গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় পৌর-শহরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক ব্যাক্তি। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। পরে আহত ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরামর্শ দেন। পরামর্শ অনুযায়ী রংপুরে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার ঢাকায় রেফার্ড করে দেয়।
আহত মোস্তাফিজুর রহমান (৫২) জামালপুর গ্রামের মৃত বানিজ উদ্দিনের ছেলে।
বুধবার (২০ জুন) দুপুর ২.০০ টার দিকে উপজেলা গেট সংলগ্ন সিএনজি স্ট্যান্ডে প্রকাশ্যে দিবালোকে চেংটু মিয়ার (৫৫) হুকুমে, সজিব শেখ (২২), সায়েদ আলী (৩৫) গংরা মোস্তাফিজুর রহমানকে একা পেয়ে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার মাঝখানে স্বজোরে আঘাত করে। লোকমুখে খবর পেয়ে মোস্তাফিজুর রহমান মেয়ে শিমু আক্তার (২০) ও ভাগিনা বউ শিলা আক্তারসহ (২২) আহত ব্যক্তির বাড়ীর লোকজন ও আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থানে উপস্থিত হতেই চেংটু মিয়া,সজিব শেখ,সায়েদ আলীসহ সকল অপরাধীরা বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে স্থান ত্যাগ করে।
জানা যায়, মোস্তাফিজুর রহমানের ভাগী শরীক চেংটু মিয়া গংদের সাথে বসতবাড়ি সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসিতেছিল। উক্ত বিরোধের জের ধরিয়া মঙ্গলবার (১৯ জুন) সন্ধ্যা অনুমানিক ৬.৩০ মিনিটের দিকে পলাশবাড়ী উপজেলা গেটের সামনে মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে চেংটু মিয়া ও তার স্ত্রী আকাশী বেগম (৪৫), চেংটু মিয়ার মেয়ে সাদিয়া আক্তার (২০), চেংটু মিয়ার ছেলে সজিব শেখ,চেংটু মিয়ার ভাই সায়েদ আলী (৩৫), আফছার মিয়া (৫৫) সহিদ কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে চেংটু মিয়ার স্ত্রী আকাশী বেগম নিজে মাটিতে পরে গিয়ে মাথায় আঘাত পায়। উক্ত ঘটনার জের ধরে বুধবার (২০ জুন) দুপুরে মোস্তাফিজুর রহমানের উপর হামলা হয়।
ঘটনার পরে রাত অনুমানিক ১০.০০ টার দিকে মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে সেলিম শেখ (৩২) বাদী হয়ে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে ও কয়েকজনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে একটু অভিযোগ করে থানায়।
পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) কে.এম আজমিরুজ্জামান বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।