নিউজ ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গা থেকে ছেড়ে যাওয়া রয়েল এক্সপ্রেসে যাত্রী ধর্ষণ অপচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। গতরাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে চলন্ত গাড়ির মধ্যে ঢাকাগামী যুবতীকে ধর্ষণের অপচেষ্টা চালায় সুপারভাইজার লিংকন। যুবতীর চিৎকারে অন্যান্য যাত্রীরা ছুটে গিয়ে তাকে রক্ষা করলেও পালিয়েছে চুয়াডাঙ্গার রামনগর-গোপালপুর গ্রামের লম্পট সুপারভাইজার লিংকন ওরফে মিল্টন। গতরাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া থেকে ঢাকার উদ্যেশ্যে যাত্রা শুরু করে রয়েল এক্সপ্রেস। চুয়াডাঙ্গা রেলবাজার থেকে ওই নৈশকোচে ওঠেন এক যুবতী। রেলবাজার থেকে দুজন ওই যুবতীকে গাড়িতে তুলে দেয়। পথিমধ্যে রয়েল এক্সপ্রেস পাটুরিয়া ঘাটে পৌছানোর আগ মুহূর্তে ওই যুবতীর পোষাক খুলে ধর্ষণের অপচেষ্টা চালায় সুপারভাইজার লিংকন। যুবতীর আসন নৈশকোচের পিছনের দিকে হওয়ায় তার পোষাকের অধিকাংশ খুলে ফেলে সে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুম থেকে উঠে চিৎকার দেয় যুবতী। তার চিৎকারে অন্য যাত্রীরা ছুটে এসে যুবতীকে উদ্ধার করে। এসময় উত্তেজিত যাত্রীরা লম্পট সুপারভাইজার লিংকনের শাস্তি দাবী করে ফুসে ওঠে। তখন অভিযোগটি রয়েল এক্সপ্রেসের কার্যালয়ে জানানো হবে বলে উত্তেজিত যাত্রীদের শান্ত করেন বাসের হেলপার। পরে ফেরী পার হয়ে নবীনগর পৌছুলে পালিয়ে যায় লম্পট লিংকন। নবীনগর সড়কে গতিরোধকের কাছে চালক গাড়ির গতি কম করলে দরজা খুলে দেয় হেলপার। ওই সুযোগে পালিয়ে যায় লম্পট সুপারভাইজার লিংকন। এঘটনায় ফুঁসে ওঠেন যাত্রীরা। অভিযুক্ত লম্পট সুপারভাইজার লিংকনের বিচার দাবী করেছেন তারা।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোলিয়া থেকে ঢাকা রোডে চলাচলকারী নৈশকোচ রয়েল এক্সপ্রেস (ঢাকা মেট্রো-ব-৬৮৪১) গতরাত ৮টার দিকে ঢাকা উদ্যেশ্যে ছেড়ে যায়। পথিমধ্যে চুয়াডাঙ্গা শহরের রেলবাজার সদর ফাঁড়ির সামনে থেকে ২০/২২ বছরের একটি সুন্দরী যুবতী ঢাকা যাওয়ার জন্য রয়েল পরিবহনে উঠে। গাড়ীর সুপারভাইজার রামনগর গোপালপুরের লিংকন ওরফে মিল্টন বাসের পিছনের দিকে সুন্দরী ওই যুবতীর সিটে বসিয়ে দেয়। অন্যন্য যাত্রীদের মতো ওই যুবতীও ছিলেন ঘুমিয়ে। এরপর রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে পাটুরিয়া ফেরীঘাট পৌছানোর আগ মুহূর্তে চলন্ত গাড়ীতে ঘুমন্ত ওই যুবতীর শরীরের পোষাক খুলে দেয় সুপারভাইজার লিংকন। এসময় যুবতীকে ধর্ষণ করতে গেলে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। তখন মেয়েটির চিৎকার শুরু করলে গাড়ীর অন্যন্য ঘুমন্ত যাত্রীরা বিষয়টি টের পেয়ে সুপারভাইজারকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। গাড়ীর উত্তেজিত যাত্রীরা তাকে হালকা গনধোলাইয়ের চেষ্টা করলে হেলপার বাধা দেয় এবং গাড়ী ঘাট পার হলে নবীননগরে পৌছুলে চালক গতি কমিয়ে দিলে হেলপার দরজা খুলে দেয়। ওই সুযোগে তখন ধর্ষণ চেষ্টাকারী লম্পট সুপাইভাইজার লিংকন পালিয়ে যায়। এসময় যাত্রীরা তাকে ধরার চেষ্টা করলে সে দ’জন যাত্রীকে লাথি ও কিল ঘুষি মেরে পালিয়ে যায়। এবিষয়ে গাড়ীতে থাকা যাত্রীরা জানায়, রয়েল পরিবহনে আমাদের মা, বোন এমনকি সন্তানরা নিরাপদ নয়। আমরা এই সুপারভাইজারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। মেয়েটির সাথে এই প্রতিবেদক কথা বলার চেষ্টা করলে মেয়েটি কথা বলতে পারেনি। শুধু অঝোর ধারায় কেঁেদছে। এবিষয়ে গাড়ী চালক জানান, আমি বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে রয়েল পরিবহনের ঢাকা অফিসে জানিয়েছি।