শিরোনাম :
Logo গাজায় ফিলিস্তিনি ফুটবলার নিহত Logo টাঙ্গাইলে পুকুরের পানিতে ডুবে এক বৃদ্ধের মৃত্যু Logo আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় ফ্যাসিস্ট শিক্ষকরা এখনো কাপড় পরে হাঁটতে পারছে : রাবি ছাত্রদল সভাপতি Logo কুড়ালিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এডহক কমিটির পরিচিতি, কৃতি ছাত্রীদের সংবর্ধনা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত Logo চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে আড়ালে আবৃত গ্রন্থের পাঠ পর্যালোচনা Logo দুর্নীতির মামলায় বেরোবির সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ গ্রেফতার Logo তেগুরিয়া শিশু বিদ্যানিকেতন এখন শিশু শিক্ষার আলোকবর্তিকা Logo কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত Logo উচাং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইবির সমঝোতা স্মারক পর্যালোচনা বৈঠক Logo ইবিতে হিন্দুধর্ম অবমাননার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

বীরগঞ্জের ঢেপা নদীর ব্রীজটি মৃত্যুরফাঁদে পরিনতি হয়েছে

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:২২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৮ জুন ২০১৭
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ঢেপা নদীর উপর ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি এখন মৃত্যুরফাঁদ। দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পারাপার হচ্ছে ব্রীজটি দিয়ে।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা উত্তর ৪৫ বছর ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উপজেলার হাজার হাজার মানুষসহ শত শত যানবাহন নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। যে কোন সময় দুর্ঘটনায় কবলে পড়ে প্রাণ হারাতে পারে অসংখ্য মানুষ। উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর শাখা আত্রাই অতঃপর ঢেপা নদী রূপলাভ করে। বীরগঞ্জ-ঝাড়বাড়ী রাস্তায় বৃটিশ শাসনামলে খেয়া ঘাটের মাধ্যমে গরু-মহিষের গাড়ি ও মানুষ পারাপার হতো তখনকার মানুষ। দিনাজপুর জেলার খানসামা বন্দর ও দেবীগঞ্জের বাহাদুর ফেরিঘাট হয়ে নদী পথে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে ব্যবসা-বাণিজ্য করত শতশত মানুষ। জনগণের ভোগান্তি লাঘবের জন্য ১৯৫০ সালে তৎকালীন সরকারের সময় উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রাম সংলগ্ন ঢেপা নদীর উপর জেলা পরিষদের অর্থায়নে ৩০ মিটার ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। ১৯৭১ইং সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকসেনারা ঐ ব্রীজটি উড়িয়ে দেয়ার শত চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। ১৯৮৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় পঞ্চগড় জেলার জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে দেশে হাজার হাজার ব্রিজ ধ্বংস হয়। ঢেপা নদীর ব্রীজটি একদিকে হেলে পড়লেও এই ব্রীজটি ধ্বংস হয়নি। ভয়াবহ বন্যার পর থেকে ঢেপা ব্রীজটি পূননির্মানের দাবি তোলা হয় কিন্তু আজও সংস্কার বা পুননির্মান করা হয়নি । মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজের উপর দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, রিক্সা-ভ্যান, অটোরিক্সা, ভটভটি, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, এ্যাম্বুলেন্স, মিনিবাস, কোচসহ ভারী যানবাহন চলাচল ও পারাপার করছে। ব্রীজটির উপরের অংশে অসংখ্য ভাঙন রয়েছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ প্রতিবছর সংস্কার ও যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা কর হয়।  সড়ক ও জনপথ বিভাগ মাঝে মধ্যে লোকজনকে ব্রীজটি মাপামাপি করতে দেখা গেলেও এ পর্যন্ত পুননির্মান করা হয়নি। ঢেপা নদীতে ৩০ মিটার দীর্ঘ ব্রীজটিতে যে কোন সময় ভারী যান চলাচলের কারণে দুর্ঘটনায় ব্যাপক হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে। এলাকাবাসী দাবি অবিলম্বে জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপালের হস্তক্ষেপে ঝুঁকিপূর্ণ ঢেপা নদীর ব্রীজটি পুননির্মাণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় ফিলিস্তিনি ফুটবলার নিহত

বীরগঞ্জের ঢেপা নদীর ব্রীজটি মৃত্যুরফাঁদে পরিনতি হয়েছে

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:২২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৮ জুন ২০১৭

এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ঢেপা নদীর উপর ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি এখন মৃত্যুরফাঁদ। দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পারাপার হচ্ছে ব্রীজটি দিয়ে।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা উত্তর ৪৫ বছর ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উপজেলার হাজার হাজার মানুষসহ শত শত যানবাহন নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। যে কোন সময় দুর্ঘটনায় কবলে পড়ে প্রাণ হারাতে পারে অসংখ্য মানুষ। উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর শাখা আত্রাই অতঃপর ঢেপা নদী রূপলাভ করে। বীরগঞ্জ-ঝাড়বাড়ী রাস্তায় বৃটিশ শাসনামলে খেয়া ঘাটের মাধ্যমে গরু-মহিষের গাড়ি ও মানুষ পারাপার হতো তখনকার মানুষ। দিনাজপুর জেলার খানসামা বন্দর ও দেবীগঞ্জের বাহাদুর ফেরিঘাট হয়ে নদী পথে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে ব্যবসা-বাণিজ্য করত শতশত মানুষ। জনগণের ভোগান্তি লাঘবের জন্য ১৯৫০ সালে তৎকালীন সরকারের সময় উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রাম সংলগ্ন ঢেপা নদীর উপর জেলা পরিষদের অর্থায়নে ৩০ মিটার ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। ১৯৭১ইং সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকসেনারা ঐ ব্রীজটি উড়িয়ে দেয়ার শত চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। ১৯৮৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় পঞ্চগড় জেলার জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে দেশে হাজার হাজার ব্রিজ ধ্বংস হয়। ঢেপা নদীর ব্রীজটি একদিকে হেলে পড়লেও এই ব্রীজটি ধ্বংস হয়নি। ভয়াবহ বন্যার পর থেকে ঢেপা ব্রীজটি পূননির্মানের দাবি তোলা হয় কিন্তু আজও সংস্কার বা পুননির্মান করা হয়নি । মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজের উপর দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, রিক্সা-ভ্যান, অটোরিক্সা, ভটভটি, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, এ্যাম্বুলেন্স, মিনিবাস, কোচসহ ভারী যানবাহন চলাচল ও পারাপার করছে। ব্রীজটির উপরের অংশে অসংখ্য ভাঙন রয়েছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ প্রতিবছর সংস্কার ও যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা কর হয়।  সড়ক ও জনপথ বিভাগ মাঝে মধ্যে লোকজনকে ব্রীজটি মাপামাপি করতে দেখা গেলেও এ পর্যন্ত পুননির্মান করা হয়নি। ঢেপা নদীতে ৩০ মিটার দীর্ঘ ব্রীজটিতে যে কোন সময় ভারী যান চলাচলের কারণে দুর্ঘটনায় ব্যাপক হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে। এলাকাবাসী দাবি অবিলম্বে জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপালের হস্তক্ষেপে ঝুঁকিপূর্ণ ঢেপা নদীর ব্রীজটি পুননির্মাণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে।