সোমবার | ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে অফিসের হাটের বেদখল জায়গা উদ্ধারে জোর দাবি: আরইউটিডিপির বরাদ্দে আধুনিক স্থাপনা চায় পৌরবাসী Logo পলাশবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস আজ Logo টেকনাফে গহীন পাহাড় থেকে নারী ও শিশুসহ ৭ জন উদ্ধার, আটক-৩ Logo কয়রায় জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী  গণসংযোগ Logo ইবিতে প্রশাসনের কমিটি থেকে পদত্যাগ বিএনপিপন্থী ৩ শিক্ষকের Logo খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা প্রত্যাশায় কয়রায় বিএনপির দোয়া মাহফিল Logo পলাশবাড়ীতে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ও শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত  Logo পলাশবাড়ীতে ছাত্রলীগ কর্মীর চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে জামায়াত নেতা আহত Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারী আটক Logo নোবিপ্রবিতে শিবিরের ‘রান ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি

৩০ ধর্ষণ ও ১৫ খুনের পর যুবকের আত্মহত্যা

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৯:১২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১ মার্চ ২০১৮
  • ৭৮১ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক: এম জয়শঙ্কর। একের পরে এক ধর্ষণ করেছেন সারা জীবন। ৩৮ বছর বয়সী শঙ্করের অভিযোগের তালিকায় ৩০টি ধর্ষণ ও ১৫টি খুন। শেষ পর্যন্ত নিজের কাছেই নিজে হার মানলেন ‘সাইকো শঙ্কর’। এই নামেই তিনি পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন নিজের কুকর্মের জন্য। তার কুকর্ম নিয়ে তৈরি হয় ‘সাইকো শঙ্কর’ নামে ছবি। খবর এবেলাডটইনের।

সাইকো সিরিয়াল কিলার জয়শঙ্কর মহিলাদের প্রথমে ধর্ষণ ও পরে খুন করতেন বলে অভিযোগ। পুলিশ কনস্টেবল এম জয়ামনিকেও একইভাবে হত্যা করেন তিনি। এর পরেই ২০০৯ সালের ১৯ অক্টোবর তাকে গ্রেফতার করে ভারতের ত্রিপুরা পুলিশ।

কিন্তু তাকে আটকে রাখা যায়নি। ২০১১ সালে পুলিশের ইউনিফর্ম জোগাড় করে পালানোর রাস্তা তৈরি করে ফেলেন। সাফল্যের সঙ্গে পুলিশ সেজে কারাগার থেকে পালিয়ে যান। জেলে দায়িত্বে থাকা ১১ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। এ ঘটনা নিয়ে ২০১৭ সালে কন্নড় ভাষায় ‘সাইকো শঙ্কর’ নামে একটি সিনেমা তৈরি হয়।

জেল পালানোর পরেও কুকর্ম থামেনি। একের পরে এক ধর্ষণ ও হত্যায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে থাকে। এক পুরুষ ও এক শিশুকে হত্যারও অভিযোগ ওঠে। তবে বেশি দিন জেলের বাইরে থাকা হয়নি। ফের গ্রেফতার করে পুলিশ ২০১১ সালের ৪ মে।

জানা গেছে, কর্ণটকের সালেম জেলার বাসিন্দা জয়শঙ্কর দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। তিনি কন্নড় ছাড়াও তামিল ও হিন্দিতে কথা বলতে পারতেন।

আর জেল থেকে পালাতে পারেননি। অবেশেষে নিজেই নিজেকে মারলেন। ব্লেড দিয়ে হাত কেটে আত্মহত্যা করেন। ধারণা করা হচ্ছে, জেলে চুল-দাড়ি কাটতে আসা কর্মীর থেকেই ব্লেড জোগাড় করেন জয়শঙ্কর। রক্তাক্ত অবস্থায় ৩৮ বছরের জয়শঙ্করকে উদ্ধারের পরে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে পথেই মৃত্যু হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে অফিসের হাটের বেদখল জায়গা উদ্ধারে জোর দাবি: আরইউটিডিপির বরাদ্দে আধুনিক স্থাপনা চায় পৌরবাসী

৩০ ধর্ষণ ও ১৫ খুনের পর যুবকের আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ০৮:৩৯:১২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১ মার্চ ২০১৮

অনলাইন ডেস্ক: এম জয়শঙ্কর। একের পরে এক ধর্ষণ করেছেন সারা জীবন। ৩৮ বছর বয়সী শঙ্করের অভিযোগের তালিকায় ৩০টি ধর্ষণ ও ১৫টি খুন। শেষ পর্যন্ত নিজের কাছেই নিজে হার মানলেন ‘সাইকো শঙ্কর’। এই নামেই তিনি পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন নিজের কুকর্মের জন্য। তার কুকর্ম নিয়ে তৈরি হয় ‘সাইকো শঙ্কর’ নামে ছবি। খবর এবেলাডটইনের।

সাইকো সিরিয়াল কিলার জয়শঙ্কর মহিলাদের প্রথমে ধর্ষণ ও পরে খুন করতেন বলে অভিযোগ। পুলিশ কনস্টেবল এম জয়ামনিকেও একইভাবে হত্যা করেন তিনি। এর পরেই ২০০৯ সালের ১৯ অক্টোবর তাকে গ্রেফতার করে ভারতের ত্রিপুরা পুলিশ।

কিন্তু তাকে আটকে রাখা যায়নি। ২০১১ সালে পুলিশের ইউনিফর্ম জোগাড় করে পালানোর রাস্তা তৈরি করে ফেলেন। সাফল্যের সঙ্গে পুলিশ সেজে কারাগার থেকে পালিয়ে যান। জেলে দায়িত্বে থাকা ১১ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। এ ঘটনা নিয়ে ২০১৭ সালে কন্নড় ভাষায় ‘সাইকো শঙ্কর’ নামে একটি সিনেমা তৈরি হয়।

জেল পালানোর পরেও কুকর্ম থামেনি। একের পরে এক ধর্ষণ ও হত্যায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে থাকে। এক পুরুষ ও এক শিশুকে হত্যারও অভিযোগ ওঠে। তবে বেশি দিন জেলের বাইরে থাকা হয়নি। ফের গ্রেফতার করে পুলিশ ২০১১ সালের ৪ মে।

জানা গেছে, কর্ণটকের সালেম জেলার বাসিন্দা জয়শঙ্কর দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। তিনি কন্নড় ছাড়াও তামিল ও হিন্দিতে কথা বলতে পারতেন।

আর জেল থেকে পালাতে পারেননি। অবেশেষে নিজেই নিজেকে মারলেন। ব্লেড দিয়ে হাত কেটে আত্মহত্যা করেন। ধারণা করা হচ্ছে, জেলে চুল-দাড়ি কাটতে আসা কর্মীর থেকেই ব্লেড জোগাড় করেন জয়শঙ্কর। রক্তাক্ত অবস্থায় ৩৮ বছরের জয়শঙ্করকে উদ্ধারের পরে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে পথেই মৃত্যু হয়।