শিরোনাম :
Logo ৭৮ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে চাঁদপুর এলজিইডির অবহিতকরন সভা Logo পিয়াস আফ্রিদির উদ্যোগে চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের পথচলা Logo প্রান্তিক মানুষের আস্থার নাম সরাইলকান্দি কমিউনিটি ক্লিনিক Logo ইবিতে সিরাতুন নবি (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী Logo ইবি ক্যাম্পাসে তালিকাভুক্ত নয় এমন  সংগঠনের সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা Logo সুন্দরবনের বিনা পাশে প্রবেশ করায় তিন জেলা কটক  Logo খুবি রিসার্চ সোসাইটির নতুন নেতৃত্বে বকসী-গৌর Logo চাঁদপুরে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক পেয়েছেন ১৯ সাংবাদিক Logo কাল চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo খানপুর ইয়ং স্টার ক্লাবের উদ্যোগে আট দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভারত-চীন যুদ্ধে আমেরিকার সমর্থন পাবে ভারত !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৩৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৩ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৫৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ভারত-চীন সীমান্ত ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আর তারই জের ধরে চীন সীমান্তে আরো সেনা পাঠিয়েছে ভারত।

এদিকে আমেরিকার নেভাল ওয়ার কলেজের প্রফেসর তথা সামরিক বিশেষজ্ঞ জেমস আর হোলমেস ডোকলাম ইস্যুতে ভারতের প্রশংসা করে বলেন, নয়াদিল্লি এখনো পর্যন্ত সঠিক পদক্ষেপই নিয়েছে। এই বিতর্ককে ভারত যেমন সমর্থনও করেনি তেমনই চীনের মতো হুঙ্কার দিয়ে পরিস্থিতিকে আরোও জটিল হতে দেয়নি। ডোকলাম ইস্যু নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ভারত অনেক পরিণত শক্তির পরিচয় দিয়েছে। চীন যদি ভারতের উপর আঘাত হানে তাহলে সেটা কোন যুক্তিসঙ্গত কাজ হবে না।

ডোকলাম ইস্যুতে আমেরিকা এখনো পর্যন্ত নীরব আছে। এই বিষয়ে হোলমেস বলেন, হতে পারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রশাসন এই ইস্যুতে আমেকিরাকে জড়াতে চায় না। যদি সমস্যা বেড়ে যায় তাহলে আমেরিকা ভারতের প্রতি তার সর্মথন জানাবে।

সম্প্রতি চীনের সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, চীন এবং ভারতের মধ্যে যুদ্ধের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে চীনের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের পক্ষ থেকে আরো একবার হুমকি দিয়ে বলা হয়, ভারত ডোকালাম থেকে সেনা না সরালে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। চীনের প্রতি কঠোর হয়ে মোদি যে আসলে বিপদ ডেকে আনছেন, তেমনটাই মত চীনের। এইভাবে আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট করা হচ্ছে ও দেশের মানুষের শান্তি নষ্ট হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মোদি সরকার যদি পিছিয়ে না যায়, তাহলে তারা দেশকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে, যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না মোদি।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুন থেকে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ডোকলামে চীনা সেনাকে রাস্তা তৈরিতে বাধা দেয় ভারত।  তারপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে শুরু হয়ে যায় উত্তেজনা। ভারতের দাবি, ডোকলাম সীমান্ত অঞ্চলটি তাদের দেশের অর্ন্তগত। কিন্তু চীনের দাবি, ১৮৯০ এর ব্রিটিশ ও চীনের এক চুক্তি অনুযায়ী ওই অঞ্চলটি তাদের।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

৭৮ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে চাঁদপুর এলজিইডির অবহিতকরন সভা

ভারত-চীন যুদ্ধে আমেরিকার সমর্থন পাবে ভারত !

আপডেট সময় : ১১:৩৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৩ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ভারত-চীন সীমান্ত ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আর তারই জের ধরে চীন সীমান্তে আরো সেনা পাঠিয়েছে ভারত।

এদিকে আমেরিকার নেভাল ওয়ার কলেজের প্রফেসর তথা সামরিক বিশেষজ্ঞ জেমস আর হোলমেস ডোকলাম ইস্যুতে ভারতের প্রশংসা করে বলেন, নয়াদিল্লি এখনো পর্যন্ত সঠিক পদক্ষেপই নিয়েছে। এই বিতর্ককে ভারত যেমন সমর্থনও করেনি তেমনই চীনের মতো হুঙ্কার দিয়ে পরিস্থিতিকে আরোও জটিল হতে দেয়নি। ডোকলাম ইস্যু নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ভারত অনেক পরিণত শক্তির পরিচয় দিয়েছে। চীন যদি ভারতের উপর আঘাত হানে তাহলে সেটা কোন যুক্তিসঙ্গত কাজ হবে না।

ডোকলাম ইস্যুতে আমেরিকা এখনো পর্যন্ত নীরব আছে। এই বিষয়ে হোলমেস বলেন, হতে পারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রশাসন এই ইস্যুতে আমেকিরাকে জড়াতে চায় না। যদি সমস্যা বেড়ে যায় তাহলে আমেরিকা ভারতের প্রতি তার সর্মথন জানাবে।

সম্প্রতি চীনের সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, চীন এবং ভারতের মধ্যে যুদ্ধের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে চীনের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের পক্ষ থেকে আরো একবার হুমকি দিয়ে বলা হয়, ভারত ডোকালাম থেকে সেনা না সরালে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। চীনের প্রতি কঠোর হয়ে মোদি যে আসলে বিপদ ডেকে আনছেন, তেমনটাই মত চীনের। এইভাবে আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট করা হচ্ছে ও দেশের মানুষের শান্তি নষ্ট হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মোদি সরকার যদি পিছিয়ে না যায়, তাহলে তারা দেশকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে, যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না মোদি।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুন থেকে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ডোকলামে চীনা সেনাকে রাস্তা তৈরিতে বাধা দেয় ভারত।  তারপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে শুরু হয়ে যায় উত্তেজনা। ভারতের দাবি, ডোকলাম সীমান্ত অঞ্চলটি তাদের দেশের অর্ন্তগত। কিন্তু চীনের দাবি, ১৮৯০ এর ব্রিটিশ ও চীনের এক চুক্তি অনুযায়ী ওই অঞ্চলটি তাদের।