বৃহস্পতিবার | ২৭ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান Logo নোবিপ্রবিতে সীরাত মাহফিল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত Logo ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলো রেজুয়ারা চকরিয়ায় রেললাইন পার হবার সময় ট্রেনের ইঞ্জিন বগির ধাক্কার বৃদ্ধা নারী নিহত Logo ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে যেকোনো দিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে : ইসি সানাউল্লাহ Logo চুয়াডাঙ্গায় কৃষকদের সাথে চলছে এক প্রকার প্রতারণা। আসল কোম্পানির মোড়কের মধ্যে নকল ভুট্টা বীজ ঢুকিয়ে বিক্রি

পলাশবাড়ীতে মসজিদের অনুদানের আবেদন নিয়ে বিতর্ক

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৪:৫০:০৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • ৭৫৪ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের পূর্ব ফরিদপুর দক্ষিণপাড়া শাহী জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলার ছাদ নির্মাণে অনুদান প্রসঙ্গকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা দেখা দিয়েছে।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন অর রশীদ ১০ অক্টোবর স্থানীয় শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ ও কালি মন্দিরের সভাপতি শ্রী হরিদাস চন্দ্রের কাছে লিখিতভাবে আর্থিক সহযোগিতা চান। বিষয়টি মসজিদ কমিটির অন্যান্য সদস্য কিংবা স্থানীয় আলেম-ওলামাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই করা হয় বলে জানা গেছে।
লিখিত আবেদনটি হাতে পাওয়ার পর হরিদাস চন্দ্র তাৎক্ষণিকভাবে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হলে সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ তাকে আবেদনটি মুছে ফেলার অনুরোধ করেন। পরে হরিদাস চন্দ্র পোস্টটি সরিয়ে নেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ মনে করছেন—মসজিদের জন্য অন্য ধর্মাবলম্বীর কাছে লিখিতভাবে অনুদান চাওয়া শোভনীয় হয়নি। আবার অনেকে বলছেন—আবেদনপত্রটি ফেসবুকে প্রকাশ করে বিষয়টিকে অযথা আলোচনায় আনা সমীচীন হয়নি।
এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি একাধিক স্থানে অনুদানের আবেদন করেছি। ভুলবশত হরিদাস চন্দ্রের নামও সেখানে চলে গেছে।”
এব্যাপারে পলাশবাড়ী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মোস্তাফিজার রহমান রাজা বলেন মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে অন্যান্য ধর্মলম্বীদের কাছে মসজিদ নির্মাণের জন্য লিখিত আবেদন মোটেও ঠিক হয় নি।  উপজেলার গৃধারীপুর মিয়া বাড়ী জামে মসজিদের ঈমাম হাফেজ মাওলানা মোঃ জাইদুল ইসলাম বলেন যদি নির্মানাধীন কাজ দেখে দান করতো তাহলে কিছুটা ঠিক ছিলো তবে আবেদন করে কোন বিধর্মীর কাছ থেকে মসজিদের জন্য অর্থ চেয়ে আবেদন করা মোটেই ঠিক হয়নি।
বর্তমানে ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

পলাশবাড়ীতে মসজিদের অনুদানের আবেদন নিয়ে বিতর্ক

আপডেট সময় : ০৪:৫০:০৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের পূর্ব ফরিদপুর দক্ষিণপাড়া শাহী জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলার ছাদ নির্মাণে অনুদান প্রসঙ্গকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা দেখা দিয়েছে।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন অর রশীদ ১০ অক্টোবর স্থানীয় শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ ও কালি মন্দিরের সভাপতি শ্রী হরিদাস চন্দ্রের কাছে লিখিতভাবে আর্থিক সহযোগিতা চান। বিষয়টি মসজিদ কমিটির অন্যান্য সদস্য কিংবা স্থানীয় আলেম-ওলামাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই করা হয় বলে জানা গেছে।
লিখিত আবেদনটি হাতে পাওয়ার পর হরিদাস চন্দ্র তাৎক্ষণিকভাবে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হলে সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ তাকে আবেদনটি মুছে ফেলার অনুরোধ করেন। পরে হরিদাস চন্দ্র পোস্টটি সরিয়ে নেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ মনে করছেন—মসজিদের জন্য অন্য ধর্মাবলম্বীর কাছে লিখিতভাবে অনুদান চাওয়া শোভনীয় হয়নি। আবার অনেকে বলছেন—আবেদনপত্রটি ফেসবুকে প্রকাশ করে বিষয়টিকে অযথা আলোচনায় আনা সমীচীন হয়নি।
এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি একাধিক স্থানে অনুদানের আবেদন করেছি। ভুলবশত হরিদাস চন্দ্রের নামও সেখানে চলে গেছে।”
এব্যাপারে পলাশবাড়ী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মোস্তাফিজার রহমান রাজা বলেন মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে অন্যান্য ধর্মলম্বীদের কাছে মসজিদ নির্মাণের জন্য লিখিত আবেদন মোটেও ঠিক হয় নি।  উপজেলার গৃধারীপুর মিয়া বাড়ী জামে মসজিদের ঈমাম হাফেজ মাওলানা মোঃ জাইদুল ইসলাম বলেন যদি নির্মানাধীন কাজ দেখে দান করতো তাহলে কিছুটা ঠিক ছিলো তবে আবেদন করে কোন বিধর্মীর কাছ থেকে মসজিদের জন্য অর্থ চেয়ে আবেদন করা মোটেই ঠিক হয়নি।
বর্তমানে ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।