শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন Logo বিনামূল্যে বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর সদরের ৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা  Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা

নিউইয়র্কে ‘বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা’ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:৫১:৩১ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৮০০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রকৃত বিচার এখনও হয়নি। যেটি হয়েছে সেটিকে বলা যায় শেখ লুৎফর রহমানের পুত্র ব্যক্তি শেখ মুজিবের বিচার।
কিন্তু জাতীয় নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনও হয়নি। এজন্যে বৃহৎ আকারে তদন্ত হওয়া দরকার। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের নৃশংসতার নেপথ্যে কারা ছিল, কারা ষড়যন্ত্রে মদদ দিয়েছে, তাদের সকলের বিচার হওয়া দরকার। তাহলেই এমন ভয়ংকর বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হবে’-এমন অভিমত পোষণ করা হয় নিউইয়র্কে ‘বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা’ সমাবেশে। জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. নজরুল ইসলাম প্রদান করেন এই বক্তৃতা।

যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে গত ৫ বছর যাবৎ এই ‘বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা’ হচ্ছে। এটি ছিল পঞ্চম বক্তৃতা। ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে ‘জুইশ সেন্টার’ মিলনায়তনে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রবাসীদের সমাবেশের শুরুতেই জাতির জনক ‘বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব’ আলোকে দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ ও গবেষণামূলক বক্তব্য উপস্থাপনের জন্যে ফুলেল শুভেচ্ছার মধ্য দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয় ড. নজরুলকে। শুভেচ্ছা জ্ঞাপনকারিদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ড. নূরন্নবী, সেক্রেটারি শিতাংশু গুহের সাথে ছিলেন খ্যাতনামা লেখক আনিসুল হক। শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হোসেনের পুত্র ফাহিম রেজা নূর এবং সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শুভ রায়ও ছিলেন সেখানে।

স্মারক বক্তব্যে ড. নজরুল বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে পারলেই সত্যিকার অর্থে তাঁর প্রতি সম্মান জানানো সম্ভব। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চেয়েছিলেন। ’ ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত জীবনী’ এবং ‘কারাগারের রোজনামচা’ পড়লে বাঙালি জাতির অবিস্মরণীয় এই নেতা সম্পর্কে অনেক কিছ্ইু জানা সম্ভব।

বাঙালি জাতির মহান নেতার প্রতিটি কর্মে স্বচ্ছ্বতা ও জবাবদিহিতার আলোকে ড. নজরুল বলেন, বিশ্বের অনেক বিখ্যাত মানুষই নিজের কাজে আর্থিক সোর্স প্রকাশ করেননি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন তার ব্যতিক্রম। প্রতিটি আন্দোলনে কে কীভাবে সহায়তা দিয়েছেন, তা প্রকাশ করেছেন। সহকর্মীরাও যাতে তার মত স্বচ্ছ্ব থাকেন, সে জন্যেই তিনি এমন সরল ছিলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান গ্রাম সরকার চালু করেছিলেন। কিন্তু সেটি বিলুপ্ত করেছেন আরেক সেনাশাসক এরশাদ। এরপর খালেদা জিয়া এসে শুধু বাগাড়ম্বর করেছেন। কাজের কাজ কিছুই করেননি।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা রচনায় আজকের প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে দরকার বঙ্গবন্ধুর জীবনী পাঠ করা। তাহলেই আধুনিক চিন্তা-চেতনার মানুষেরা গরিবী হঠানোর চলমান কার্যক্রমে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতি অনুধাবনে সক্ষম হবেন’-মন্তব্য ড. নজরুলের।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট

নিউইয়র্কে ‘বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা’ !

আপডেট সময় : ০১:৫১:৩১ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রকৃত বিচার এখনও হয়নি। যেটি হয়েছে সেটিকে বলা যায় শেখ লুৎফর রহমানের পুত্র ব্যক্তি শেখ মুজিবের বিচার।
কিন্তু জাতীয় নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনও হয়নি। এজন্যে বৃহৎ আকারে তদন্ত হওয়া দরকার। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের নৃশংসতার নেপথ্যে কারা ছিল, কারা ষড়যন্ত্রে মদদ দিয়েছে, তাদের সকলের বিচার হওয়া দরকার। তাহলেই এমন ভয়ংকর বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হবে’-এমন অভিমত পোষণ করা হয় নিউইয়র্কে ‘বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা’ সমাবেশে। জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. নজরুল ইসলাম প্রদান করেন এই বক্তৃতা।

যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে গত ৫ বছর যাবৎ এই ‘বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা’ হচ্ছে। এটি ছিল পঞ্চম বক্তৃতা। ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে ‘জুইশ সেন্টার’ মিলনায়তনে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রবাসীদের সমাবেশের শুরুতেই জাতির জনক ‘বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব’ আলোকে দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ ও গবেষণামূলক বক্তব্য উপস্থাপনের জন্যে ফুলেল শুভেচ্ছার মধ্য দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয় ড. নজরুলকে। শুভেচ্ছা জ্ঞাপনকারিদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ড. নূরন্নবী, সেক্রেটারি শিতাংশু গুহের সাথে ছিলেন খ্যাতনামা লেখক আনিসুল হক। শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হোসেনের পুত্র ফাহিম রেজা নূর এবং সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শুভ রায়ও ছিলেন সেখানে।

স্মারক বক্তব্যে ড. নজরুল বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে পারলেই সত্যিকার অর্থে তাঁর প্রতি সম্মান জানানো সম্ভব। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চেয়েছিলেন। ’ ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত জীবনী’ এবং ‘কারাগারের রোজনামচা’ পড়লে বাঙালি জাতির অবিস্মরণীয় এই নেতা সম্পর্কে অনেক কিছ্ইু জানা সম্ভব।

বাঙালি জাতির মহান নেতার প্রতিটি কর্মে স্বচ্ছ্বতা ও জবাবদিহিতার আলোকে ড. নজরুল বলেন, বিশ্বের অনেক বিখ্যাত মানুষই নিজের কাজে আর্থিক সোর্স প্রকাশ করেননি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন তার ব্যতিক্রম। প্রতিটি আন্দোলনে কে কীভাবে সহায়তা দিয়েছেন, তা প্রকাশ করেছেন। সহকর্মীরাও যাতে তার মত স্বচ্ছ্ব থাকেন, সে জন্যেই তিনি এমন সরল ছিলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান গ্রাম সরকার চালু করেছিলেন। কিন্তু সেটি বিলুপ্ত করেছেন আরেক সেনাশাসক এরশাদ। এরপর খালেদা জিয়া এসে শুধু বাগাড়ম্বর করেছেন। কাজের কাজ কিছুই করেননি।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা রচনায় আজকের প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে দরকার বঙ্গবন্ধুর জীবনী পাঠ করা। তাহলেই আধুনিক চিন্তা-চেতনার মানুষেরা গরিবী হঠানোর চলমান কার্যক্রমে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতি অনুধাবনে সক্ষম হবেন’-মন্তব্য ড. নজরুলের।