শিরোনাম :
Logo চাঁদপুরে টাইফয়েড টিকাদান কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo খুুবি উপাচার্যের সাথে হিট প্রজেক্টপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মতবিনিময় Logo চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রতিটি স্তরে সেবা গ্রহীতাদের স্বস্তি Logo নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন  Logo নারী হেনস্থা ও সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ Logo চাঁদপুর মডেল থানায় ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo ইবি’র দুই নিখোঁজ শিক্ষার্থীর সন্ধানে কমিটি পুনর্গঠন Logo কয়রায় যৌথবাহিনীর চেকপোস্ট Logo লক্ষ্মীপুরে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে ইসলামী আন্দোলন নেতৃবৃন্দের নগদ অর্থ প্রদান Logo বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চাঁদপুরে স্মরণকালের বর্ণাঢ্য র‌্যালি

সম্পর্কের পালাবদল: প্রেম ও বিয়ে!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:৩৩:৫২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮২৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

প্রায় এক যুগ চুটিয়ে প্রেম করার পর অবশেষে সংসার বেঁধেছেন অমিত ও লাবণ্য। নতুন সংসার নিয়ে দুজনেরই অনেক স্বপ্ন। মনের মাধুরী দিয়ে দুজনে সাজাবেন তাদের ছোট্ট সংসার। যেখানে থাকবে না ভালোবাসার কোন অভাব। বিয়ের আগে এ রকম নানা জল্পনা-কল্পনা তাদের। আজ সত্যিই তাদের ছোট সংসার হয়েছে। কিন্তু সময়ের আবর্তে কেন জানি ভালোবাসা অনেক কমে গেছে। আজ আর আগের মতো করে অমিত লাবণ্যকে ভালোবাসে না।

একটি মাল্টি-ন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করে অমিত। তাই সবসময় প্রচণ্ড ব্যস্ত থাকতে হয় তাকে। আবার প্রতিদিন পাঁচ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েও অফিসে যেতে হয়। অফিস থেকে ফিরে তাই কথা বলার ইচ্ছাও করে না তার। ফলে আর আগের মতো সময় দেওয়া হয় না লাবণ্যকে। তাই প্রায় সারাদিনই একা থাকতে হয় লাবণ্যকে। এতে সবসময় একাকিত্ব বোধ করে সে।

এভাবে দিনের পর দিন চলে যায়, বাড়তে থাকে দুজনার মধ্যকার দূরত্ব। এখন প্রয়োজনীয় কথা ছাড়া অন্য কোন কথাই হয় না তাদের মাঝে। অথচ এমন একসময় ছিল যখন সারাদিনের জমানো কথাগুলো রাতে না বললে কারো ঘুম আসতো না।

আসলে প্রতিটি ভালবাসা শুরু হয় অনেক আশা আকাংখা এবং চাওয়া-পাওয়ার মধ্য দিয়ে। তাই এখানে কোনো কম্প্রোমাইজের স্থান থাকে না। দুজন দুজনার দৃষ্টিতে সবকিছুর ব্যাখ্যা খোঁজে। যার ফলে শুরু হয় দ্বন্দের সূত্রপাত।

সবাই নিজ নিজ অবস্থানকে তখন সঠিক বলে মনে করে। আর এটাই কাল হয়ে দাঁড়ায়। অথচ সঙ্গী-সঙ্গিনী পরস্পরকে বোঝার চেষ্টা করলেই কিন্তু সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কারণ পারস্পারিক ভালো বোঝাপড়াই সম্পর্ককে মধুর করে তোলে।

মনে রাখতে হবে, মানুষের সবদিন এক রকম যায়না। একদিন ভুল করলে যে পরের বারও একই ভুল হবে এমন চিন্তা করা ঠিক নয়। একবার কথা না রাখতে পারলে দুজনারই উচিত পরের বার যেভাবেই হোক কথা রাখার চেষ্টা করা।

শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজেদের জন্য কিছু একান্ত সময় বের করুন। তারপর সময় সুযোগ মতো সঙ্গিনীর সঙ্গে শেয়ার করুন ভালবাসার স্মৃতিগুলো। দেখবেন, জীবনটা আরও বেশি সহজ ও মধুর হয়ে উঠবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুরে টাইফয়েড টিকাদান কর্মশালা অনুষ্ঠিত

সম্পর্কের পালাবদল: প্রেম ও বিয়ে!

আপডেট সময় : ০১:৩৩:৫২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

প্রায় এক যুগ চুটিয়ে প্রেম করার পর অবশেষে সংসার বেঁধেছেন অমিত ও লাবণ্য। নতুন সংসার নিয়ে দুজনেরই অনেক স্বপ্ন। মনের মাধুরী দিয়ে দুজনে সাজাবেন তাদের ছোট্ট সংসার। যেখানে থাকবে না ভালোবাসার কোন অভাব। বিয়ের আগে এ রকম নানা জল্পনা-কল্পনা তাদের। আজ সত্যিই তাদের ছোট সংসার হয়েছে। কিন্তু সময়ের আবর্তে কেন জানি ভালোবাসা অনেক কমে গেছে। আজ আর আগের মতো করে অমিত লাবণ্যকে ভালোবাসে না।

একটি মাল্টি-ন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করে অমিত। তাই সবসময় প্রচণ্ড ব্যস্ত থাকতে হয় তাকে। আবার প্রতিদিন পাঁচ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েও অফিসে যেতে হয়। অফিস থেকে ফিরে তাই কথা বলার ইচ্ছাও করে না তার। ফলে আর আগের মতো সময় দেওয়া হয় না লাবণ্যকে। তাই প্রায় সারাদিনই একা থাকতে হয় লাবণ্যকে। এতে সবসময় একাকিত্ব বোধ করে সে।

এভাবে দিনের পর দিন চলে যায়, বাড়তে থাকে দুজনার মধ্যকার দূরত্ব। এখন প্রয়োজনীয় কথা ছাড়া অন্য কোন কথাই হয় না তাদের মাঝে। অথচ এমন একসময় ছিল যখন সারাদিনের জমানো কথাগুলো রাতে না বললে কারো ঘুম আসতো না।

আসলে প্রতিটি ভালবাসা শুরু হয় অনেক আশা আকাংখা এবং চাওয়া-পাওয়ার মধ্য দিয়ে। তাই এখানে কোনো কম্প্রোমাইজের স্থান থাকে না। দুজন দুজনার দৃষ্টিতে সবকিছুর ব্যাখ্যা খোঁজে। যার ফলে শুরু হয় দ্বন্দের সূত্রপাত।

সবাই নিজ নিজ অবস্থানকে তখন সঠিক বলে মনে করে। আর এটাই কাল হয়ে দাঁড়ায়। অথচ সঙ্গী-সঙ্গিনী পরস্পরকে বোঝার চেষ্টা করলেই কিন্তু সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কারণ পারস্পারিক ভালো বোঝাপড়াই সম্পর্ককে মধুর করে তোলে।

মনে রাখতে হবে, মানুষের সবদিন এক রকম যায়না। একদিন ভুল করলে যে পরের বারও একই ভুল হবে এমন চিন্তা করা ঠিক নয়। একবার কথা না রাখতে পারলে দুজনারই উচিত পরের বার যেভাবেই হোক কথা রাখার চেষ্টা করা।

শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজেদের জন্য কিছু একান্ত সময় বের করুন। তারপর সময় সুযোগ মতো সঙ্গিনীর সঙ্গে শেয়ার করুন ভালবাসার স্মৃতিগুলো। দেখবেন, জীবনটা আরও বেশি সহজ ও মধুর হয়ে উঠবে।