বুধবার | ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবস পালিত Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল Logo জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে— আন্তর্জাতিক সেমিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া

বিবস্ত্র অবস্থায় যৌনকর্মীদের সেই ৩৬ ঘণ্টা !

  • আপডেট সময় : ০২:১১:২১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ জুন ২০১৮
  • ৭৮৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে রাশিয়া। এক্ষেত্রে মাথায় রাখা হয়েছে যৌনব্যবসাও। দেশটিতে এই ব্যবসা অবৈধ হলেও বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে, গোপনে রয়েছে যৌনপল্লী। তা সেটা হোক কোনো অভিজাত এপার্টমেন্টে বা কোনো প্রত্যন্ত অঞ্চলে। দেশটিতে যৌন ব্যবসায় জড়িতের বিরাট একটি অংশ নাইজেরিয়ান।

বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে পাচারকারিরা সুবিধা নিতে চেষ্টা করতে পারে এজন্য ইতোমধ্যে নাইজেরিয়া সীমান্তে নিরাপত্তা কড়াকড়ি করেছে রাশিয়া। এরই ধারাবাহিকতায় সপ্তাহখানেক আগে পাচার বিরোধী কর্তৃপক্ষ রিপোর্ট করেছে যে, তারা রাশিয়া পাঠানোর চেষ্টাকালে ১০ নাইজেরীয় শিশুকে উদ্ধার করেছে।

রাশিয়ায় বাধ্য হয়ে যারা যৌন পেশায় নামেন তাদেন জীবনযাপন খুব কষ্টের। এছাড়া তারা নানা ধরনের সামাজিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। রাশিয়ার যৌনকর্মীদের নিয়ে যখন কথা উঠে তখন চলে আসে ২০১৬ সালের একটি ঘটনা। দুই বছর আগের এই ঘটনায় খাবার ও পোশাক ছাড়া আটকে রাখা হয় ১০ যৌনকর্মীকে।

বিদেশি গণমাধ্যমে খবর, ওই সময় কিছু পুরুষ একটি পতিতালয়ে ঢুকে ভাঙচুর করে। এরপর তারা সেখান থেকে ১০ যৌনকর্মীকে পুরো নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটিয়ে থানায় নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ স্টেশনে ওই নাীদের খাদ্য, পানি ও পোশাক ছাড়া ৩৬ ঘণ্টা আটকে রেখেছিল পুলিশ।

১৫ বছর ধরে রাশিয়ায় পতিতাবৃত্তিকে অপরাধের বাইরে রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ইরিনা মাসলোভা নামের নারী। তিনি বলেন, যেহেতু যৌনকর্ম কোনো নিয়মিত পেশা বা নিয়ন্ত্রিত পেশা নয় তাই এ জন্য এ পেশায় নিয়োজিতদের জন্য স্বাস্থ্যসেবায় ঘাটতি আছে। খদ্দেররা কনডম ব্যবহার করতে চান না। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয় না। তাই দেশের বাকি অংশের চেয়ে এ পেশায় লিপ্তদের মধ্যে এইচআইভিতে সংক্রমণের হার ১০ থেকে ১৪ গুণ বেশি। সরকারের অনুপস্থিতিতে তাদের কাছে শেষ আশ্রয় হিসেবে এগিয়ে যান কিছু স্বেচ্ছাসেবী সেবাদানকারী।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ

বিবস্ত্র অবস্থায় যৌনকর্মীদের সেই ৩৬ ঘণ্টা !

আপডেট সময় : ০২:১১:২১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ জুন ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে রাশিয়া। এক্ষেত্রে মাথায় রাখা হয়েছে যৌনব্যবসাও। দেশটিতে এই ব্যবসা অবৈধ হলেও বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে, গোপনে রয়েছে যৌনপল্লী। তা সেটা হোক কোনো অভিজাত এপার্টমেন্টে বা কোনো প্রত্যন্ত অঞ্চলে। দেশটিতে যৌন ব্যবসায় জড়িতের বিরাট একটি অংশ নাইজেরিয়ান।

বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে পাচারকারিরা সুবিধা নিতে চেষ্টা করতে পারে এজন্য ইতোমধ্যে নাইজেরিয়া সীমান্তে নিরাপত্তা কড়াকড়ি করেছে রাশিয়া। এরই ধারাবাহিকতায় সপ্তাহখানেক আগে পাচার বিরোধী কর্তৃপক্ষ রিপোর্ট করেছে যে, তারা রাশিয়া পাঠানোর চেষ্টাকালে ১০ নাইজেরীয় শিশুকে উদ্ধার করেছে।

রাশিয়ায় বাধ্য হয়ে যারা যৌন পেশায় নামেন তাদেন জীবনযাপন খুব কষ্টের। এছাড়া তারা নানা ধরনের সামাজিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। রাশিয়ার যৌনকর্মীদের নিয়ে যখন কথা উঠে তখন চলে আসে ২০১৬ সালের একটি ঘটনা। দুই বছর আগের এই ঘটনায় খাবার ও পোশাক ছাড়া আটকে রাখা হয় ১০ যৌনকর্মীকে।

বিদেশি গণমাধ্যমে খবর, ওই সময় কিছু পুরুষ একটি পতিতালয়ে ঢুকে ভাঙচুর করে। এরপর তারা সেখান থেকে ১০ যৌনকর্মীকে পুরো নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটিয়ে থানায় নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ স্টেশনে ওই নাীদের খাদ্য, পানি ও পোশাক ছাড়া ৩৬ ঘণ্টা আটকে রেখেছিল পুলিশ।

১৫ বছর ধরে রাশিয়ায় পতিতাবৃত্তিকে অপরাধের বাইরে রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ইরিনা মাসলোভা নামের নারী। তিনি বলেন, যেহেতু যৌনকর্ম কোনো নিয়মিত পেশা বা নিয়ন্ত্রিত পেশা নয় তাই এ জন্য এ পেশায় নিয়োজিতদের জন্য স্বাস্থ্যসেবায় ঘাটতি আছে। খদ্দেররা কনডম ব্যবহার করতে চান না। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয় না। তাই দেশের বাকি অংশের চেয়ে এ পেশায় লিপ্তদের মধ্যে এইচআইভিতে সংক্রমণের হার ১০ থেকে ১৪ গুণ বেশি। সরকারের অনুপস্থিতিতে তাদের কাছে শেষ আশ্রয় হিসেবে এগিয়ে যান কিছু স্বেচ্ছাসেবী সেবাদানকারী।