কলেজছাত্রীদের সঙ্গে নৃত্য করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আলীর নৃত্যের একটি ভিডিও ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাষার মাসে হিন্দি গানে তাল মিলিয়ে কলেজছাত্রীদের সঙ্গে নৃত্য করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার ফেসবুকের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গাসহ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওটি। ফেইসবুক পোস্টের নিচে তাঁর বিরুদ্ধে নানা ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য লিখেছেন অনেকে।চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আলীর নৃত্যের একটি ভিডিও ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাষার মাসে হিন্দি গানে তাল মিলিয়ে কলেজছাত্রীদের সঙ্গে নৃত্য করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার ফেসবুকের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গাসহ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওটি। ফেইসবুক পোস্টের নিচে তাঁর বিরুদ্ধে নানা ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য লিখেছেন অনেকে। জীবননগর সরকারি মহিলা কলেজ সূত্র জানিয়েছে, গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কলেজ প্রাঙ্গণে বসন্তবরণ উৎসবের আয়োজন করা হয়। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে হিন্দি গান বাজিয়ে কলেজের ছাত্রীদের সঙ্গে নৃত্য করেন অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আলী। এরপরই ছাত্রীদের সঙ্গে নৃত্যের ভিডিওটি মঙ্গলবার দুপুরের পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র ১ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন শাড়ি পরা ছাত্রীর সঙ্গে কোমর দুলিয়ে নৃত্য করছেন পাঞ্জাবি-টুপি পরিহিত অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন। এদিকে, ভাষার মাসে হিন্দি গানের তালে ছাত্রীদের সঙ্গে অধ্যক্ষর এমন নৃত্যে অভিভাবকসহ জনমনে নানা প্রশ্ন জেগেছে। অনেকে অধ্যক্ষের কঠোর শাস্তিরও দাবি তুলছেন। এই ভিডিওটি দেখার পর সচেতন ব্যক্তিরা বলেন, ‘ভিডিওটি দেখে আমরা হতবাক। একজন প্রতিষ্ঠানপ্রধান হয়ে কীভাবে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ করলেন অধ্যক্ষ, এটিই আমরা ভেবে পাচ্ছি না।’ অবিলম্বে অধ্যক্ষের শাস্তি দাবি করেন তাঁরা। সুজনের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাহবুবুল ইসলাম সেলিম জানান, ‘ভিডিওটি আমিও দেখেছি। সুস্থ বিবেকবান মানুষ এটির সমালোচনা করবেই।’ তবে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আলী নিজের এমন কাণ্ডের সাফাই গেয়ে বলেন, ‘বসন্তবরণ অনুষ্ঠান চলাকালে ছাত্রীরা জোর করে আমাকে স্টেজে টেনে তুলে নিলে আমি একটু নৃত্য করি। এটিতে আমি দোষের কিছু দেখি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেটা করেছি, প্রকাশ্যে ফান (মজা) করেছি। এটি নিয়ে মানুষ কী মন্তব্য করল, তাতে আমার কিছু যায়-আসে না।’ এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, একজন প্রতিষ্ঠানপ্রধান হিসেবে ভাষার মাসে হিন্দি গান বাজিয়ে মেয়েদের সঙ্গে নৃত্য করা ঠিক হয়নি। জেলা প্রশাসক স্যারের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার এ বিষয়ে বলেন, বসন্তবরণ অনুষ্ঠান খারাপ কিছু না। তবে প্রতিষ্ঠানপ্রধান হয়ে মেয়েদের সঙ্গে নৃত্য করা তাঁর উচিত হয়নি। তিনি বলেন, বিষয়টি অবশ্যই তদন্ত করা হবে। তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ মিললে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।