চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের চাংপুর সরকার বাড়িতে কয়েক বছর ধরে জলাবদ্ধতার কারণে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন অন্তত ৬০টি পরিবার। দীর্ঘদিনের এই সমস্যা স্থানীয়দের নিত্যদিনের জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই ওই এলাকায় পানি জমে থাকে মাসের পর মাস। পানির সঠিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ঘরবাড়ি, আঙিনা ও রাস্তা-ঘাট সব জায়গাই তলিয়ে যায়। ফলে ছোট-বড় সবাইকে হাঁটুপানি থেকে শুরু করে কখনো কোমরসমান পানি ডিঙিয়ে চলাফেরা করতে হয়। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মারাত্মক ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে—অনেক সময় বই-খাতা ভিজে নষ্ট হয়ে যায়, পরীক্ষায় অংশ নিতে সমস্যা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর সরকার,রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী,জাহানারা বেগম,জালাল পাটোয়ারী, রাজিয়া বেগম সহ একাধিক লোকজন জানান, বর্ষাকালে তো বটেই, শুকনো মৌসুমেও পানি দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থাকে। এতে গৃহস্থালি কাজ যেমন রান্না-বান্না, কাপড় ধোয়া, এমনকি স্বাভাবিকভাবে ঘরে বসবাসও কষ্টকর হয়ে ওঠে। কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌঁছাতেও পড়তে হয় মারাত্মক বিড়ম্বনায়।
বাসিন্দারা একাধিকবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে এই জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য আবেদন জানালেও এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন। তারা জানান, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী সমাধান ছাড়া এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে না।
প্রতিবছর একই চিত্র পুনরাবৃত্তি হওয়ায় স্থানীয়রা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, যদি দ্রুত উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে এ সমস্যাটি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে এবং এলাকার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়বে।
বিতারা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মোঃ রাকিবুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যে বিষয়টি শুনেছি। তবে সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।