃ নাজমুল ইসলাম সরকার Logo সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজে আগুনে একজনের মৃত্যু Logo দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক Logo শান্তর সেঞ্চুরিতে জয় দিয়ে বিপিএল শুরু রাজশাহীর Logo পলাশবাড়ীতে পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় মৃগী রোগে আক্রান্ত যুবকের মরদেহ উদ্ধার Logo মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষে নিহত ৪ যাত্রী, আহত অর্ধশতাধিক

পলাশবাড়ীতে দলিল লেখকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের এক দলিল লেখকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে দলিলের পাতা (স্টাম্প) পরিবর্তনের অভিযোগ উঠেছে। ক্রেতা ও বিক্রেতার স্বাক্ষর করা মূল পাতা সরিয়ে নতুন পাতা যুক্ত করার এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযুক্ত দলিল লেখকের নাম মাহে আলম সরকার (লাইসেন্স নং- ৩১১০)। তিনি পলাশবাড়ী সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে কর্মরত।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে পলাশবাড়ী পৌরসভার জামালপুর মৌজায় আনোয়ারুল ইসলাম ফারুকের কাছ থেকে ৩.১৪ শতাংশ জমি (রাস্তাসহ) ক্রয় করেন পীরগঞ্জ উপজেলার খেজমতপুর গ্রামের বাসিন্দা নিশাত জাহান। দলিলটি লেখার দায়িত্ব পালন করেন মাহে আলম সরকার।
দলিল সম্পাদনের সময় স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ক্রেতার স্বামী রাশিদুল ইসলাম স্বাক্ষর সংবলিত প্রতিটি পাতার ছবি তুলে রাখেন। ওই সময় তোলা ছবিতে দেখা যায়, জমিটির সাথে রাস্তার অবস্থান ও তথ্য স্পষ্ট করে উল্লেখ ছিল।
দীর্ঘদিন পর গত ২০ ডিসেম্বর মূল দলিলটি হাতে পান ক্রেতার স্বামী রাশিদুল ইসলাম। তিনি দেখেন, দলিলের ভেতরে রাস্তা সংশ্লিষ্ট তথ্যের যে পাতাটিতে তারা স্বাক্ষর করেছিলেন, বর্তমান দলিলের সেই পাতার লেখার সাথে আগের ছবির কোনো মিল নেই। অভিযোগ উঠেছে, দলিল লেখক সুকৌশলে আগের পাতাটি সরিয়ে নতুন তথ্য সংবলিত পাতা সেখানে যুক্ত করেছেন।
জমি বিক্রেতা আনোয়ারুল ইসলাম ফারুক বলেন, “আমি জমি বিক্রির সময় রাস্তার বিষয়টি দলিলে স্পষ্ট উল্লেখ করেছিলাম। কিন্তু দলিল উঠানোর পর যখন সেই দলিলের পাতাটি আমাকে  দেখানো হয় তখন দেখি সেই লেখাগুলো নেই। দলিলের পাতাটিই বদলে ফেলা হয়েছে। দলিল লেখক কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই কাজ করতে পারেন।”
ক্রেতা নিশাত জাহান বলেন, “আমার কাছে দলিল জালিয়াতির সব প্রমাণ আছে। আমি ওই দলিল লেখকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
তবে অভিযুক্ত দলিল লেখক মাহে আলম সরকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ক্রেতা ও বিক্রেতার সকল তথ্য দলিলে সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এখানে দলিলের পাতা বা কাগজ পাল্টানোর কোনো সুযোগর নেই।”
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি সোহেল রুশদী, সাধারণ সম্পাদক এম এ লতিফ নির্বাচিত

পলাশবাড়ীতে দলিল লেখকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৫:৩৪:১৪ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের এক দলিল লেখকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে দলিলের পাতা (স্টাম্প) পরিবর্তনের অভিযোগ উঠেছে। ক্রেতা ও বিক্রেতার স্বাক্ষর করা মূল পাতা সরিয়ে নতুন পাতা যুক্ত করার এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযুক্ত দলিল লেখকের নাম মাহে আলম সরকার (লাইসেন্স নং- ৩১১০)। তিনি পলাশবাড়ী সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে কর্মরত।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে পলাশবাড়ী পৌরসভার জামালপুর মৌজায় আনোয়ারুল ইসলাম ফারুকের কাছ থেকে ৩.১৪ শতাংশ জমি (রাস্তাসহ) ক্রয় করেন পীরগঞ্জ উপজেলার খেজমতপুর গ্রামের বাসিন্দা নিশাত জাহান। দলিলটি লেখার দায়িত্ব পালন করেন মাহে আলম সরকার।
দলিল সম্পাদনের সময় স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ক্রেতার স্বামী রাশিদুল ইসলাম স্বাক্ষর সংবলিত প্রতিটি পাতার ছবি তুলে রাখেন। ওই সময় তোলা ছবিতে দেখা যায়, জমিটির সাথে রাস্তার অবস্থান ও তথ্য স্পষ্ট করে উল্লেখ ছিল।
দীর্ঘদিন পর গত ২০ ডিসেম্বর মূল দলিলটি হাতে পান ক্রেতার স্বামী রাশিদুল ইসলাম। তিনি দেখেন, দলিলের ভেতরে রাস্তা সংশ্লিষ্ট তথ্যের যে পাতাটিতে তারা স্বাক্ষর করেছিলেন, বর্তমান দলিলের সেই পাতার লেখার সাথে আগের ছবির কোনো মিল নেই। অভিযোগ উঠেছে, দলিল লেখক সুকৌশলে আগের পাতাটি সরিয়ে নতুন তথ্য সংবলিত পাতা সেখানে যুক্ত করেছেন।
জমি বিক্রেতা আনোয়ারুল ইসলাম ফারুক বলেন, “আমি জমি বিক্রির সময় রাস্তার বিষয়টি দলিলে স্পষ্ট উল্লেখ করেছিলাম। কিন্তু দলিল উঠানোর পর যখন সেই দলিলের পাতাটি আমাকে  দেখানো হয় তখন দেখি সেই লেখাগুলো নেই। দলিলের পাতাটিই বদলে ফেলা হয়েছে। দলিল লেখক কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই কাজ করতে পারেন।”
ক্রেতা নিশাত জাহান বলেন, “আমার কাছে দলিল জালিয়াতির সব প্রমাণ আছে। আমি ওই দলিল লেখকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
তবে অভিযুক্ত দলিল লেখক মাহে আলম সরকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ক্রেতা ও বিক্রেতার সকল তথ্য দলিলে সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এখানে দলিলের পাতা বা কাগজ পাল্টানোর কোনো সুযোগর নেই।”
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।