শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

রাজিব হত্যা : রানাসহ দুজন রিমান্ডে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:১৭:০৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৭৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ব্লগার রাজিব হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রেদোয়ানুল আজাদ রানা ও আশরাফ নামে তার এক সহযোগীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা মহানগর হাকিম মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলামের আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা-পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম সন্ত্রাসবিরোধ আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
অপরদিকে আসামি রানার পক্ষে তার আইনজীবী হাফেজ আহমেদ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের শুনানি করেন। অপর আসামি আশরাফের পক্ষে আইনজীবী ছিল না।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিট তাদের গ্রেপ্তার করে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে পল্লবী থানা এলাকার ব্লগার রাজিব হায়দারকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল রেদোয়ানুল আজাদ রানা। ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর হত্যা মামলায় আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। তিনি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা বলেছেন, রাজীবকে হত্যার পর রেদোয়ানুল মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যান। তিনি আগে আল-কায়েদার মতাদর্শ অনুসরণকারী আনসারুল্লাহর সঙ্গে যুক্ত থাকলেও মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংগঠন আইএসের দিকে ঝুঁকে পড়েন। সিরিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তিনি ফিলিপাইনে আবু সায়াফ জঙ্গি দলের কাছে যাওয়ার সময় মালয়েশিয়ায় ধরা পড়েন।

সোমবার রেদোয়ানুল ও আশরাফ নামে তার এক সহযোগীকে দেশে ফেরত পাঠায় মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ। পরে উত্তরা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। ইউনিটটির  প্রধান মনিরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

রাজিব হত্যা : রানাসহ দুজন রিমান্ডে !

আপডেট সময় : ০৫:১৭:০৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ব্লগার রাজিব হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রেদোয়ানুল আজাদ রানা ও আশরাফ নামে তার এক সহযোগীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা মহানগর হাকিম মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলামের আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা-পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম সন্ত্রাসবিরোধ আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
অপরদিকে আসামি রানার পক্ষে তার আইনজীবী হাফেজ আহমেদ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের শুনানি করেন। অপর আসামি আশরাফের পক্ষে আইনজীবী ছিল না।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিট তাদের গ্রেপ্তার করে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে পল্লবী থানা এলাকার ব্লগার রাজিব হায়দারকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল রেদোয়ানুল আজাদ রানা। ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর হত্যা মামলায় আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। তিনি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা বলেছেন, রাজীবকে হত্যার পর রেদোয়ানুল মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যান। তিনি আগে আল-কায়েদার মতাদর্শ অনুসরণকারী আনসারুল্লাহর সঙ্গে যুক্ত থাকলেও মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংগঠন আইএসের দিকে ঝুঁকে পড়েন। সিরিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তিনি ফিলিপাইনে আবু সায়াফ জঙ্গি দলের কাছে যাওয়ার সময় মালয়েশিয়ায় ধরা পড়েন।

সোমবার রেদোয়ানুল ও আশরাফ নামে তার এক সহযোগীকে দেশে ফেরত পাঠায় মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ। পরে উত্তরা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। ইউনিটটির  প্রধান মনিরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।