শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা Logo “কণিকা”সংগঠনের সচেতনতা সেমিনার ও কুইজ এমইএস কলেজে অনুষ্ঠিত Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

সময়মতো পানি পানের উপকারিতা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৫:২৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০১৭
  • ৭৯১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আমরা প্রায়ই শুনি, শরীর ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আবার দিনে আট গ্লাস বা তিন-চার লিটার পানি পানের কথাও বলা হয়। তবে এক্ষেত্রে ‘পরিমাণই’ কিন্তু যথেষ্ট নয়। প্রকৃতপক্ষে ‘প্রয়োজন ও পরিমাণমতো’ পানির সঙ্গে চাই ‘সময়মতো’ পানি পানের অভ্যাস। পানি প্রায় সব সময়ই পান করা যায়, বিশেষ করে যখন তৃষ্ণা পায়, তবে নির্দিষ্ট কিছু সময়ে পানি পান করলে সর্বোচ্চ উপকারিতা পাওয়া যায়।

ঘুম থেকে ওঠার পর
সকালে চোখ খোলার সঙ্গে সঙ্গে কম করে এক-দুই গ্লাস পানি খেতেই হবে। এমনটা করলে শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর সব বিষ বেরিয়ে যায়।

খাওয়ার আগে ও পরে
খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পানি পান করুন। এটা কেবল হজম ভালো করতে সাহায্য করবে না, খিদেও কমাবে। এতে খাওয়ার সময় কম খাওয়া হবে। তাই ওজন কমাতে খাওয়ার আগে পানি পান করুন। আবার, খাওয়ার আধা ঘণ্টা পরে পানি পান করুন। এটি খাবার ভালোমতো শোষণে সাহায্য করবে।

রাতে শুতে যাওয়ার আগে 
রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানি পান করা আবশ্যক। এর ফলে রাতে ঘুমের মধ্যে শরীরে পানির অভাব হওয়ার আশঙ্কা দূর হয় বলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা হৃদরোগে আক্রান্ত (হার্ট অ্যাটাক) হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়।

অসুস্থ থাকলে
সাধারণ দিনের চেয়ে যখন অসুস্থ থাকবেন, তখন বেশি বেশি পানি পান করুন। এটি শরীরকে আর্দ্র রাখবে এবং যেকোনো ধরনের পানিশূন্যতা কমাবে। এটি ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসকে প্রতিরোধে সাহায্য করবে।

গোসলের আগে
প্রতিবার গোসল করার আগে অল্প করে পানি পান করে নেবেন। তাতে শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়, রক্তচাপও স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

শরীরচর্চার আগে ও পরে 
ব্যায়াম শুরু করার আগে ও পরে কম করে এক-দুই গ্লাস পানি পান করা জরুরি। এর ফলে পানিশূন্যতায় (ডিহাইড্রেশন) আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

যখন খুব ক্লান্ত লাগে 
সারাক্ষণই কেমন যেন দুর্বল লাগে কিংবা কাজ করার শক্তিই পাচ্ছেন না। এমন লক্ষণ দেখা গেলে বুঝবেন আপনার শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাই ক্লান্তি বোধ করলেই এক গ্লাস পানি পান করে নেবেন। দেখবেন অনেক তরতাজা লাগবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সময়মতো পানি পানের উপকারিতা !

আপডেট সময় : ০৪:৫৫:২৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আমরা প্রায়ই শুনি, শরীর ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আবার দিনে আট গ্লাস বা তিন-চার লিটার পানি পানের কথাও বলা হয়। তবে এক্ষেত্রে ‘পরিমাণই’ কিন্তু যথেষ্ট নয়। প্রকৃতপক্ষে ‘প্রয়োজন ও পরিমাণমতো’ পানির সঙ্গে চাই ‘সময়মতো’ পানি পানের অভ্যাস। পানি প্রায় সব সময়ই পান করা যায়, বিশেষ করে যখন তৃষ্ণা পায়, তবে নির্দিষ্ট কিছু সময়ে পানি পান করলে সর্বোচ্চ উপকারিতা পাওয়া যায়।

ঘুম থেকে ওঠার পর
সকালে চোখ খোলার সঙ্গে সঙ্গে কম করে এক-দুই গ্লাস পানি খেতেই হবে। এমনটা করলে শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর সব বিষ বেরিয়ে যায়।

খাওয়ার আগে ও পরে
খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পানি পান করুন। এটা কেবল হজম ভালো করতে সাহায্য করবে না, খিদেও কমাবে। এতে খাওয়ার সময় কম খাওয়া হবে। তাই ওজন কমাতে খাওয়ার আগে পানি পান করুন। আবার, খাওয়ার আধা ঘণ্টা পরে পানি পান করুন। এটি খাবার ভালোমতো শোষণে সাহায্য করবে।

রাতে শুতে যাওয়ার আগে 
রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানি পান করা আবশ্যক। এর ফলে রাতে ঘুমের মধ্যে শরীরে পানির অভাব হওয়ার আশঙ্কা দূর হয় বলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা হৃদরোগে আক্রান্ত (হার্ট অ্যাটাক) হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়।

অসুস্থ থাকলে
সাধারণ দিনের চেয়ে যখন অসুস্থ থাকবেন, তখন বেশি বেশি পানি পান করুন। এটি শরীরকে আর্দ্র রাখবে এবং যেকোনো ধরনের পানিশূন্যতা কমাবে। এটি ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসকে প্রতিরোধে সাহায্য করবে।

গোসলের আগে
প্রতিবার গোসল করার আগে অল্প করে পানি পান করে নেবেন। তাতে শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়, রক্তচাপও স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

শরীরচর্চার আগে ও পরে 
ব্যায়াম শুরু করার আগে ও পরে কম করে এক-দুই গ্লাস পানি পান করা জরুরি। এর ফলে পানিশূন্যতায় (ডিহাইড্রেশন) আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

যখন খুব ক্লান্ত লাগে 
সারাক্ষণই কেমন যেন দুর্বল লাগে কিংবা কাজ করার শক্তিই পাচ্ছেন না। এমন লক্ষণ দেখা গেলে বুঝবেন আপনার শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাই ক্লান্তি বোধ করলেই এক গ্লাস পানি পান করে নেবেন। দেখবেন অনেক তরতাজা লাগবে।