বৃহস্পতিবার | ২৭ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান Logo নোবিপ্রবিতে সীরাত মাহফিল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত Logo ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলো রেজুয়ারা চকরিয়ায় রেললাইন পার হবার সময় ট্রেনের ইঞ্জিন বগির ধাক্কার বৃদ্ধা নারী নিহত Logo ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে যেকোনো দিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে : ইসি সানাউল্লাহ Logo চুয়াডাঙ্গায় কৃষকদের সাথে চলছে এক প্রকার প্রতারণা। আসল কোম্পানির মোড়কের মধ্যে নকল ভুট্টা বীজ ঢুকিয়ে বিক্রি

সাচার ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা আলিম স্তরের অনুমতি পেলো,এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস

সাচার ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার মূল ভবন — এখন থেকে এখানে আলিম স্তরের পাঠদান হবে।

দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ও প্রচেষ্টার পর চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সাচার ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা এবার আলিম স্তরে পাঠদানের অনুমতি পেয়েছে। ৩০ জুলাই বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের এক অফিস আদেশে এই অনুমতি প্রদান করা হয়, যা শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আনন্দ ও উৎসাহের সৃষ্টি করেছে।
১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সাচার ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সুনামের সাথে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। প্রতিবছর দাখিল পরীক্ষায় চমকপ্রদ ফলাফল অর্জন করায় এ প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছে।মাদ্রাসা দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা ও সাফল্যের ধারাবাহিকতায় অবশেষে আলিম স্তরে পাঠদানের অনুমতি লাভ করেছে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ হেদায়েত উল্যাহ বলেন,সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও দোয়ার ফলেই আমরা আলিম স্তরে পাঠদানের অনুমতি পেয়েছি। ভবিষ্যতে শিক্ষার মান আরও উন্নত করতে আমরা অবিরাম কাজ করে যাব।
মাদ্রাসার দাতা সদস্য আলহাজ্ব আব্দুস ছাত্তার বলেন,এটি আমাদের এলাকার জন্য এক ঐতিহাসিক অর্জন। শিক্ষার্থীরা এখন নিজ এলাকায় থেকেই আলিম স্তরে পড়াশোনার সুযোগ পাবে।
মাদ্রাসার বিদ্যুৎসাহী সদস্য খোরশেদ আলম মেম্বার জানান,অনেক দিনের স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ নিলো। শিক্ষার মানোন্নয়নে আমরা সবসময় পাশে থাকবো।
শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তারা শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের সঠিক পাঠদান ও নৈতিক শিক্ষা প্রদানে সচেষ্ট ছিলেন। আলিম স্তরের অনুমতি পাওয়ায় তাদের দায়িত্ব আরও বেড়েছে, যা তারা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করবেন।
এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা জানান, আগে আলিম স্তরে পড়তে শিক্ষার্থীদের দূরের মাদ্রাসায় যেতে হতো, যা সময় ও খরচের বোঝা বাড়াতো। এখন নিজের এলাকায় উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ পেয়ে তারা স্বস্তি ও আনন্দে ভরপুর।
শুধু একটি অনুমতিপত্র নয়—এটি সাচার ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার জন্য একটি নতুন দিগন্তের সূচনা, যা আগামী প্রজন্মের শিক্ষার মান ও সুযোগকে এক ধাপ এগিয়ে নেবে বরং এলাকার শিক্ষার মানোন্নয়নের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

সাচার ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা আলিম স্তরের অনুমতি পেলো,এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস

আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৩৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫

দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ও প্রচেষ্টার পর চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সাচার ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা এবার আলিম স্তরে পাঠদানের অনুমতি পেয়েছে। ৩০ জুলাই বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের এক অফিস আদেশে এই অনুমতি প্রদান করা হয়, যা শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আনন্দ ও উৎসাহের সৃষ্টি করেছে।
১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সাচার ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সুনামের সাথে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। প্রতিবছর দাখিল পরীক্ষায় চমকপ্রদ ফলাফল অর্জন করায় এ প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছে।মাদ্রাসা দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা ও সাফল্যের ধারাবাহিকতায় অবশেষে আলিম স্তরে পাঠদানের অনুমতি লাভ করেছে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ হেদায়েত উল্যাহ বলেন,সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও দোয়ার ফলেই আমরা আলিম স্তরে পাঠদানের অনুমতি পেয়েছি। ভবিষ্যতে শিক্ষার মান আরও উন্নত করতে আমরা অবিরাম কাজ করে যাব।
মাদ্রাসার দাতা সদস্য আলহাজ্ব আব্দুস ছাত্তার বলেন,এটি আমাদের এলাকার জন্য এক ঐতিহাসিক অর্জন। শিক্ষার্থীরা এখন নিজ এলাকায় থেকেই আলিম স্তরে পড়াশোনার সুযোগ পাবে।
মাদ্রাসার বিদ্যুৎসাহী সদস্য খোরশেদ আলম মেম্বার জানান,অনেক দিনের স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ নিলো। শিক্ষার মানোন্নয়নে আমরা সবসময় পাশে থাকবো।
শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তারা শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের সঠিক পাঠদান ও নৈতিক শিক্ষা প্রদানে সচেষ্ট ছিলেন। আলিম স্তরের অনুমতি পাওয়ায় তাদের দায়িত্ব আরও বেড়েছে, যা তারা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করবেন।
এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা জানান, আগে আলিম স্তরে পড়তে শিক্ষার্থীদের দূরের মাদ্রাসায় যেতে হতো, যা সময় ও খরচের বোঝা বাড়াতো। এখন নিজের এলাকায় উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ পেয়ে তারা স্বস্তি ও আনন্দে ভরপুর।
শুধু একটি অনুমতিপত্র নয়—এটি সাচার ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার জন্য একটি নতুন দিগন্তের সূচনা, যা আগামী প্রজন্মের শিক্ষার মান ও সুযোগকে এক ধাপ এগিয়ে নেবে বরং এলাকার শিক্ষার মানোন্নয়নের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।