প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম ডালিমের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনকরলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার নিউজ ডেস্ক:যমুনা টিভির চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম ডালিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার আব্দুর জব্বার সোনা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তার বক্তব্যে বলেন, যমুনা টিভির স্টাফ রিপোর্টার আকলাকুস সাফার নেতৃত্বে ঢাকা থেকে আসা একটি দল বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ চত্বরে ‘ভোটের হালচাল’ নিয়ে একটি লাইভ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২ নির্বাচনী এলাকার রাজনীতি নিয়ে আলোচনায় ১ নির্বাচনী আসন থেকে অংশ নেন হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী, চুয়াডাঙ্গা পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা ও জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান নাবিলা রুকসানা ছন্দা, চুয়াডাঙ্গা আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নওরোজ মোহাম্মদ সাঈদ ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য লে. কর্নেল (অবসর প্রাপ্ত) সৈয়দ কামরুজ্জামান এবং জাতীয় পার্টির চুয়াডাঙ্গা শাখার সভাপতি এ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন। ২ নির্বাচনী আসন থেকে অংশ নেন আলী আজগার টগর এমপি ও বিএনপির জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হবি। তিনি যমুনা টিভির চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম ডালিমকে এখান থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, এ প্রতিনিধি থাকলে চুয়াডাঙ্গার মানুষ কেউ যমুনা টিভি দেখবে না। যে সাংবাদিক অফিস আদালতে পাড়া মহল্লায় চাঁদাবাজী করে, সেই সাংবাদিককে রাখা মানে যমুনা টিভির ক্ষতি করা। ঢাকা থেকে আসা সাংবাদিক সাফা ও এখানকার জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম ডালিম বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্যের কাছে কি মধু খেয়েছে তিন দিনে আসা ওই সদস্যের কাছে? সে সদস্য কিছু দিন আগেও আওয়ামী লীগের ডোনার ছিলো। তার টোটাল পরিবার আওয়ামী লীগের ডোনার। নিয়ম অনুযায়ী জেলা বিএনপির আহবায়কে এ অনুষ্ঠানে ডাকতে হবে। উনি না গেলে সেখানে যাবে ১ নম্বর যুগ্ম আহবায়ক, সে না গেলে যাবে ২ নম্বর যুগ্ম আহবায়ক তিনি না গেলে সেখানে যাবে ৩ নম্বর যুগ্ম আহবায়ক অর্থাৎ আমি। আমাকে ডাকা হয়েছিল। ডালিম আমাকে ডেকেছিল। সেখানে আমাকে বসতে দেইনি। পরে আমাকে একটি চেয়ার দেওয়া হয়। সেখানে আমাকে বক্তব্য দিতে দেওয়া হয়নি। অদৃশ্য কারণে আমার থেকে জুনিয়র তিন দিনের নেতা জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য লে.কর্নেল (অবসর প্রাপ্ত) সৈয়দ কামরুজ্জামানকে বক্তব্য দিতে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম ডালিম ‘যশোর বোর্ড’ থেকে ডিগ্রি পাশের সার্টিফিকেট জমা দিয়ে যমুনা টিভিতে চাকরি নিয়েছে! যমুনা টিভি কর্তৃপক্ষকে দেখতে হবে বাংলাদেশের কোথায় কোথায় এ রকম জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধির মত কে কে চাকরি করছে। এখানকার প্রতিনিধি নির্বাচনী প্রকল্প হাতে নিয়েছে এবং বিভিন্ন ‘লাইভ’ প্রোগ্রামের নামে হাইব্রিড নেতাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে যমুনা টিভিতে দেখাচ্ছে। যমুনা টিভির ‘লাইভ’ কে এভাবেই হত্যা করা হচ্ছে। তিনি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে যমুনা টিভির চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম ডালিমের বিভিন্ন প্রকার চাঁদাবাজীর প্রতিবাদ জানিয়ে তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানান।