শিরোনাম :
Logo সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন Logo বর্ষায় মসলা সংরক্ষণের ৫ উপায় Logo ৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে ব্যাংক Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে মিলল শিক্ষার্থীর মরদেহ Logo সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ Logo অর্থের বিনিময়ে পলাশবাড়ীর খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ দিয়ে লাপাত্তা টিসিএফ Logo ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু; শিক্ষার্থীরা রাবি মেডিকেলের নাম দিল নাপা সেন্টার Logo জাতির উন্নতির জন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন – মির্জা গালিব Logo গোপালগঞ্জে চলমান কারফিউ’র মেয়াদ বাড়লো Logo লেডি দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক সভা মাদক সমাজ ও জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয় ………….সাখাওয়াত জামিল সৈকত

গরু চোর সন্দেহে পুলিশ সদস্যকে পিটুনি, আসামিদের পলায়ন !

  • আপডেট সময় : ০২:৩০:১২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গরু চোর সন্দেহে পুলিশের এক এএসআইকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে এলাকাবাসী। একই সাথে এক গরু চোরকেও পিটিয়েছে তারা। আর এই ফাঁকে কাভার্ডভ্যান থেকে পালিয়ে যায় গ্রেফতার হওয়া পাঁচ আসামি। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার ভাদগ্রাম ইউনিয়নের আটগড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যের নাম মো. সোহেল রানা খন্দকার। এছাড়া গরু চোরের নাম মো. তারা মিয়া (৫০)। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ি গ্রামে বলে জানা গেছে। বর্তমানে আহত পুলিশ সদস্য এবং ওই গরু চোর কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাতে আটঘড়ি গ্রামের মীর লিয়াকত আলীর (৫৫) বাড়ি থেকে চোররা তিনটি গরু নিয়ে একটি কাভার্ডভ্যানে করে পালানোর চেষ্টা করে। পরে গরু মালিকদের চিৎকারে পাশের গ্রামে চোরদের কাভার্ডভ্যানকে আটক করা হয়। এ সময় একজন চোরকে আটক করে পেটাতে থাকে পুলিশ। বাকিরা পালিয়ে যায়। প্রায় একই সময়ে ওয়ার্শী ও ভাদগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৬-৭ জন পলাতক আসামি ধরে নিয়ে একটি ভ্যানে করে থানায় যাচ্ছিল পুলিশের একটি কাভার্ডভ্যান। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাদেরও গরু চোর সন্দেহে পিটাতে থাকে। এ সময় মির্জাপুর থানা পুলিশের এএসআই সোহেল রানা গুরুতর আহত হন। হামলার সময় গ্রেফতারকৃত ৫ আসামি পালিয়ে যায়। মির্জাপুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা মিয়া নামে গরু চোর ও পুলিশের এএসআই সোহেলকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, ৭/৮ জন জুয়াড়িসহ কয়েকজন পলাতক আসামিদের ধরে পুলিশ থানায় নিয়ে আসছিলেন। ভাদগ্রাম এলাকা থেকে গরু চোরের দল গরু চুরি করে পালানোর চেষ্টা করেছিল। এ সময় এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এক গরু চোরকে আটক করা হয়েছে। আহত এএসআই সোহেল রানাকেও হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত কোনো আসামি পালিয়ে যায়নি। পালিয়ে গেছে গরু চোরের ৫-৬ সদস্য। তাদের ধরতে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় চিরুনি অভিযানে নেমেছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন

গরু চোর সন্দেহে পুলিশ সদস্যকে পিটুনি, আসামিদের পলায়ন !

আপডেট সময় : ০২:৩০:১২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গরু চোর সন্দেহে পুলিশের এক এএসআইকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে এলাকাবাসী। একই সাথে এক গরু চোরকেও পিটিয়েছে তারা। আর এই ফাঁকে কাভার্ডভ্যান থেকে পালিয়ে যায় গ্রেফতার হওয়া পাঁচ আসামি। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার ভাদগ্রাম ইউনিয়নের আটগড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যের নাম মো. সোহেল রানা খন্দকার। এছাড়া গরু চোরের নাম মো. তারা মিয়া (৫০)। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ি গ্রামে বলে জানা গেছে। বর্তমানে আহত পুলিশ সদস্য এবং ওই গরু চোর কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাতে আটঘড়ি গ্রামের মীর লিয়াকত আলীর (৫৫) বাড়ি থেকে চোররা তিনটি গরু নিয়ে একটি কাভার্ডভ্যানে করে পালানোর চেষ্টা করে। পরে গরু মালিকদের চিৎকারে পাশের গ্রামে চোরদের কাভার্ডভ্যানকে আটক করা হয়। এ সময় একজন চোরকে আটক করে পেটাতে থাকে পুলিশ। বাকিরা পালিয়ে যায়। প্রায় একই সময়ে ওয়ার্শী ও ভাদগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৬-৭ জন পলাতক আসামি ধরে নিয়ে একটি ভ্যানে করে থানায় যাচ্ছিল পুলিশের একটি কাভার্ডভ্যান। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাদেরও গরু চোর সন্দেহে পিটাতে থাকে। এ সময় মির্জাপুর থানা পুলিশের এএসআই সোহেল রানা গুরুতর আহত হন। হামলার সময় গ্রেফতারকৃত ৫ আসামি পালিয়ে যায়। মির্জাপুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা মিয়া নামে গরু চোর ও পুলিশের এএসআই সোহেলকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, ৭/৮ জন জুয়াড়িসহ কয়েকজন পলাতক আসামিদের ধরে পুলিশ থানায় নিয়ে আসছিলেন। ভাদগ্রাম এলাকা থেকে গরু চোরের দল গরু চুরি করে পালানোর চেষ্টা করেছিল। এ সময় এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এক গরু চোরকে আটক করা হয়েছে। আহত এএসআই সোহেল রানাকেও হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত কোনো আসামি পালিয়ে যায়নি। পালিয়ে গেছে গরু চোরের ৫-৬ সদস্য। তাদের ধরতে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় চিরুনি অভিযানে নেমেছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।