বুধবার | ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল Logo জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে— আন্তর্জাতিক সেমিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে

ভারত-চীন যুদ্ধে আমেরিকার সমর্থন পাবে ভারত !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৩৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৩ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ভারত-চীন সীমান্ত ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আর তারই জের ধরে চীন সীমান্তে আরো সেনা পাঠিয়েছে ভারত।

এদিকে আমেরিকার নেভাল ওয়ার কলেজের প্রফেসর তথা সামরিক বিশেষজ্ঞ জেমস আর হোলমেস ডোকলাম ইস্যুতে ভারতের প্রশংসা করে বলেন, নয়াদিল্লি এখনো পর্যন্ত সঠিক পদক্ষেপই নিয়েছে। এই বিতর্ককে ভারত যেমন সমর্থনও করেনি তেমনই চীনের মতো হুঙ্কার দিয়ে পরিস্থিতিকে আরোও জটিল হতে দেয়নি। ডোকলাম ইস্যু নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ভারত অনেক পরিণত শক্তির পরিচয় দিয়েছে। চীন যদি ভারতের উপর আঘাত হানে তাহলে সেটা কোন যুক্তিসঙ্গত কাজ হবে না।

ডোকলাম ইস্যুতে আমেরিকা এখনো পর্যন্ত নীরব আছে। এই বিষয়ে হোলমেস বলেন, হতে পারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রশাসন এই ইস্যুতে আমেকিরাকে জড়াতে চায় না। যদি সমস্যা বেড়ে যায় তাহলে আমেরিকা ভারতের প্রতি তার সর্মথন জানাবে।

সম্প্রতি চীনের সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, চীন এবং ভারতের মধ্যে যুদ্ধের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে চীনের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের পক্ষ থেকে আরো একবার হুমকি দিয়ে বলা হয়, ভারত ডোকালাম থেকে সেনা না সরালে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। চীনের প্রতি কঠোর হয়ে মোদি যে আসলে বিপদ ডেকে আনছেন, তেমনটাই মত চীনের। এইভাবে আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট করা হচ্ছে ও দেশের মানুষের শান্তি নষ্ট হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মোদি সরকার যদি পিছিয়ে না যায়, তাহলে তারা দেশকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে, যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না মোদি।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুন থেকে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ডোকলামে চীনা সেনাকে রাস্তা তৈরিতে বাধা দেয় ভারত।  তারপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে শুরু হয়ে যায় উত্তেজনা। ভারতের দাবি, ডোকলাম সীমান্ত অঞ্চলটি তাদের দেশের অর্ন্তগত। কিন্তু চীনের দাবি, ১৮৯০ এর ব্রিটিশ ও চীনের এক চুক্তি অনুযায়ী ওই অঞ্চলটি তাদের।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

ভারত-চীন যুদ্ধে আমেরিকার সমর্থন পাবে ভারত !

আপডেট সময় : ১১:৩৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৩ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ভারত-চীন সীমান্ত ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আর তারই জের ধরে চীন সীমান্তে আরো সেনা পাঠিয়েছে ভারত।

এদিকে আমেরিকার নেভাল ওয়ার কলেজের প্রফেসর তথা সামরিক বিশেষজ্ঞ জেমস আর হোলমেস ডোকলাম ইস্যুতে ভারতের প্রশংসা করে বলেন, নয়াদিল্লি এখনো পর্যন্ত সঠিক পদক্ষেপই নিয়েছে। এই বিতর্ককে ভারত যেমন সমর্থনও করেনি তেমনই চীনের মতো হুঙ্কার দিয়ে পরিস্থিতিকে আরোও জটিল হতে দেয়নি। ডোকলাম ইস্যু নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ভারত অনেক পরিণত শক্তির পরিচয় দিয়েছে। চীন যদি ভারতের উপর আঘাত হানে তাহলে সেটা কোন যুক্তিসঙ্গত কাজ হবে না।

ডোকলাম ইস্যুতে আমেরিকা এখনো পর্যন্ত নীরব আছে। এই বিষয়ে হোলমেস বলেন, হতে পারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রশাসন এই ইস্যুতে আমেকিরাকে জড়াতে চায় না। যদি সমস্যা বেড়ে যায় তাহলে আমেরিকা ভারতের প্রতি তার সর্মথন জানাবে।

সম্প্রতি চীনের সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, চীন এবং ভারতের মধ্যে যুদ্ধের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে চীনের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের পক্ষ থেকে আরো একবার হুমকি দিয়ে বলা হয়, ভারত ডোকালাম থেকে সেনা না সরালে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। চীনের প্রতি কঠোর হয়ে মোদি যে আসলে বিপদ ডেকে আনছেন, তেমনটাই মত চীনের। এইভাবে আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট করা হচ্ছে ও দেশের মানুষের শান্তি নষ্ট হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মোদি সরকার যদি পিছিয়ে না যায়, তাহলে তারা দেশকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে, যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না মোদি।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুন থেকে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ডোকলামে চীনা সেনাকে রাস্তা তৈরিতে বাধা দেয় ভারত।  তারপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে শুরু হয়ে যায় উত্তেজনা। ভারতের দাবি, ডোকলাম সীমান্ত অঞ্চলটি তাদের দেশের অর্ন্তগত। কিন্তু চীনের দাবি, ১৮৯০ এর ব্রিটিশ ও চীনের এক চুক্তি অনুযায়ী ওই অঞ্চলটি তাদের।