নিউজ ডেস্ক:
গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেছেন, প্রিজন ভ্যানে হামলা করে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জঙ্গিনেতা মুফতি আবদুল হান্নানকে ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল দুর্বৃত্তদের। এ পরিকল্পনায় আর কারা জড়িত তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
মঙ্গলবার বিকেলে হারুন অর রশিদ মুঠোফোনে বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত মোস্তফা কামালের দেওয়া তথ্য এবং হামলার ধরণ দেখে সন্দেহ করা হচ্ছে, বোমা হামলা করে মুফতি হান্নানকে ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল হামলাকারীদের। কেননা, এ এলাকা দিয়ে প্রতিদিন অনেক ভ্যান যায়। অন্য কোনো ভ্যানে তারা হামলা না করে মুফতিকে বহনকারী ভ্যানে হামলা করা হয়। কিন্তু বোমাগুলো লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে রাস্তায় বিস্ফোরিত হয়।
গাজীপুরের পুলিশ প্রধান আরো বলেন, ‘মোস্তফা কামালকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপরই জানা যাবে সে জঙ্গি কি না, তার জঙ্গি কানেকশন আছে কিনা। একই সঙ্গে হামলার পেছনে আর কারা জড়িত তা জানা যাবে। পুলিশসহ সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তদন্ত করছে। একা কামালের পক্ষে এ হামলা করা সম্ভব নয়। যদিও সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ১০ হাজার টাকা ভাড়ায় হামলার কথা স্বীকার করেছে। সে বলেছে, এক বড় ভাই তাকে এখানে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে কামালের বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যায় হাজিরা শেষে মুফতি হান্নানকে প্রিজন ভ্যানে করে কাশিমপুর কারাগারে আনার পথে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে টঙ্গীর কলেজ গেট এলাকায় হামলা করে দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। প্রিজন ভ্যানে মুফতি হান্নান ও তার সহযোগীরা ছিল।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী হত্যাচেষ্টা মামলায় মুফতির বিরুদ্ধে ফাঁসির পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। তবে হরকাতুল জিহাদের দুর্ধর্ষ ও প্রশিক্ষিত এ জঙ্গি নেতা রিভিউ আবেদন করায় ফাঁসি কার্যকরের চূড়ান্ত কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না কারা কর্তৃপক্ষ।