শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

জাতীয় চার নেতার নামে সংখ্যালঘুর জমি দখল !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:১০:০১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮০৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রংপুর নগরীর প্রাণকেন্দ্র ঢাকা হোটেল গলি সড়ক সংলগ্ন এক সংখ্যালঘু ব্যবসায়ীর সোয়া চার কোটি টাকা মূল্যের সোয়া চার শতাংশ জমি জবরদখল করে সেখানে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদের প্রধান কার্যালয়ের বিশাল সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে।

জমির মালিকের অভিযোগ, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদ রংপুর মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ সাইনবোর্ডটি লাগিয়েছেন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এবং রংপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকও। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এইচ এম সোলায়মান চৌধুরী সুজন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জমি কিংবা বাড়ি দখল করে সংগঠনের কার্যালয় স্থাপন ঘৃণিত কাজ। এটাকে আমরা সমর্থন করি না। এ ছাড়া সংগঠনের প্রধান কার্যালয় ঢাকায়। নতুন করে রংপুরে প্রধান কার্যালয় হবে কেন। এ ধরনের অরাজকতা যারা করেছে তারা চরম অন্যায় করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া   হবে। এর আগে নগরীর তাজহাট মোড়ে সরকারি বাড়ি দখল করে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদের রংপুর মহানগর শাখার কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছিল। গত বছরের ৭ জুলাই বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘সরকারি বাড়ি দখল করে বঙ্গবন্ধু পরিষদের অফিস’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সে সাইনবোর্ড ও অফিস সরিয়ে নেওয়া হয়। জানা গেছে, নগরীর ঢাকা হোটেল গলি সড়কে সংলগ্ন সোয়া চার শতক জমির মালিক নগরীর গুপ্তপাড়ার ব্যবসায়ী অশোক কুমার ঘোষ কল্যাণ। তিনি অভিযোগ করেন, কয়েক বছর আগে স্থানীয় এক আইনজীবীর কাছ থেকে সোয়া চার শতাংশ জমি কেনেন তিনি। আর্থিক সমস্যার কারণে জমিটিতে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। সেখানে কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অস্থায়ী ভিত্তিতে দোকান করে খাচ্ছেন। জমিটির বর্তমান বাজারমূল্য সোয়া চার কোটি টাকা। তিন মাস আগে সেখানে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদের প্রধান কার্যালয়ের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, সাইনবোর্ডটি খুলে ফেলার বিষয়ে আবদুল মজিদকে একাধিকবার অনুরোধ করে কোনো ফল পাইনি। তার সঙ্গে লড়াই করার সামর্থ্যও আমার নেই। ঢাকা হোটেল গলির স্থানীয় ব্যবসায়ী রিপন মিয়া জানান, আবদুল মজিদ তার দলবল নিয়ে এসে সাইনবোর্ডটি লাগিয়ে দেন। জমির মালিক দুবার সাইনবোর্ড খুলে ফেলেন। তৃতীয় দফায় সাইনবোর্ড লাগানো হয়। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদ রংপুর মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ বলেন, দুই মাস রংপুরের বাইরে ছিলাম। কারা সাইনবোর্ড লাগিয়েছে তা জানি না। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদ রংপুর জেলা শাখার সভাপতি শেখ সাদি বলেন, তিনিও জানেন না কারা সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। যারাই লাগিয়ে থাক তারা অন্যায় করেছে এবং সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

জাতীয় চার নেতার নামে সংখ্যালঘুর জমি দখল !

আপডেট সময় : ১১:১০:০১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

রংপুর নগরীর প্রাণকেন্দ্র ঢাকা হোটেল গলি সড়ক সংলগ্ন এক সংখ্যালঘু ব্যবসায়ীর সোয়া চার কোটি টাকা মূল্যের সোয়া চার শতাংশ জমি জবরদখল করে সেখানে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদের প্রধান কার্যালয়ের বিশাল সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে।

জমির মালিকের অভিযোগ, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদ রংপুর মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ সাইনবোর্ডটি লাগিয়েছেন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এবং রংপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকও। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এইচ এম সোলায়মান চৌধুরী সুজন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জমি কিংবা বাড়ি দখল করে সংগঠনের কার্যালয় স্থাপন ঘৃণিত কাজ। এটাকে আমরা সমর্থন করি না। এ ছাড়া সংগঠনের প্রধান কার্যালয় ঢাকায়। নতুন করে রংপুরে প্রধান কার্যালয় হবে কেন। এ ধরনের অরাজকতা যারা করেছে তারা চরম অন্যায় করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া   হবে। এর আগে নগরীর তাজহাট মোড়ে সরকারি বাড়ি দখল করে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদের রংপুর মহানগর শাখার কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছিল। গত বছরের ৭ জুলাই বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘সরকারি বাড়ি দখল করে বঙ্গবন্ধু পরিষদের অফিস’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সে সাইনবোর্ড ও অফিস সরিয়ে নেওয়া হয়। জানা গেছে, নগরীর ঢাকা হোটেল গলি সড়কে সংলগ্ন সোয়া চার শতক জমির মালিক নগরীর গুপ্তপাড়ার ব্যবসায়ী অশোক কুমার ঘোষ কল্যাণ। তিনি অভিযোগ করেন, কয়েক বছর আগে স্থানীয় এক আইনজীবীর কাছ থেকে সোয়া চার শতাংশ জমি কেনেন তিনি। আর্থিক সমস্যার কারণে জমিটিতে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। সেখানে কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অস্থায়ী ভিত্তিতে দোকান করে খাচ্ছেন। জমিটির বর্তমান বাজারমূল্য সোয়া চার কোটি টাকা। তিন মাস আগে সেখানে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদের প্রধান কার্যালয়ের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, সাইনবোর্ডটি খুলে ফেলার বিষয়ে আবদুল মজিদকে একাধিকবার অনুরোধ করে কোনো ফল পাইনি। তার সঙ্গে লড়াই করার সামর্থ্যও আমার নেই। ঢাকা হোটেল গলির স্থানীয় ব্যবসায়ী রিপন মিয়া জানান, আবদুল মজিদ তার দলবল নিয়ে এসে সাইনবোর্ডটি লাগিয়ে দেন। জমির মালিক দুবার সাইনবোর্ড খুলে ফেলেন। তৃতীয় দফায় সাইনবোর্ড লাগানো হয়। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদ রংপুর মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ বলেন, দুই মাস রংপুরের বাইরে ছিলাম। কারা সাইনবোর্ড লাগিয়েছে তা জানি না। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদ রংপুর জেলা শাখার সভাপতি শেখ সাদি বলেন, তিনিও জানেন না কারা সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। যারাই লাগিয়ে থাক তারা অন্যায় করেছে এবং সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।