খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) তীব্র আবাসন সঙ্কট নিরসনে গল্লামারী মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে খোলা চিঠি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ‘টু ওয়ান’ নামের একটি ফেসবুক পেজে প্রকাশিত চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে খুবির প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ফলে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা গল্লামারীস্থ মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে আসছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ মার্চ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার খুবির প্রধান ফটক উদ্বোধনকালে শিক্ষার্থীদের দাবিকে ‘যৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার উভয়ই সরকারি প্রতিষ্ঠান, তাই উভয়ের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান আসবে বলে আশা করছেন।
কিন্তু সম্প্রতি জানা গেছে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে খামারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হস্তান্তর না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ভাষ্যে, এই সিদ্ধান্ত শহিদ মীর মুগ্ধের দাবি ও পূর্ব প্রতিশ্রুতির পরিপন্থী।
চিঠিতে আরও বলা হয়, খামারটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড হিসেবে অবস্থান করছে, যা নিরাপত্তা, সৌন্দর্যবর্ধন এবং পরিকল্পিত অবকাঠামো উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন হল নির্মাণ ও সম্প্রসারণের জন্য ১০.৩৫ একর জমি হস্তান্তর জরুরি।
শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বিষয়টি দ্রুত বিবেচনায় নিয়ে গল্লামারী মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হস্তান্তরের ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে।