শিরোনাম :
Logo শহীদ মাহবুব আলমের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত Logo আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমি শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামাব না : শামীমা ইয়াছমিন Logo বোমা হামলায় পৃথিবীতে যত লোক মারা যায় তারচেয়ে বেশি বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় -পঞ্চগড়ে তারিকুল ইসলাম Logo বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে অভিনেত্রী Logo এশিয়া কাপের জন্য প্রাথমিক দল ঘোষণা বিসিবির Logo ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষ ফখরের Logo নাটকীয় জয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ড্র করল ভারত Logo কচুয়ার বিতারা ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিলিং ফ্যান বিতরন Logo হাতপাখার প্রার্থী মানসুর আহমদ সাকী’র সাথে পূর্ব ফতেহপুর ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় Logo আ’লীগের আরও ১১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

৩০ ধর্ষণ ও ১৫ খুনের পর যুবকের আত্মহত্যা

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৯:১২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১ মার্চ ২০১৮
  • ৭৬২ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক: এম জয়শঙ্কর। একের পরে এক ধর্ষণ করেছেন সারা জীবন। ৩৮ বছর বয়সী শঙ্করের অভিযোগের তালিকায় ৩০টি ধর্ষণ ও ১৫টি খুন। শেষ পর্যন্ত নিজের কাছেই নিজে হার মানলেন ‘সাইকো শঙ্কর’। এই নামেই তিনি পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন নিজের কুকর্মের জন্য। তার কুকর্ম নিয়ে তৈরি হয় ‘সাইকো শঙ্কর’ নামে ছবি। খবর এবেলাডটইনের।

সাইকো সিরিয়াল কিলার জয়শঙ্কর মহিলাদের প্রথমে ধর্ষণ ও পরে খুন করতেন বলে অভিযোগ। পুলিশ কনস্টেবল এম জয়ামনিকেও একইভাবে হত্যা করেন তিনি। এর পরেই ২০০৯ সালের ১৯ অক্টোবর তাকে গ্রেফতার করে ভারতের ত্রিপুরা পুলিশ।

কিন্তু তাকে আটকে রাখা যায়নি। ২০১১ সালে পুলিশের ইউনিফর্ম জোগাড় করে পালানোর রাস্তা তৈরি করে ফেলেন। সাফল্যের সঙ্গে পুলিশ সেজে কারাগার থেকে পালিয়ে যান। জেলে দায়িত্বে থাকা ১১ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। এ ঘটনা নিয়ে ২০১৭ সালে কন্নড় ভাষায় ‘সাইকো শঙ্কর’ নামে একটি সিনেমা তৈরি হয়।

জেল পালানোর পরেও কুকর্ম থামেনি। একের পরে এক ধর্ষণ ও হত্যায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে থাকে। এক পুরুষ ও এক শিশুকে হত্যারও অভিযোগ ওঠে। তবে বেশি দিন জেলের বাইরে থাকা হয়নি। ফের গ্রেফতার করে পুলিশ ২০১১ সালের ৪ মে।

জানা গেছে, কর্ণটকের সালেম জেলার বাসিন্দা জয়শঙ্কর দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। তিনি কন্নড় ছাড়াও তামিল ও হিন্দিতে কথা বলতে পারতেন।

আর জেল থেকে পালাতে পারেননি। অবেশেষে নিজেই নিজেকে মারলেন। ব্লেড দিয়ে হাত কেটে আত্মহত্যা করেন। ধারণা করা হচ্ছে, জেলে চুল-দাড়ি কাটতে আসা কর্মীর থেকেই ব্লেড জোগাড় করেন জয়শঙ্কর। রক্তাক্ত অবস্থায় ৩৮ বছরের জয়শঙ্করকে উদ্ধারের পরে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে পথেই মৃত্যু হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শহীদ মাহবুব আলমের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত

৩০ ধর্ষণ ও ১৫ খুনের পর যুবকের আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ০৮:৩৯:১২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১ মার্চ ২০১৮

অনলাইন ডেস্ক: এম জয়শঙ্কর। একের পরে এক ধর্ষণ করেছেন সারা জীবন। ৩৮ বছর বয়সী শঙ্করের অভিযোগের তালিকায় ৩০টি ধর্ষণ ও ১৫টি খুন। শেষ পর্যন্ত নিজের কাছেই নিজে হার মানলেন ‘সাইকো শঙ্কর’। এই নামেই তিনি পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন নিজের কুকর্মের জন্য। তার কুকর্ম নিয়ে তৈরি হয় ‘সাইকো শঙ্কর’ নামে ছবি। খবর এবেলাডটইনের।

সাইকো সিরিয়াল কিলার জয়শঙ্কর মহিলাদের প্রথমে ধর্ষণ ও পরে খুন করতেন বলে অভিযোগ। পুলিশ কনস্টেবল এম জয়ামনিকেও একইভাবে হত্যা করেন তিনি। এর পরেই ২০০৯ সালের ১৯ অক্টোবর তাকে গ্রেফতার করে ভারতের ত্রিপুরা পুলিশ।

কিন্তু তাকে আটকে রাখা যায়নি। ২০১১ সালে পুলিশের ইউনিফর্ম জোগাড় করে পালানোর রাস্তা তৈরি করে ফেলেন। সাফল্যের সঙ্গে পুলিশ সেজে কারাগার থেকে পালিয়ে যান। জেলে দায়িত্বে থাকা ১১ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। এ ঘটনা নিয়ে ২০১৭ সালে কন্নড় ভাষায় ‘সাইকো শঙ্কর’ নামে একটি সিনেমা তৈরি হয়।

জেল পালানোর পরেও কুকর্ম থামেনি। একের পরে এক ধর্ষণ ও হত্যায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে থাকে। এক পুরুষ ও এক শিশুকে হত্যারও অভিযোগ ওঠে। তবে বেশি দিন জেলের বাইরে থাকা হয়নি। ফের গ্রেফতার করে পুলিশ ২০১১ সালের ৪ মে।

জানা গেছে, কর্ণটকের সালেম জেলার বাসিন্দা জয়শঙ্কর দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। তিনি কন্নড় ছাড়াও তামিল ও হিন্দিতে কথা বলতে পারতেন।

আর জেল থেকে পালাতে পারেননি। অবেশেষে নিজেই নিজেকে মারলেন। ব্লেড দিয়ে হাত কেটে আত্মহত্যা করেন। ধারণা করা হচ্ছে, জেলে চুল-দাড়ি কাটতে আসা কর্মীর থেকেই ব্লেড জোগাড় করেন জয়শঙ্কর। রক্তাক্ত অবস্থায় ৩৮ বছরের জয়শঙ্করকে উদ্ধারের পরে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে পথেই মৃত্যু হয়।