শিরোনাম :
Logo বাধাগ্রস্ত করার যে চেষ্টাই হোক ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা Logo সিন্ডিকেটের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কুবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo ফিটনেসবিহীন কুবির বিআরটিসি বাসে আগুন Logo চাঁদপুরে টাইফয়েড টিকাদান কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo খুুবি উপাচার্যের সাথে হিট প্রজেক্টপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মতবিনিময় Logo চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রতিটি স্তরে সেবা গ্রহীতাদের স্বস্তি Logo নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন  Logo নারী হেনস্থা ও সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ Logo চাঁদপুর মডেল থানায় ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo ইবি’র দুই নিখোঁজ শিক্ষার্থীর সন্ধানে কমিটি পুনর্গঠন

ওজন কমানো ও স্বাস্থ্যের সেরা ব্যায়াম !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:৪৯:৩৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২১ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৭৮২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

কঠোর পরিশ্রমী ব্যায়ামের পরিবর্তে মৃদু মাত্রার ব্যায়াম ওজন কমানো ও সুস্বাস্থ্যের জন্য বেশি কার্যকরী – এমনটাই বলা হয়েছে সাম্প্রতিক একটি গবেষণার ফলাফলে।

ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব বাথ-এর বিজ্ঞানীরা গবেষণায় জানিয়েছেন, কতক্ষণের জন্য এবং কী তীব্রতার সঙ্গে মানুষের ব্যায়াম করা উচিত।
অনেকেই ব্যায়াম না করতে পারার জন্য সময়ের অভাবকে দায়ী করেন এবং অন্যরা তাদের ব্যস্ত শিডিউলের মাঝেও জিমে গিয়ে কঠোর পরিশ্রমী ব্যায়াম করে থাকেন।

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে, চাহিদাপূর্ণ কঠোর ব্যায়ামের তুলনায় মানুষের ঐতিহ্যগত কম সক্রিয় ব্যায়াম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপযুক্ত।
এক দিন বা এক সপ্তাহের মধ্যে ক্যালরি পোড়ানো ততটা ভিন্নতা আনে না, যারা চর্বি কমাতে এবং স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সহজ হালকা ব্যায়াম বেছে নিয়েছেন তাদের তুলনায়।

গবেষণার অংশ হিসেবে, ৩৮ জন মাঝারি ওজন ও অতিরিক্ত ওজনের পুরুষ এবং পোস্ট-মেনোপজাল নারীকে, যাদের গড় বয়স ৫৮ বছর, তাদেরকে সপ্তাহে ৫ দিন ব্যায়াম এবং খাদ্য ও পানীয়র মাধ্যমে ক্যালরি কমাতে বলা হয়। এর মধ্যে অর্ধেককে ট্রেডমিলে এবং বাকি অর্ধেককে মধ্য মাত্রার ব্যায়াম করতে দেওয়া হয়।

তিন সপ্তাহের আগের ও পরের পর্যবেক্ষণ সময়ের পর, অংশগ্রহণকারীদের রক্তে ইনসুলিন এবং ফ্যাট টিস্যুর বায়োপসি গ্রহণে বিস্ময়কর ফলাফল পাওয়া যায়।
দেখা গেছে, উভয় গ্রুপের একই পরিমান ওজন কমেছে, ইনসুলিন সংবেদনশীলতার উন্নতি ঘটেছে এবং বিপাকীয় স্বাস্থ্য উভয় দলের মধ্যে শনাক্ত হয়েছে- চর্বি অনুরূপ হ্রাস পেয়েছে, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং অন্যান্য একটি পরিসীমার সঙ্গে হয়েছে। উভয় দলের চর্বি কোষের অভ্যন্তরে জিনের সক্রিয়তার মধ্যেও ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে।

এই পরিবর্তনগুলোর গরিষ্ঠাংশ ব্যায়াম তীব্রতা দ্বারা অপ্রভাবিত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়টির স্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক ডিলান থম্পসন বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষার একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যে হচ্ছে, আমরা খুবই সতর্কতার সঙ্গে গ্রুপ ম্যাচ করেছি ফলে সকল অংশগ্রহণকারীরা ব্যায়ামের প্রতিটি সেশনে একই ক্যালরি প্রসারিত এবং সেই একই ক্যালরি কম খাদ্যে গ্রহণের মাধ্যমে কমানোর অভিজ্ঞতা পেয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘নতুন বছরের সিদ্ধান্ত হিসেবে আপনি যদি কঠোর ব্যায়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আমাদের গবেষণার ফলাফল আপনাকে জানাচ্ছে যে, আপনি সেই সুফল পেতে পারেন দীর্ঘ সময়ের ক্ষেত্রে কম মাত্রার ব্যায়াম করে কিংবা কম সময়ে আরো বেশি সবলে ব্যায়াম করে।’

গবেষক দলটির প্রধান ডা. জেন-ফিলিপ্পে আলহিন বলেন ‘মোট কত ক্যালরি কমানো হল সেটাই মুখ্য, যা কঠোর পরিশ্রমী ব্যায়াম না করেও কমানো যায়।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাধাগ্রস্ত করার যে চেষ্টাই হোক ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

ওজন কমানো ও স্বাস্থ্যের সেরা ব্যায়াম !

আপডেট সময় : ০১:৪৯:৩৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২১ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

কঠোর পরিশ্রমী ব্যায়ামের পরিবর্তে মৃদু মাত্রার ব্যায়াম ওজন কমানো ও সুস্বাস্থ্যের জন্য বেশি কার্যকরী – এমনটাই বলা হয়েছে সাম্প্রতিক একটি গবেষণার ফলাফলে।

ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব বাথ-এর বিজ্ঞানীরা গবেষণায় জানিয়েছেন, কতক্ষণের জন্য এবং কী তীব্রতার সঙ্গে মানুষের ব্যায়াম করা উচিত।
অনেকেই ব্যায়াম না করতে পারার জন্য সময়ের অভাবকে দায়ী করেন এবং অন্যরা তাদের ব্যস্ত শিডিউলের মাঝেও জিমে গিয়ে কঠোর পরিশ্রমী ব্যায়াম করে থাকেন।

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে, চাহিদাপূর্ণ কঠোর ব্যায়ামের তুলনায় মানুষের ঐতিহ্যগত কম সক্রিয় ব্যায়াম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপযুক্ত।
এক দিন বা এক সপ্তাহের মধ্যে ক্যালরি পোড়ানো ততটা ভিন্নতা আনে না, যারা চর্বি কমাতে এবং স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সহজ হালকা ব্যায়াম বেছে নিয়েছেন তাদের তুলনায়।

গবেষণার অংশ হিসেবে, ৩৮ জন মাঝারি ওজন ও অতিরিক্ত ওজনের পুরুষ এবং পোস্ট-মেনোপজাল নারীকে, যাদের গড় বয়স ৫৮ বছর, তাদেরকে সপ্তাহে ৫ দিন ব্যায়াম এবং খাদ্য ও পানীয়র মাধ্যমে ক্যালরি কমাতে বলা হয়। এর মধ্যে অর্ধেককে ট্রেডমিলে এবং বাকি অর্ধেককে মধ্য মাত্রার ব্যায়াম করতে দেওয়া হয়।

তিন সপ্তাহের আগের ও পরের পর্যবেক্ষণ সময়ের পর, অংশগ্রহণকারীদের রক্তে ইনসুলিন এবং ফ্যাট টিস্যুর বায়োপসি গ্রহণে বিস্ময়কর ফলাফল পাওয়া যায়।
দেখা গেছে, উভয় গ্রুপের একই পরিমান ওজন কমেছে, ইনসুলিন সংবেদনশীলতার উন্নতি ঘটেছে এবং বিপাকীয় স্বাস্থ্য উভয় দলের মধ্যে শনাক্ত হয়েছে- চর্বি অনুরূপ হ্রাস পেয়েছে, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং অন্যান্য একটি পরিসীমার সঙ্গে হয়েছে। উভয় দলের চর্বি কোষের অভ্যন্তরে জিনের সক্রিয়তার মধ্যেও ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে।

এই পরিবর্তনগুলোর গরিষ্ঠাংশ ব্যায়াম তীব্রতা দ্বারা অপ্রভাবিত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়টির স্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক ডিলান থম্পসন বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষার একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যে হচ্ছে, আমরা খুবই সতর্কতার সঙ্গে গ্রুপ ম্যাচ করেছি ফলে সকল অংশগ্রহণকারীরা ব্যায়ামের প্রতিটি সেশনে একই ক্যালরি প্রসারিত এবং সেই একই ক্যালরি কম খাদ্যে গ্রহণের মাধ্যমে কমানোর অভিজ্ঞতা পেয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘নতুন বছরের সিদ্ধান্ত হিসেবে আপনি যদি কঠোর ব্যায়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আমাদের গবেষণার ফলাফল আপনাকে জানাচ্ছে যে, আপনি সেই সুফল পেতে পারেন দীর্ঘ সময়ের ক্ষেত্রে কম মাত্রার ব্যায়াম করে কিংবা কম সময়ে আরো বেশি সবলে ব্যায়াম করে।’

গবেষক দলটির প্রধান ডা. জেন-ফিলিপ্পে আলহিন বলেন ‘মোট কত ক্যালরি কমানো হল সেটাই মুখ্য, যা কঠোর পরিশ্রমী ব্যায়াম না করেও কমানো যায়।’