শিরোনাম :
Logo দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালিত Logo জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করেছে ধানমন্ডি থানা যুবদল Logo চুয়াডাঙ্গায় দ্রুতগতির আলমসাধুর ধাক্কায় প্রাণ গেল অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারির Logo বোদা গরুর হাটে অতিরিক্ত টাকা আদায় অভিযোগে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা Logo বিএনসিসি স্কোয়াড্রনে সিইউও পদে পদোন্নতি পেলেন রাবির নাছিম উদ্দিন Logo জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পাশে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন চাঁসক শাখা Logo পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে আইনি প্রক্রিয়ায় আটকে আছে বৃদ্ধের ময়নাতদন্ত, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন Logo ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন জনগণের দাবি: সালাহউদ্দিন Logo আগে বিচার এরপর সংস্কার ও নির্বাচন: মুজিবুর রহমান

উইন্টার কেয়ার !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৪:০৯:০৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৮১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ত্বককে সুরক্ষা দেয়ার জন্য বাজারে বহু পণ্য পাওয়া যায়। তবে রাসায়নিক উপাদানে তৈরি এসব পণ্যের বাইরে প্রাকৃতিক উপাদানে ত্বকের যত্ন নেয়ার বিষয়টি এখনো মেয়েদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়। শীতের রুক্ষ ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপাদানে তৈরি কিছু ফেস মাস্কের বিষয়ে জানানো হলো। এই শীতে এগুলো আপনার ত্বকের যত্নে খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

দুধের প্যাক
ক্লান্ত ত্বকের জন্য এই প্যাক খুবই উপকারী। দুধের সাথে অল্প টকদই মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ চোখের চারপাশ ছাড়া মুখের বাকি অংশে লাগিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। এই মাস্ক আপনার ত্বককে করবে কোমল, ত্বকের ক্লান্তি দূর করবে এবং পিএইচ ব্যালেন্স বজায় রাখবে। শীতের রুক্ষতা থেকে ত্বককে দেবে সুরক্ষা।

ডিমের মাস্ক
একটা ডিমের সাদা অংশ আলাদা করে নিন। এবার এই ডিম ভালোভাবে ফেটে মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধঘণ্টা পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই মাস্ক খুবই উপকারী। এই মাস্ক ত্বককে করবে সতেজ ও টানটান। ত্বককে করবে আরো উজ্জ্বল। শীতের এই সময়ে আলাদা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে ডিমের এই মাস্ক। অন্য দিকে যাদের ত্বক শুষ্ক তারা ডিমের কুসুমের সাথে দুই চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে একইভাবে প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ডিমের কুসুম শুষ্ক ত্বকের জন্য খুবই ভালো।

ওটমিল মাস্ক
শীতে ত্বকের সুরক্ষায় খুবই ভালো কাজ করে এই মাস্ক। দুই টেবিল চামচ ওটমিল, দুই টেবিল চামচ ডিমের কুসুম ও দুই টেবিল চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টা। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক হবে কোমল, মসৃণ ও দাগমুক্ত।

কলার মাস্ক
মিশ্র ত্বকের জন্য এই শীতে কলার মাস্ক খুবই উপকারী। কলা চটকে তাতে গুঁড়া দুধ মিশিয়ে দিন। এরপর মুখে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এই মাস্ক ত্বকে পুষ্টি জোগাবে তাই ত্বক হবে উজ্জ্বল ও পেলব। শীতের শুষ্কতা থেকে ত্বককে সুরক্ষা দিতে এই মাস্ক খুবই কার্যকর। দুধের বদলে কলার সাথে মাখনও দিতে পারেন। কলার এই প্যাক ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে খুবই ভালো কাজ করে।

মধু ও গোলাপ জল
এক টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ গোলাপ জল ভালোভাবে ফেটে সারা মুখে লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। মধু ত্বকে ময়শ্চারাইজিংয়ের কাজ করবে আর গোলাপ জল টোনিংয়ের কাজ করে দেবে।

গাজর, মধু ও দইয়ের মাস্ক
গাজর বাটা দুই টেবিল চামচ, এক চামচ মধু ও দুই চামচ টকদই একসাথে ভালোভাবে ফেটে নিন। এবার এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে রাখুন আধঘণ্টা। শুকিয়ে এলে ধুয়ে ফেলুন। দাগ দূর করতে এবং ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করবে এই মাস্ক।
ঘরোয়া উপাদানে তৈরি এসব মাস্ক ত্বকে জোগায় ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। যা শীতের রুক্ষতা দূর করার পাশাপাশি ত্বককে করবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, মসৃণ ও সুন্দর।

ট্যাগস :

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

উইন্টার কেয়ার !

আপডেট সময় : ০৪:০৯:০৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

ত্বককে সুরক্ষা দেয়ার জন্য বাজারে বহু পণ্য পাওয়া যায়। তবে রাসায়নিক উপাদানে তৈরি এসব পণ্যের বাইরে প্রাকৃতিক উপাদানে ত্বকের যত্ন নেয়ার বিষয়টি এখনো মেয়েদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়। শীতের রুক্ষ ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপাদানে তৈরি কিছু ফেস মাস্কের বিষয়ে জানানো হলো। এই শীতে এগুলো আপনার ত্বকের যত্নে খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

দুধের প্যাক
ক্লান্ত ত্বকের জন্য এই প্যাক খুবই উপকারী। দুধের সাথে অল্প টকদই মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ চোখের চারপাশ ছাড়া মুখের বাকি অংশে লাগিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। এই মাস্ক আপনার ত্বককে করবে কোমল, ত্বকের ক্লান্তি দূর করবে এবং পিএইচ ব্যালেন্স বজায় রাখবে। শীতের রুক্ষতা থেকে ত্বককে দেবে সুরক্ষা।

ডিমের মাস্ক
একটা ডিমের সাদা অংশ আলাদা করে নিন। এবার এই ডিম ভালোভাবে ফেটে মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধঘণ্টা পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই মাস্ক খুবই উপকারী। এই মাস্ক ত্বককে করবে সতেজ ও টানটান। ত্বককে করবে আরো উজ্জ্বল। শীতের এই সময়ে আলাদা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে ডিমের এই মাস্ক। অন্য দিকে যাদের ত্বক শুষ্ক তারা ডিমের কুসুমের সাথে দুই চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে একইভাবে প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ডিমের কুসুম শুষ্ক ত্বকের জন্য খুবই ভালো।

ওটমিল মাস্ক
শীতে ত্বকের সুরক্ষায় খুবই ভালো কাজ করে এই মাস্ক। দুই টেবিল চামচ ওটমিল, দুই টেবিল চামচ ডিমের কুসুম ও দুই টেবিল চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টা। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক হবে কোমল, মসৃণ ও দাগমুক্ত।

কলার মাস্ক
মিশ্র ত্বকের জন্য এই শীতে কলার মাস্ক খুবই উপকারী। কলা চটকে তাতে গুঁড়া দুধ মিশিয়ে দিন। এরপর মুখে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এই মাস্ক ত্বকে পুষ্টি জোগাবে তাই ত্বক হবে উজ্জ্বল ও পেলব। শীতের শুষ্কতা থেকে ত্বককে সুরক্ষা দিতে এই মাস্ক খুবই কার্যকর। দুধের বদলে কলার সাথে মাখনও দিতে পারেন। কলার এই প্যাক ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে খুবই ভালো কাজ করে।

মধু ও গোলাপ জল
এক টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ গোলাপ জল ভালোভাবে ফেটে সারা মুখে লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। মধু ত্বকে ময়শ্চারাইজিংয়ের কাজ করবে আর গোলাপ জল টোনিংয়ের কাজ করে দেবে।

গাজর, মধু ও দইয়ের মাস্ক
গাজর বাটা দুই টেবিল চামচ, এক চামচ মধু ও দুই চামচ টকদই একসাথে ভালোভাবে ফেটে নিন। এবার এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে রাখুন আধঘণ্টা। শুকিয়ে এলে ধুয়ে ফেলুন। দাগ দূর করতে এবং ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করবে এই মাস্ক।
ঘরোয়া উপাদানে তৈরি এসব মাস্ক ত্বকে জোগায় ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। যা শীতের রুক্ষতা দূর করার পাশাপাশি ত্বককে করবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, মসৃণ ও সুন্দর।