জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) বর্তমানে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে ৪০টিরও বেশি শিক্ষার্থী সংগঠন। তবে সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে এসব সংগঠনের কার্যক্রম নিয়মিতভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব সংগঠনের নেই নির্দিষ্ট কোনো অফিস কক্ষ বা বসার জায়গা। অনুষ্ঠান আয়োজনেও দেখা দেয় নানা সংকট। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠান করতে হলে প্রশাসনের কাছে গুনতে হয় এক হাজার টাকা। অধিকাংশ সংগঠনের পক্ষেই এই খরচ বহন করা সম্ভব নয়।
সম্প্রতি এক মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন সাংবাদিক সমিতির সামনে।
এমসিসি ক্লাবের সভাপতি মাসুম মিয়া বলেন, “প্রশাসনের উচিত টি.এস.সি’র নির্মাণকাজ দ্রুত সম্পন্ন করে তা সংগঠনগুলোর জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া। এতে সংগঠনগুলোর কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।”
নবোদ্যম ফাউন্ডেশন জাককানইবি’র সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রনি বলেন, “কনফারেন্স রুম ব্যবহারে যে পরিমাণ অর্থ দিতে হয়, তা অধিকাংশ সংগঠনের পক্ষেই বহনযোগ্য নয়। এই চার্জ কমানো দরকার।”
একাধিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী রুহানা রিমি বলেন, “এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো অডিটোরিয়াম তৈরি হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে অডিটোরিয়াম থাকলে সংগঠন গুলোর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান খুব সহজেই আয়োজন করতে পারতো।”
এছাড়াও অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিরাও একই ধরনের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। তাদের মতে, প্রশাসন যদি সংগঠনগুলোর জন্য নির্দিষ্ট কক্ষ, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া ও সুস্পষ্ট নীতিমালা নির্ধারণ করে দেয়, তাহলে অনেক সমস্যারই সমাধান সম্ভব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও নেতৃত্ব গঠনে এসব সংগঠনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে এসব সংগঠন ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।