বুধবার | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি Logo তফসিল ঘোষণার পর বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান Logo চাঁদপুরে সোনালী ব্যাংকের সিবিএ নেতা আবদুস সামাদ মিয়ার ইন্তেকাল—সহকর্মীদের মাঝে গভীর শোক Logo পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা Logo সুন্দরবন কয়রায় কোস্ট গার্ডের দুটি অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, জিম্মি জেলে মুক্ত ও হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক Logo খুবিতে নতুন উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং অনুষ্ঠিত Logo পলাশবাড়ীতে অফিসের হাটের বেদখল জায়গা উদ্ধারে জোর দাবি: আরইউটিডিপির বরাদ্দে আধুনিক স্থাপনা চায় পৌরবাসী Logo পলাশবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস আজ

শাহপরীরদ্বীপ দিয়ে প্রতিদিন ইয়াবা পাচার হয়ে আসছে: জড়িত গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে !

  • আপডেট সময় : ১২:১৭:৩৩ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২০ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৪০ বার পড়া হয়েছে

হাবিবুল ইসলাম হাবিব, টেকনাফ :
টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিম ও উত্তর পাড়ার এলাকায় নাফনদীর সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের মরণ নেশা ইয়াবা ২ বিজিবি সদস্যদের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত পাচার হয়ে লক্ষ লক্ষ ইয়াবা আসছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়। এই পাচারের জড়িত ৪ জন সিন্ডিকেট হিসাবে মরণ নেশা ইয়াবা পাচার করে আসছে। এই ইয়াবা পাচারের সু-কৌশলে ব্যবহার করছে জেলেদের মাছ ধরা নৌকা। এই জেলেদের নৌকা দিয়ে ৪ সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ মরণ নেশা ইয়াবা মিয়ানমার থেকে পাচার করে টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছে। জতিড় সিন্ডিকেটের সদস্যরা হচ্ছে পশ্চিম উত্তরপাড়ার মৃত কবির চকিদারের তিন পুত্র আলমগীর, শহিদুল্লাহ, ইব্রাহীম, একই এলাকার নজুর মিয়ার পুত্র সমসু আলমসহ এলাকার বেশ কিছু চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী। সাবরাং ইউনিয়নের শাহপীরদ্বীর পশ্চিম উত্তর নাফনদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে তাদের পাচার কাজ সীমান্ত রক্ষী ২ বিজিবি অবস্থান দেখে চোরাচালান কাজ অব্যাহত রেখেছে। এই ৪ জন মিয়ানমার থেকে মরণ নেশা ইয়াবা প্রবেশ করে প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন করে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যরা দেখেও না দেখার ভান করে আছে। এমনি কি এলাকায় রাত হলে তাদের দখলে মদ, গাজা ইয়াবা সেবনসহ নানা প্রকার অপরাধ। তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহজ পায়না। কেন না তাদের আছে অবৈধ অন্ত্র ও স্থানীয় কিছু অসাধু প্রশাসনের সদস্য। প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে স্থানীয় লোকজনকে জিম্মি করে রেখেছে তাই তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহজ পাচ্ছে না।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কোন রকম নাফনদী পার হতে পারলে শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিম উত্তর পাড়া তাদের বাড়ি হওয়ায় খুব সহজে ইয়াবা গুলো নিরাপদে চলে যায়। এর পর তারা ইয়াবা গুলো টেকনাফ উপজেলার গডফারদের কাছে বিক্রি করে থাকে বলে স্থানীয় সচেতন মহলের ধারনা। এই ৪ গডফাদারদের সাথে রয়েছে টেকনাফ উপজেলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। তারা সুযোগ বুঝে পাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে উল্টো ইয়াবা দিয়ে মামলা দেওয়ার হুমকি ও নাফনদীতে নিয়ে গিয়ে মেরে পেলার হুমকি প্রধান করে বলে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানা যায়।
স্থানীয়দের দাবি, এই ৪ জন ইয়াবা সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রতিনিয়ত সু-কৌশলে মিয়ানমার থেকে লক্ষ লক্ষ মরণ নেশা ইয়াবা নিয়ে আসছে। এই সুযোগে এলাকার ছাত্র ও যুব সমাজের ছেলেরা ইয়াবা ব্যবসায় যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। আমরা এই ব্যাপারে গডফাদারদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের সাড়াঁশি অভিযান পরিচালনার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যতায় তাদের কারনে এলাকার যুব ও ছাত্র সমাজ দিন দিন নষ্ট হয়ে যাবে। আগামীর প্রজন্মকে বাচাঁতে হলে এই ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল এস এম আরিফুল ইসলাম জানান, টেকনাফ উপজেলার নাফনদীর সীমান্ত এলাকায় আমাদের ২ বিজিবি সদস্যরা রাত দিন পরিশ্রম করে প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ ইয়াবা আটক করে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে পাচারকারীরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে সু-কেীশলে তাদের মাদক গুলো অনুপ্রবেশ করছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাচারকারীরা যতই প্রভাবশালী হউক তাদের আইনের আওতাই নিয়ে আসা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার

শাহপরীরদ্বীপ দিয়ে প্রতিদিন ইয়াবা পাচার হয়ে আসছে: জড়িত গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে !

আপডেট সময় : ১২:১৭:৩৩ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২০ আগস্ট ২০১৭

হাবিবুল ইসলাম হাবিব, টেকনাফ :
টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিম ও উত্তর পাড়ার এলাকায় নাফনদীর সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের মরণ নেশা ইয়াবা ২ বিজিবি সদস্যদের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত পাচার হয়ে লক্ষ লক্ষ ইয়াবা আসছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়। এই পাচারের জড়িত ৪ জন সিন্ডিকেট হিসাবে মরণ নেশা ইয়াবা পাচার করে আসছে। এই ইয়াবা পাচারের সু-কৌশলে ব্যবহার করছে জেলেদের মাছ ধরা নৌকা। এই জেলেদের নৌকা দিয়ে ৪ সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ মরণ নেশা ইয়াবা মিয়ানমার থেকে পাচার করে টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছে। জতিড় সিন্ডিকেটের সদস্যরা হচ্ছে পশ্চিম উত্তরপাড়ার মৃত কবির চকিদারের তিন পুত্র আলমগীর, শহিদুল্লাহ, ইব্রাহীম, একই এলাকার নজুর মিয়ার পুত্র সমসু আলমসহ এলাকার বেশ কিছু চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী। সাবরাং ইউনিয়নের শাহপীরদ্বীর পশ্চিম উত্তর নাফনদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে তাদের পাচার কাজ সীমান্ত রক্ষী ২ বিজিবি অবস্থান দেখে চোরাচালান কাজ অব্যাহত রেখেছে। এই ৪ জন মিয়ানমার থেকে মরণ নেশা ইয়াবা প্রবেশ করে প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন করে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যরা দেখেও না দেখার ভান করে আছে। এমনি কি এলাকায় রাত হলে তাদের দখলে মদ, গাজা ইয়াবা সেবনসহ নানা প্রকার অপরাধ। তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহজ পায়না। কেন না তাদের আছে অবৈধ অন্ত্র ও স্থানীয় কিছু অসাধু প্রশাসনের সদস্য। প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে স্থানীয় লোকজনকে জিম্মি করে রেখেছে তাই তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহজ পাচ্ছে না।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কোন রকম নাফনদী পার হতে পারলে শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিম উত্তর পাড়া তাদের বাড়ি হওয়ায় খুব সহজে ইয়াবা গুলো নিরাপদে চলে যায়। এর পর তারা ইয়াবা গুলো টেকনাফ উপজেলার গডফারদের কাছে বিক্রি করে থাকে বলে স্থানীয় সচেতন মহলের ধারনা। এই ৪ গডফাদারদের সাথে রয়েছে টেকনাফ উপজেলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। তারা সুযোগ বুঝে পাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে উল্টো ইয়াবা দিয়ে মামলা দেওয়ার হুমকি ও নাফনদীতে নিয়ে গিয়ে মেরে পেলার হুমকি প্রধান করে বলে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানা যায়।
স্থানীয়দের দাবি, এই ৪ জন ইয়াবা সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রতিনিয়ত সু-কৌশলে মিয়ানমার থেকে লক্ষ লক্ষ মরণ নেশা ইয়াবা নিয়ে আসছে। এই সুযোগে এলাকার ছাত্র ও যুব সমাজের ছেলেরা ইয়াবা ব্যবসায় যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। আমরা এই ব্যাপারে গডফাদারদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের সাড়াঁশি অভিযান পরিচালনার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যতায় তাদের কারনে এলাকার যুব ও ছাত্র সমাজ দিন দিন নষ্ট হয়ে যাবে। আগামীর প্রজন্মকে বাচাঁতে হলে এই ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল এস এম আরিফুল ইসলাম জানান, টেকনাফ উপজেলার নাফনদীর সীমান্ত এলাকায় আমাদের ২ বিজিবি সদস্যরা রাত দিন পরিশ্রম করে প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ ইয়াবা আটক করে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে পাচারকারীরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে সু-কেীশলে তাদের মাদক গুলো অনুপ্রবেশ করছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাচারকারীরা যতই প্রভাবশালী হউক তাদের আইনের আওতাই নিয়ে আসা হবে।