চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নোয়াদ্দা গ্রামের দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া প্রবাসফেরত ইসমাইল হোসেনের জীবন আজ চরম দুঃখ–কষ্টে নিপতিত। ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় দুই বছর আগে জীবিকার তাগিদে ওমান গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে কাজ করার সময় গাছ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে তার বাম পা ভেঙে যায়।
পরে দেশে ফিরে সীমিত চিকিৎসা নিলেও অর্থাভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারেননি ইসমাইল হোসেন।
বর্তমানে তিনি পা কুড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলাফেরা করছেন।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় তার অক্ষমতা পুরো পরিবারকে মারাত্মক সংকটে ফেলে দিয়েছে। একদিকে দারিদ্র্যের বোঝা, অন্যদিকে ছেলেমেয়ের লালন–পালন ও চিকিৎসার খরচ—সব মিলিয়ে জীবনযুদ্ধ চলছে তার।
ইসমাইল হোসেনের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তার মধ্যে ওমর ফারুক নামে এক ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী। মাকেও প্রতিবন্ধী অবস্থায় নিয়ে জীবন সংগ্রামে দিন কাটছে এই পরিবারটির। বর্তমানে ইসমাইলের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রায় দুই লক্ষ টাকা প্রয়োজন।
কিন্তু অভাবী সংসার হওয়ায় এ বিপুল ব্যয়ভার বহন করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।
ইসমাইল হোসেন বলেন, “ডাক্তাররা বলেছেন, দ্রুত চিকিৎসা করলে আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারব। কিন্তু টাকা না থাকায় কিছুই করতে পারছি না। সমাজের বিত্তবান মানুষ, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে সাহায্যের হাত বাড়ানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।”
এক সময় এলাকায় ভ্যান চালানো, দিনমজুরি ও বিভিন্ন কাজে জীবিকা নির্বাহ করলেও আজ সেই ইসমাইল হোসেন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জরুরি চিকিৎসা ছাড়া তার জীবন আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা।
সমাজের সহৃদয় মানুষ যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তবে হয়তো আবারও সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন ইসমাইল হোসেন। কেউ আত্মিক সহায়তায় দিতে 01638205145 এই নাম্বারে যোগাযোগ করার আহ্বান জানা গেল।