শিরোনাম :
Logo ১০ ঘণ্টা পর কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক ছাড়লেন অবরোধকারী শিক্ষকরা Logo জাবি ছাত্রদলের দু’গ্রুপের মধ্যে ফের বাক-বিতণ্ডা ও হাতাহাতি Logo পঞ্চগড়ের আটোয়ারী আলোয়াখোয়া ইউনিয়ন ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক বৌমা ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ Logo জামাত নেতা হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার Logo সিরাজগঞ্জে পেঁপে চাষে সাফল্যের মুখে রাসেল! Logo বীরগঞ্জে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে পোনা মাছ অবমুক্তকরন, বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা Logo বীরগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের কক্সবাজার- টেকনাফ সড়ক অবরোধ” Logo জুলাই আন্দোলন বিরোধী কার্যক্রমে ইবির ৬১ শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে শোকজ Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ উদ্বোধন

বিবস্ত্র অবস্থায় যৌনকর্মীদের সেই ৩৬ ঘণ্টা !

  • আপডেট সময় : ০২:১১:২১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ জুন ২০১৮
  • ৭৭৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে রাশিয়া। এক্ষেত্রে মাথায় রাখা হয়েছে যৌনব্যবসাও। দেশটিতে এই ব্যবসা অবৈধ হলেও বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে, গোপনে রয়েছে যৌনপল্লী। তা সেটা হোক কোনো অভিজাত এপার্টমেন্টে বা কোনো প্রত্যন্ত অঞ্চলে। দেশটিতে যৌন ব্যবসায় জড়িতের বিরাট একটি অংশ নাইজেরিয়ান।

বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে পাচারকারিরা সুবিধা নিতে চেষ্টা করতে পারে এজন্য ইতোমধ্যে নাইজেরিয়া সীমান্তে নিরাপত্তা কড়াকড়ি করেছে রাশিয়া। এরই ধারাবাহিকতায় সপ্তাহখানেক আগে পাচার বিরোধী কর্তৃপক্ষ রিপোর্ট করেছে যে, তারা রাশিয়া পাঠানোর চেষ্টাকালে ১০ নাইজেরীয় শিশুকে উদ্ধার করেছে।

রাশিয়ায় বাধ্য হয়ে যারা যৌন পেশায় নামেন তাদেন জীবনযাপন খুব কষ্টের। এছাড়া তারা নানা ধরনের সামাজিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। রাশিয়ার যৌনকর্মীদের নিয়ে যখন কথা উঠে তখন চলে আসে ২০১৬ সালের একটি ঘটনা। দুই বছর আগের এই ঘটনায় খাবার ও পোশাক ছাড়া আটকে রাখা হয় ১০ যৌনকর্মীকে।

বিদেশি গণমাধ্যমে খবর, ওই সময় কিছু পুরুষ একটি পতিতালয়ে ঢুকে ভাঙচুর করে। এরপর তারা সেখান থেকে ১০ যৌনকর্মীকে পুরো নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটিয়ে থানায় নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ স্টেশনে ওই নাীদের খাদ্য, পানি ও পোশাক ছাড়া ৩৬ ঘণ্টা আটকে রেখেছিল পুলিশ।

১৫ বছর ধরে রাশিয়ায় পতিতাবৃত্তিকে অপরাধের বাইরে রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ইরিনা মাসলোভা নামের নারী। তিনি বলেন, যেহেতু যৌনকর্ম কোনো নিয়মিত পেশা বা নিয়ন্ত্রিত পেশা নয় তাই এ জন্য এ পেশায় নিয়োজিতদের জন্য স্বাস্থ্যসেবায় ঘাটতি আছে। খদ্দেররা কনডম ব্যবহার করতে চান না। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয় না। তাই দেশের বাকি অংশের চেয়ে এ পেশায় লিপ্তদের মধ্যে এইচআইভিতে সংক্রমণের হার ১০ থেকে ১৪ গুণ বেশি। সরকারের অনুপস্থিতিতে তাদের কাছে শেষ আশ্রয় হিসেবে এগিয়ে যান কিছু স্বেচ্ছাসেবী সেবাদানকারী।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

১০ ঘণ্টা পর কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক ছাড়লেন অবরোধকারী শিক্ষকরা

বিবস্ত্র অবস্থায় যৌনকর্মীদের সেই ৩৬ ঘণ্টা !

আপডেট সময় : ০২:১১:২১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ জুন ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে রাশিয়া। এক্ষেত্রে মাথায় রাখা হয়েছে যৌনব্যবসাও। দেশটিতে এই ব্যবসা অবৈধ হলেও বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে, গোপনে রয়েছে যৌনপল্লী। তা সেটা হোক কোনো অভিজাত এপার্টমেন্টে বা কোনো প্রত্যন্ত অঞ্চলে। দেশটিতে যৌন ব্যবসায় জড়িতের বিরাট একটি অংশ নাইজেরিয়ান।

বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে পাচারকারিরা সুবিধা নিতে চেষ্টা করতে পারে এজন্য ইতোমধ্যে নাইজেরিয়া সীমান্তে নিরাপত্তা কড়াকড়ি করেছে রাশিয়া। এরই ধারাবাহিকতায় সপ্তাহখানেক আগে পাচার বিরোধী কর্তৃপক্ষ রিপোর্ট করেছে যে, তারা রাশিয়া পাঠানোর চেষ্টাকালে ১০ নাইজেরীয় শিশুকে উদ্ধার করেছে।

রাশিয়ায় বাধ্য হয়ে যারা যৌন পেশায় নামেন তাদেন জীবনযাপন খুব কষ্টের। এছাড়া তারা নানা ধরনের সামাজিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। রাশিয়ার যৌনকর্মীদের নিয়ে যখন কথা উঠে তখন চলে আসে ২০১৬ সালের একটি ঘটনা। দুই বছর আগের এই ঘটনায় খাবার ও পোশাক ছাড়া আটকে রাখা হয় ১০ যৌনকর্মীকে।

বিদেশি গণমাধ্যমে খবর, ওই সময় কিছু পুরুষ একটি পতিতালয়ে ঢুকে ভাঙচুর করে। এরপর তারা সেখান থেকে ১০ যৌনকর্মীকে পুরো নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটিয়ে থানায় নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ স্টেশনে ওই নাীদের খাদ্য, পানি ও পোশাক ছাড়া ৩৬ ঘণ্টা আটকে রেখেছিল পুলিশ।

১৫ বছর ধরে রাশিয়ায় পতিতাবৃত্তিকে অপরাধের বাইরে রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ইরিনা মাসলোভা নামের নারী। তিনি বলেন, যেহেতু যৌনকর্ম কোনো নিয়মিত পেশা বা নিয়ন্ত্রিত পেশা নয় তাই এ জন্য এ পেশায় নিয়োজিতদের জন্য স্বাস্থ্যসেবায় ঘাটতি আছে। খদ্দেররা কনডম ব্যবহার করতে চান না। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয় না। তাই দেশের বাকি অংশের চেয়ে এ পেশায় লিপ্তদের মধ্যে এইচআইভিতে সংক্রমণের হার ১০ থেকে ১৪ গুণ বেশি। সরকারের অনুপস্থিতিতে তাদের কাছে শেষ আশ্রয় হিসেবে এগিয়ে যান কিছু স্বেচ্ছাসেবী সেবাদানকারী।