ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সালাউদ্দীন বুলবুল সিডলের বাড়ীসহ পৌরশহরে দুটি বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। মঙ্গলবার দিনগত গভীর রাতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তবে আশ পাশের লোকজন টের পেয়ে যাওয়ায় ডাকাতরা এ কাজে খুবটা সুবিধা করতে পারিনী। সাবেক মেয়র সালাউদ্দীন বুলবুল জানান, গভীর রাতে ডাকাতরা তার বাড়ীর দুই তলায় পাইপ বেয়ে উঠে রান্না ঘরের গ্রীল কেটে দু’টি ঘরে প্রবেশ করে। ঘরের আলমারী ভেঙ্গে সব কিছু উলোট পালট করে টাকা বা স্বর্ণ কোন কিছু না পেয়ে তারা চলে যায়। সাবেক মেয়র সিডল বলেন, ওই দুটি ঘরে কেউ না থাকায় টাকা পয়সা বা স্বর্ণলোঙ্কার রাখা হয় না। বাকী রুম গুলোতে ডাকাতরা ডুকার চেষ্টা করেও পারেনি। ফলে ডাকাত দল এখান থেকে ব্যার্থ হয়ে প্রতিবেশী ফারুকের বাড়ীতে ডাকাতি করে দ্রুত চলে যায়। পাশের বাড়িতে চিল্লা চিল্লিতে আসপাশের লোকজন ছুটে আসে।
তখন তিনি বুঝতে পারেন এ ডাকাত দল তার বাড়ীতে হানা দিয়ে ছিলো। ডাকাতি হওয়া বাড়ির মালিক ফারুক হোসের জানান, রাতে তিনি বাড়িতে না থাকায় শ্বাশুড়ি ও তার স্ত্রী এক রুমে ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে তার একতলা বাসার রান্না ঘরের গ্রীল ঘুলে দুই ডাকাত মুখ বাঁধা অবস্থায় ঘরের ভীতর প্রবেশ করে। এসময় স্ত্রী লতিফা খাতুন ও শ্বাশুড়িকে ধারালো ছুরি ও পিস্তল ঠেকিয়ে জিম্মি করে ফেলে এবং আলমারীতে রাখা ১৬ হাজার নগদ টাকা নিয়ে নেয়। পরে তারা প্রায় ১৫ মিনিট যাবৎ স্বর্ণলোঙ্কার খোঁজ করে না পেয়ে ডাকাতরা চলে যায়। ফারুকের স্ত্রী লতিফা জানান, ডাকাত দুই জন ঘরের মধ্যে থাকলেও ওই সময় বাইরে থেকে ফিস ফিসানি কথার আওয়াজ তিনি শুনতে পান। যে কারণে তিনি ৪ থেকে ৬ জনের ডাকাত দল বলে মনে করেন। থানার সেকে- অফিসার ব্রজবল্লভ সাধু এ প্রতিবেদককে বলেন, এ ঘটনা শোনার সাথে সাথে ওসি বিপ্লব কুমার সাহা স্যার ঘটনা স্থলে গিয়েছিলেন। তবে এ ব্যাপারে এখনো কেউ অভিযোগ করতে থানা না আসলেও আমরা বিষয়টি নিয়ে তৎপর আছি।