শিরোনাম :
Logo কৃষকদের কষ্ট লাগবে জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিদর্শন করলেন পিআইও রাকিবুল ইসলাম Logo শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা Logo ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে শোক দিবস পালন Logo বেরোবিতে শহিদ আবু সাঈদ মিউজিয়াম গেইট ও চত্বরের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন Logo ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ায় আহত ১৬ Logo কিশোর অপরাধ দমনে চাঁদপুর জেলা পুলিশের কঠোর অবস্থান কিশোর অপরাধের ভয়াবহ পরিণতি উপলব্ধি করতে পারেন কেবল ভুক্তভোগী পিতা-মাতা ………….মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম Logo ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (চাঁদপুর-২ আসনে)” এমপি প্রার্থী মুফতী মানসুর আহমদ সাকী Logo রাজশাহীর বাগমারায় বজ্রপাতে যুবক নিহত Logo মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রীসহ রাজশাহীতে ২০ জন আটক Logo কয়রায় জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

দুবাই যুবরাজের বর্ণাঢ্য জীবনযাপন !

  • আপডেট সময় : ০৪:৩৬:০১ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

হতে পারেন তিনি দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স, কিন্তু শেখ হামদান বিন মোহাম্মাদ বিন রশিদ আল মাকতুম (ফাজা নামে পরিচিত) ছবি শেয়ারিং সাইট ইনস্টাগ্রামেও জনপ্রিয়।

 

ইনস্টাগ্রামে ৩৪ বছর বয়সী এই যুবরাজের ৫১ লাখের বেশি ফলোয়ার রয়েছে এবং টুইটারে রয়েছে প্রায় ২৫ লাখ ফলোয়ার। তার প্রতিদিনের কোটিপতি জীবনধারার আভাস পাওয়া যায় ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা রোমাঞ্চকর ভ্রমণের ছবিগুলোর মাধ্যমে।

 

তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং প্রশাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুমের দ্বিতীয় সন্তান। ২০১৩ সালের একটি হিসাব অনুসারে, তার পিতা আনুমানিক ১৩.৯ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক।

 

২০০৮ সালে ফাজাকে তার পিতা দুবাইয়ের ক্রাউন-প্রিন্স হিসেবে ঘোষণা করে, ফাজার বড় ভাই থাকা সত্ত্বেও। ফাজার বড় ভাই শেখ রশিদ বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম মাত্র ৩৩ বছর বয়সে ২০১৫ সালে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করে।

 

দুবাই এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল, দুবাই অটিজম সেন্টার এবং দুবাই স্পোর্টস কাউন্সিলের চেয়্যারম্যান পদে রয়েছেন ফাজা। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় তার পোস্টকরা ছবিগুলো দেখে মনে হবে, তাকে আসলে ব্যস্ত রাখছে তার শখ পূরণ।

 

স্কাই ডাইভিং, অশ্বারোহণ, সাইক্লিং, জিপলিং এবং ডাইভিং তার শখের তালিকার কিছু উদাহারণমাত্র। এছাড়াও তিনি দক্ষ ফটোগ্রাফার, বিশ্বভ্রমণকারী এবং কবি।

 

দুবাইয়ের এই যুবরাজ তার বর্ণাঢ্য জীবনযাপন ও রোমাঞ্চকর ভ্রমণের ছবি ইনস্টাগ্রামে ৫১ লাখের বেশি ফলোয়ারের সঙ্গে নিয়মিত শেয়ার করে থাকেন। তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে লেখা রয়েছে, ‘প্রতিটি ছবির একটি গল্প থাকে এবং প্রতিটি গল্পের একটি সময় থাকে, যা আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভালোবাসি। ধন্যবাদ এবং উপভোগ করুন।’

 

তার ইনস্টাগ্রামের কিছু ছবি নিয়ে বর্ণাঢ্য জীবনযাপন তুলে ধরা হলো।

 

ভ্রমণে এবং পিতার সঙ্গে যুবরাজ ফাজা।

 

দুবাই যুবরাজ ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন এবং পৃথিবী অন্বেষণে সময় ব্যয় করে থাকেন। ছবিতে একটি আইল্যান্ডে, কানাডার একটি ব্যালকনিতে এবং তুষারে ক্লামবিংয়ে যুবরাজ ফাজা।

 

ইতালির পিসা টাওয়ারের সামনে যুবরাজ ফাজা। তিনি সাধারণত ভ্রমণে বিলাসিতা পছন্দ করেন, ছবিতে এমিরাটসের ফার্স্ট ক্লাস ফ্লাইটে তিনি। তবে তিনি লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ডের মতো পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও বিনয়ী। লন্ডন তার ভালোভাবে পরিচিত। তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর মর্যাদাপূর্ণ স্কুল স্যান্ডহার্স্ট মিলিটারি একাডেমিতে (ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স উইলিয়াম এবং প্রিন্স হ্যারি ও এই স্কুলে পড়েছেন) পড়ালেখা করেছেন এবং পরবর্তীতে লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিস্কে পড়ালেখা করেছেন।

 

তিনি প্রচুর সেলফি তুলে থাকেন, তাই তার নানা মুহূর্ত ফলোয়ারদের কাছে নথিভুক্ত হয় ছবির মাধ্যমে। এছাড়া তিনি একজন দক্ষ ফটোগ্রাফার।

 

দুবাই যুবরাজ দক্ষ ক্রীড়াবিদ, বর্শা দিয়ে মাছ ধরা পছন্দ করেন, সাইকেলিং পছন্দ করেন।

 

জিপলিং, স্নো বোর্ডিং, টেনিস খেলাও তার শখের তালিকায় রয়েছে।

 

সমুদ্রে ডাইভিং এর পাশাপাশি তিনি একজন সেমি-প্রফেশনাল স্কাই ডাইভার। অশ্বারোহণ তার পছন্দ। ২০১৫ সালে তিনি শেখ মুহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম এন্ডরেন্স কাপ প্রতিযোগিতায় ১৬০ কিলোমিটার ঘোড়া সওয়ার যাত্রায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কৃষকদের কষ্ট লাগবে জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিদর্শন করলেন পিআইও রাকিবুল ইসলাম

দুবাই যুবরাজের বর্ণাঢ্য জীবনযাপন !

আপডেট সময় : ০৪:৩৬:০১ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

হতে পারেন তিনি দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স, কিন্তু শেখ হামদান বিন মোহাম্মাদ বিন রশিদ আল মাকতুম (ফাজা নামে পরিচিত) ছবি শেয়ারিং সাইট ইনস্টাগ্রামেও জনপ্রিয়।

 

ইনস্টাগ্রামে ৩৪ বছর বয়সী এই যুবরাজের ৫১ লাখের বেশি ফলোয়ার রয়েছে এবং টুইটারে রয়েছে প্রায় ২৫ লাখ ফলোয়ার। তার প্রতিদিনের কোটিপতি জীবনধারার আভাস পাওয়া যায় ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা রোমাঞ্চকর ভ্রমণের ছবিগুলোর মাধ্যমে।

 

তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং প্রশাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুমের দ্বিতীয় সন্তান। ২০১৩ সালের একটি হিসাব অনুসারে, তার পিতা আনুমানিক ১৩.৯ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক।

 

২০০৮ সালে ফাজাকে তার পিতা দুবাইয়ের ক্রাউন-প্রিন্স হিসেবে ঘোষণা করে, ফাজার বড় ভাই থাকা সত্ত্বেও। ফাজার বড় ভাই শেখ রশিদ বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম মাত্র ৩৩ বছর বয়সে ২০১৫ সালে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করে।

 

দুবাই এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল, দুবাই অটিজম সেন্টার এবং দুবাই স্পোর্টস কাউন্সিলের চেয়্যারম্যান পদে রয়েছেন ফাজা। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় তার পোস্টকরা ছবিগুলো দেখে মনে হবে, তাকে আসলে ব্যস্ত রাখছে তার শখ পূরণ।

 

স্কাই ডাইভিং, অশ্বারোহণ, সাইক্লিং, জিপলিং এবং ডাইভিং তার শখের তালিকার কিছু উদাহারণমাত্র। এছাড়াও তিনি দক্ষ ফটোগ্রাফার, বিশ্বভ্রমণকারী এবং কবি।

 

দুবাইয়ের এই যুবরাজ তার বর্ণাঢ্য জীবনযাপন ও রোমাঞ্চকর ভ্রমণের ছবি ইনস্টাগ্রামে ৫১ লাখের বেশি ফলোয়ারের সঙ্গে নিয়মিত শেয়ার করে থাকেন। তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে লেখা রয়েছে, ‘প্রতিটি ছবির একটি গল্প থাকে এবং প্রতিটি গল্পের একটি সময় থাকে, যা আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভালোবাসি। ধন্যবাদ এবং উপভোগ করুন।’

 

তার ইনস্টাগ্রামের কিছু ছবি নিয়ে বর্ণাঢ্য জীবনযাপন তুলে ধরা হলো।

 

ভ্রমণে এবং পিতার সঙ্গে যুবরাজ ফাজা।

 

দুবাই যুবরাজ ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন এবং পৃথিবী অন্বেষণে সময় ব্যয় করে থাকেন। ছবিতে একটি আইল্যান্ডে, কানাডার একটি ব্যালকনিতে এবং তুষারে ক্লামবিংয়ে যুবরাজ ফাজা।

 

ইতালির পিসা টাওয়ারের সামনে যুবরাজ ফাজা। তিনি সাধারণত ভ্রমণে বিলাসিতা পছন্দ করেন, ছবিতে এমিরাটসের ফার্স্ট ক্লাস ফ্লাইটে তিনি। তবে তিনি লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ডের মতো পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও বিনয়ী। লন্ডন তার ভালোভাবে পরিচিত। তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর মর্যাদাপূর্ণ স্কুল স্যান্ডহার্স্ট মিলিটারি একাডেমিতে (ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স উইলিয়াম এবং প্রিন্স হ্যারি ও এই স্কুলে পড়েছেন) পড়ালেখা করেছেন এবং পরবর্তীতে লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিস্কে পড়ালেখা করেছেন।

 

তিনি প্রচুর সেলফি তুলে থাকেন, তাই তার নানা মুহূর্ত ফলোয়ারদের কাছে নথিভুক্ত হয় ছবির মাধ্যমে। এছাড়া তিনি একজন দক্ষ ফটোগ্রাফার।

 

দুবাই যুবরাজ দক্ষ ক্রীড়াবিদ, বর্শা দিয়ে মাছ ধরা পছন্দ করেন, সাইকেলিং পছন্দ করেন।

 

জিপলিং, স্নো বোর্ডিং, টেনিস খেলাও তার শখের তালিকায় রয়েছে।

 

সমুদ্রে ডাইভিং এর পাশাপাশি তিনি একজন সেমি-প্রফেশনাল স্কাই ডাইভার। অশ্বারোহণ তার পছন্দ। ২০১৫ সালে তিনি শেখ মুহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম এন্ডরেন্স কাপ প্রতিযোগিতায় ১৬০ কিলোমিটার ঘোড়া সওয়ার যাত্রায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন।