শিরোনাম :
Logo হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ Logo কচুয়ায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর Logo চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ Logo দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার

বহু মানুষের অস্বাভাবিক মৃত্যু রুখে দিয়েছেন যিনি !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১০:৫৮:৫৬ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৭৬০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

চীনের নাগরিক চেন সি (৪৮ ) যে ভাবে তার উইকেন্ডগুলো কাটান, তা জানার পর আমাদের অবাক লাগতে পারে! জানা যায়, কর্মক্ষেত্রে নিয়মকানুনের কড়াকড়ির ব্যাপারে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে চীন। দিনের পর দিন কঠোর নিয়মের বেড়াজালে বন্দি থাকার ফলে মানসিক অবসাদে ভোগেন, এমন মানুষের সংখ্যাও চীনে কম নয়। স্বাভাবিকভাবেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন অনেকেই। এজন্য সেখানকার বহুতল অফিসগুলির বাইরে অনেক সময় নেট’র জাল বিছানো থাকে, যাতে ছাদ থেকে কেউ নীচে ঝাঁপ দিলেও বেঁচে যায়। শুধু অফিস বিল্ডিংগুলি নয়, ইয়াংসি নদীর উপর অবস্থিত নানকিং ইয়াংসি ব্রিজটি থেকেও অনেকে আত্মহত্যা করেছে। এটি তৈরি হয়েছিল ১৯৬৮ সালে। ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রায় ২০০০-এর বেশি মানুষ আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে এই ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিয়েছে নদীর পানিতে।

চীনের নাগরিক চেন সি অনবরত চেষ্টা করে চলেছেন এই সংখ্যাটা যাতে ভবিষ্যতে আর না বাড়ে। তিনি প্রতি সপ্তাহে ছুটি পেলেই চলে আসেন এই ব্রিজে। যাঁরা আত্মহত্যা করতে এখানে আসেন, তাদের বাঁচান। মৃত্যুর দরজা থেকে আবার ফিরিয়ে দেন জীবনের পথে। গত ১৩ বছর ধরে এই করেই তিনি অতিবাহিত করছেন তার উইকেন্ডগুলি। এ যাবত ৩০০ এর বেশি মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন তিনি। প্রত্যেকবার যখনই তিনি দেখেন কেউ লাফ দিতে যাচ্ছেন, সঙ্গে সঙ্গে পিছন থেকে গিয়ে জাপটে ধরেন তাকে। এমনকি প্রাণ বাঁচানোর পরে অনেক সময়ে তাঁদের থাকার বন্দোবস্তও করে দিতে হয় চেন-কে। যেহেতু পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, যারা এই পর্যন্ত ব্রিজে গেছে আত্মহত্যা করতে, তাদের অধিকাংশই নিম্নবিত্ত। অভাবগ্রস্ত জীবন নিয়ে তারা হতাশ। চেন চেষ্টা করেন সেই সমস্ত মানুষের জীবনের অভাবজনিত হতাশা দূর করতে।

সম্প্রতি  একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চেন জানিয়েছেন, তিনি নিজেও একসময় অবসাদে ভুগতেন নিজের পেশা নিয়ে। জীবন নিয়েও হতাশ থাকতেন অধিকাংশ সময়ে। সে সময় এক সহৃদয় ব্যক্তি তাকে সাহায্য করেন। তার থেকে উৎসাহ পেয়েই চেন ঘুরে দাঁড়ান। পরবর্তীকালে একটি ব্যবসা শুরু করেন এবং বিয়েও করেন। বর্তমানে তার একটি মেয়ে রয়েছে। তার কথায়, একা থাকতে থাকতে এমন কিছু সময় আসে, যখন জীবনটা দুর্বিষহ লাগে। ঠিক ওই সময়ে অন্যদের থেকে একটু উৎসাহ দরকার।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ

বহু মানুষের অস্বাভাবিক মৃত্যু রুখে দিয়েছেন যিনি !

আপডেট সময় : ১০:৫৮:৫৬ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

চীনের নাগরিক চেন সি (৪৮ ) যে ভাবে তার উইকেন্ডগুলো কাটান, তা জানার পর আমাদের অবাক লাগতে পারে! জানা যায়, কর্মক্ষেত্রে নিয়মকানুনের কড়াকড়ির ব্যাপারে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে চীন। দিনের পর দিন কঠোর নিয়মের বেড়াজালে বন্দি থাকার ফলে মানসিক অবসাদে ভোগেন, এমন মানুষের সংখ্যাও চীনে কম নয়। স্বাভাবিকভাবেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন অনেকেই। এজন্য সেখানকার বহুতল অফিসগুলির বাইরে অনেক সময় নেট’র জাল বিছানো থাকে, যাতে ছাদ থেকে কেউ নীচে ঝাঁপ দিলেও বেঁচে যায়। শুধু অফিস বিল্ডিংগুলি নয়, ইয়াংসি নদীর উপর অবস্থিত নানকিং ইয়াংসি ব্রিজটি থেকেও অনেকে আত্মহত্যা করেছে। এটি তৈরি হয়েছিল ১৯৬৮ সালে। ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রায় ২০০০-এর বেশি মানুষ আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে এই ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিয়েছে নদীর পানিতে।

চীনের নাগরিক চেন সি অনবরত চেষ্টা করে চলেছেন এই সংখ্যাটা যাতে ভবিষ্যতে আর না বাড়ে। তিনি প্রতি সপ্তাহে ছুটি পেলেই চলে আসেন এই ব্রিজে। যাঁরা আত্মহত্যা করতে এখানে আসেন, তাদের বাঁচান। মৃত্যুর দরজা থেকে আবার ফিরিয়ে দেন জীবনের পথে। গত ১৩ বছর ধরে এই করেই তিনি অতিবাহিত করছেন তার উইকেন্ডগুলি। এ যাবত ৩০০ এর বেশি মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন তিনি। প্রত্যেকবার যখনই তিনি দেখেন কেউ লাফ দিতে যাচ্ছেন, সঙ্গে সঙ্গে পিছন থেকে গিয়ে জাপটে ধরেন তাকে। এমনকি প্রাণ বাঁচানোর পরে অনেক সময়ে তাঁদের থাকার বন্দোবস্তও করে দিতে হয় চেন-কে। যেহেতু পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, যারা এই পর্যন্ত ব্রিজে গেছে আত্মহত্যা করতে, তাদের অধিকাংশই নিম্নবিত্ত। অভাবগ্রস্ত জীবন নিয়ে তারা হতাশ। চেন চেষ্টা করেন সেই সমস্ত মানুষের জীবনের অভাবজনিত হতাশা দূর করতে।

সম্প্রতি  একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চেন জানিয়েছেন, তিনি নিজেও একসময় অবসাদে ভুগতেন নিজের পেশা নিয়ে। জীবন নিয়েও হতাশ থাকতেন অধিকাংশ সময়ে। সে সময় এক সহৃদয় ব্যক্তি তাকে সাহায্য করেন। তার থেকে উৎসাহ পেয়েই চেন ঘুরে দাঁড়ান। পরবর্তীকালে একটি ব্যবসা শুরু করেন এবং বিয়েও করেন। বর্তমানে তার একটি মেয়ে রয়েছে। তার কথায়, একা থাকতে থাকতে এমন কিছু সময় আসে, যখন জীবনটা দুর্বিষহ লাগে। ঠিক ওই সময়ে অন্যদের থেকে একটু উৎসাহ দরকার।