শিরোনাম :
Logo আশিকাটি ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায় কর্মসূচীর উদ্বোধন Logo মেধাভিত্তিক নিয়োগ হলে নিয়োগপ্রাপ্ত সকলেই দেশের সম্পদ হবে : আসিফ মাহমুদ Logo অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে হাঙরের আক্রমণে নিহত ১ Logo দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি২০ সিরিজে ডাকেটকে বিশ্রাম দিয়েছে ইংল্যান্ড Logo সাইবার নিরাপত্তা আইন এখন অনেক সক্রিয় : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব Logo পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ Logo সাতক্ষীরায় ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত Logo ইবিতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে র‍্যালি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo সুন্দরগঞ্জে স্কুলছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার Logo চাঁদপুর টেলিভিশনের সাংবাদিকদের সাথে জেলা বিএনপির সভাপতির মতবিনিময়

সময়মতো পানি পানের উপকারিতা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৫:২৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০১৭
  • ৭৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আমরা প্রায়ই শুনি, শরীর ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আবার দিনে আট গ্লাস বা তিন-চার লিটার পানি পানের কথাও বলা হয়। তবে এক্ষেত্রে ‘পরিমাণই’ কিন্তু যথেষ্ট নয়। প্রকৃতপক্ষে ‘প্রয়োজন ও পরিমাণমতো’ পানির সঙ্গে চাই ‘সময়মতো’ পানি পানের অভ্যাস। পানি প্রায় সব সময়ই পান করা যায়, বিশেষ করে যখন তৃষ্ণা পায়, তবে নির্দিষ্ট কিছু সময়ে পানি পান করলে সর্বোচ্চ উপকারিতা পাওয়া যায়।

ঘুম থেকে ওঠার পর
সকালে চোখ খোলার সঙ্গে সঙ্গে কম করে এক-দুই গ্লাস পানি খেতেই হবে। এমনটা করলে শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর সব বিষ বেরিয়ে যায়।

খাওয়ার আগে ও পরে
খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পানি পান করুন। এটা কেবল হজম ভালো করতে সাহায্য করবে না, খিদেও কমাবে। এতে খাওয়ার সময় কম খাওয়া হবে। তাই ওজন কমাতে খাওয়ার আগে পানি পান করুন। আবার, খাওয়ার আধা ঘণ্টা পরে পানি পান করুন। এটি খাবার ভালোমতো শোষণে সাহায্য করবে।

রাতে শুতে যাওয়ার আগে 
রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানি পান করা আবশ্যক। এর ফলে রাতে ঘুমের মধ্যে শরীরে পানির অভাব হওয়ার আশঙ্কা দূর হয় বলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা হৃদরোগে আক্রান্ত (হার্ট অ্যাটাক) হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়।

অসুস্থ থাকলে
সাধারণ দিনের চেয়ে যখন অসুস্থ থাকবেন, তখন বেশি বেশি পানি পান করুন। এটি শরীরকে আর্দ্র রাখবে এবং যেকোনো ধরনের পানিশূন্যতা কমাবে। এটি ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসকে প্রতিরোধে সাহায্য করবে।

গোসলের আগে
প্রতিবার গোসল করার আগে অল্প করে পানি পান করে নেবেন। তাতে শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়, রক্তচাপও স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

শরীরচর্চার আগে ও পরে 
ব্যায়াম শুরু করার আগে ও পরে কম করে এক-দুই গ্লাস পানি পান করা জরুরি। এর ফলে পানিশূন্যতায় (ডিহাইড্রেশন) আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

যখন খুব ক্লান্ত লাগে 
সারাক্ষণই কেমন যেন দুর্বল লাগে কিংবা কাজ করার শক্তিই পাচ্ছেন না। এমন লক্ষণ দেখা গেলে বুঝবেন আপনার শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাই ক্লান্তি বোধ করলেই এক গ্লাস পানি পান করে নেবেন। দেখবেন অনেক তরতাজা লাগবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আশিকাটি ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায় কর্মসূচীর উদ্বোধন

সময়মতো পানি পানের উপকারিতা !

আপডেট সময় : ০৪:৫৫:২৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আমরা প্রায়ই শুনি, শরীর ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আবার দিনে আট গ্লাস বা তিন-চার লিটার পানি পানের কথাও বলা হয়। তবে এক্ষেত্রে ‘পরিমাণই’ কিন্তু যথেষ্ট নয়। প্রকৃতপক্ষে ‘প্রয়োজন ও পরিমাণমতো’ পানির সঙ্গে চাই ‘সময়মতো’ পানি পানের অভ্যাস। পানি প্রায় সব সময়ই পান করা যায়, বিশেষ করে যখন তৃষ্ণা পায়, তবে নির্দিষ্ট কিছু সময়ে পানি পান করলে সর্বোচ্চ উপকারিতা পাওয়া যায়।

ঘুম থেকে ওঠার পর
সকালে চোখ খোলার সঙ্গে সঙ্গে কম করে এক-দুই গ্লাস পানি খেতেই হবে। এমনটা করলে শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর সব বিষ বেরিয়ে যায়।

খাওয়ার আগে ও পরে
খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পানি পান করুন। এটা কেবল হজম ভালো করতে সাহায্য করবে না, খিদেও কমাবে। এতে খাওয়ার সময় কম খাওয়া হবে। তাই ওজন কমাতে খাওয়ার আগে পানি পান করুন। আবার, খাওয়ার আধা ঘণ্টা পরে পানি পান করুন। এটি খাবার ভালোমতো শোষণে সাহায্য করবে।

রাতে শুতে যাওয়ার আগে 
রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানি পান করা আবশ্যক। এর ফলে রাতে ঘুমের মধ্যে শরীরে পানির অভাব হওয়ার আশঙ্কা দূর হয় বলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা হৃদরোগে আক্রান্ত (হার্ট অ্যাটাক) হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়।

অসুস্থ থাকলে
সাধারণ দিনের চেয়ে যখন অসুস্থ থাকবেন, তখন বেশি বেশি পানি পান করুন। এটি শরীরকে আর্দ্র রাখবে এবং যেকোনো ধরনের পানিশূন্যতা কমাবে। এটি ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসকে প্রতিরোধে সাহায্য করবে।

গোসলের আগে
প্রতিবার গোসল করার আগে অল্প করে পানি পান করে নেবেন। তাতে শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়, রক্তচাপও স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

শরীরচর্চার আগে ও পরে 
ব্যায়াম শুরু করার আগে ও পরে কম করে এক-দুই গ্লাস পানি পান করা জরুরি। এর ফলে পানিশূন্যতায় (ডিহাইড্রেশন) আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

যখন খুব ক্লান্ত লাগে 
সারাক্ষণই কেমন যেন দুর্বল লাগে কিংবা কাজ করার শক্তিই পাচ্ছেন না। এমন লক্ষণ দেখা গেলে বুঝবেন আপনার শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাই ক্লান্তি বোধ করলেই এক গ্লাস পানি পান করে নেবেন। দেখবেন অনেক তরতাজা লাগবে।