শিরোনাম :
Logo চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জাফরপুরে যাত্রীবাহী বাসচাপায় মাহফুজুর রহমান (২৮) নামের এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। Logo দুই ক্যাসিনো মাস্টার গ্রেফতার, ১৬ মোবাইল ও ৩ ল্যাপটপ জব্দ Logo সাজিদের হত্যাকারী গ্রেপ্তারের দাবিতে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্র আন্দোলনের সংহতি প্রকাশ Logo সভাপতি রণি, সম্পাদক লিমা ও পরিচালক মিজান চাঁদপুরে প্যাপিরাস পাঠাগার উদ্বোধন Logo বেরোবির ১৭ বছর: সংগ্রাম পেরিয়ে সম্ভাবনার দিগন্তে Logo বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে ইসলামিক সমাজব্যবস্থা কায়েমের আহ্বান— কয়রায় ঐতিহাসিক ছাত্র-যুব সমাবেশে মিয়া গোলাম পরওয়ার Logo ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামে যোগ দিতে কাল রোম যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo সলঙ্গায় লাউক্ষেত থেকে গ্রাম পুলিশের মরদেহ উদ্ধার Logo চাঁদপুরের যুব গনফোরামের কর্মীসভা স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষ যুব প্রজন্ম দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে: অ্যাড.সেলিম আকবর Logo পলাশবাড়ীতে মসজিদের অনুদানের আবেদন নিয়ে বিতর্ক

পলাশবাড়ীতে মসজিদের অনুদানের আবেদন নিয়ে বিতর্ক

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৪:৫০:০৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • ৭০৯ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের পূর্ব ফরিদপুর দক্ষিণপাড়া শাহী জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলার ছাদ নির্মাণে অনুদান প্রসঙ্গকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা দেখা দিয়েছে।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন অর রশীদ ১০ অক্টোবর স্থানীয় শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ ও কালি মন্দিরের সভাপতি শ্রী হরিদাস চন্দ্রের কাছে লিখিতভাবে আর্থিক সহযোগিতা চান। বিষয়টি মসজিদ কমিটির অন্যান্য সদস্য কিংবা স্থানীয় আলেম-ওলামাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই করা হয় বলে জানা গেছে।
লিখিত আবেদনটি হাতে পাওয়ার পর হরিদাস চন্দ্র তাৎক্ষণিকভাবে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হলে সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ তাকে আবেদনটি মুছে ফেলার অনুরোধ করেন। পরে হরিদাস চন্দ্র পোস্টটি সরিয়ে নেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ মনে করছেন—মসজিদের জন্য অন্য ধর্মাবলম্বীর কাছে লিখিতভাবে অনুদান চাওয়া শোভনীয় হয়নি। আবার অনেকে বলছেন—আবেদনপত্রটি ফেসবুকে প্রকাশ করে বিষয়টিকে অযথা আলোচনায় আনা সমীচীন হয়নি।
এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি একাধিক স্থানে অনুদানের আবেদন করেছি। ভুলবশত হরিদাস চন্দ্রের নামও সেখানে চলে গেছে।”
এব্যাপারে পলাশবাড়ী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মোস্তাফিজার রহমান রাজা বলেন মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে অন্যান্য ধর্মলম্বীদের কাছে মসজিদ নির্মাণের জন্য লিখিত আবেদন মোটেও ঠিক হয় নি।  উপজেলার গৃধারীপুর মিয়া বাড়ী জামে মসজিদের ঈমাম হাফেজ মাওলানা মোঃ জাইদুল ইসলাম বলেন যদি নির্মানাধীন কাজ দেখে দান করতো তাহলে কিছুটা ঠিক ছিলো তবে আবেদন করে কোন বিধর্মীর কাছ থেকে মসজিদের জন্য অর্থ চেয়ে আবেদন করা মোটেই ঠিক হয়নি।
বর্তমানে ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জাফরপুরে যাত্রীবাহী বাসচাপায় মাহফুজুর রহমান (২৮) নামের এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন।

পলাশবাড়ীতে মসজিদের অনুদানের আবেদন নিয়ে বিতর্ক

আপডেট সময় : ০৪:৫০:০৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের পূর্ব ফরিদপুর দক্ষিণপাড়া শাহী জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলার ছাদ নির্মাণে অনুদান প্রসঙ্গকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা দেখা দিয়েছে।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন অর রশীদ ১০ অক্টোবর স্থানীয় শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ ও কালি মন্দিরের সভাপতি শ্রী হরিদাস চন্দ্রের কাছে লিখিতভাবে আর্থিক সহযোগিতা চান। বিষয়টি মসজিদ কমিটির অন্যান্য সদস্য কিংবা স্থানীয় আলেম-ওলামাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই করা হয় বলে জানা গেছে।
লিখিত আবেদনটি হাতে পাওয়ার পর হরিদাস চন্দ্র তাৎক্ষণিকভাবে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হলে সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ তাকে আবেদনটি মুছে ফেলার অনুরোধ করেন। পরে হরিদাস চন্দ্র পোস্টটি সরিয়ে নেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ মনে করছেন—মসজিদের জন্য অন্য ধর্মাবলম্বীর কাছে লিখিতভাবে অনুদান চাওয়া শোভনীয় হয়নি। আবার অনেকে বলছেন—আবেদনপত্রটি ফেসবুকে প্রকাশ করে বিষয়টিকে অযথা আলোচনায় আনা সমীচীন হয়নি।
এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি একাধিক স্থানে অনুদানের আবেদন করেছি। ভুলবশত হরিদাস চন্দ্রের নামও সেখানে চলে গেছে।”
এব্যাপারে পলাশবাড়ী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মোস্তাফিজার রহমান রাজা বলেন মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে অন্যান্য ধর্মলম্বীদের কাছে মসজিদ নির্মাণের জন্য লিখিত আবেদন মোটেও ঠিক হয় নি।  উপজেলার গৃধারীপুর মিয়া বাড়ী জামে মসজিদের ঈমাম হাফেজ মাওলানা মোঃ জাইদুল ইসলাম বলেন যদি নির্মানাধীন কাজ দেখে দান করতো তাহলে কিছুটা ঠিক ছিলো তবে আবেদন করে কোন বিধর্মীর কাছ থেকে মসজিদের জন্য অর্থ চেয়ে আবেদন করা মোটেই ঠিক হয়নি।
বর্তমানে ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।