আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগের পূর্ব নির্ধারিত শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বিএনপি অতর্কিত হামলা চালিয়ে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে।
আজ শনিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপি গণতন্ত্রের নামে, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বরাবরের মতো সন্ত্রাস, নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত হয়েছে। সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচির নামে আজ সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে বিএনপির সশস্ত্র ক্যাডারবাহিনী। ’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, হত্যা, ক্যু, সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে বন্দুকের নলের মুখে অবৈধ ও অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা দখলকারী স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের হাতে জন্ম নেওয়া বিএনপিই হলো এ দেশের গণতান্ত্রিক বিকাশ ও অগ্রগতির প্রধান অন্তরায়।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী মতাদর্শের সংগঠন বিএনপি সব সময় হত্যা, খুন, ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত, রক্তপাত, উগ্রতা, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসকে লালন-পালন, আশ্রয়-প্রশ্রয় এবং পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা ও সন্ত্রাসের ঘটনায় আজ আবারও তাদের সন্ত্রাসী চরিত্রের বর্হিপ্রকাশ ঘটেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কানাডার আদালতের রায়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপিই হলো এদেশের গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক সরকার ব্যবস্থার প্রধান অন্তরায়। বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ভ-ুল করার জন্য দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে অন্যদিকে সন্ত্রাস ও সহিংতার মাধ্যমে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ক্ষমতা দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত বর্তমান সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের আলোকে উদ্ভাসিত উদার গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি এবং উগ্রতা, জঙ্গিবাদ ও অগ্নিসন্ত্রাসীদের কোনো স্থান নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রের নামে বিএনপিকে আর ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের মতো অগ্নি সন্ত্রাস সৃষ্টি করে নিরীহ মানুষ হত্যার অপরাজনীতির সুযোগ দেওয়া হবে না। আগুন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেশের সকল গণতন্ত্রকামী-শান্তিকামী দেশপ্রেমিক জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে সক্রিয় থাকবে আওয়ামী লীগ।