শিরোনাম :
Logo হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ Logo কচুয়ায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর Logo চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ Logo দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার

উইন্টার কেয়ার !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৪:০৯:০৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৭০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ত্বককে সুরক্ষা দেয়ার জন্য বাজারে বহু পণ্য পাওয়া যায়। তবে রাসায়নিক উপাদানে তৈরি এসব পণ্যের বাইরে প্রাকৃতিক উপাদানে ত্বকের যত্ন নেয়ার বিষয়টি এখনো মেয়েদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়। শীতের রুক্ষ ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপাদানে তৈরি কিছু ফেস মাস্কের বিষয়ে জানানো হলো। এই শীতে এগুলো আপনার ত্বকের যত্নে খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

দুধের প্যাক
ক্লান্ত ত্বকের জন্য এই প্যাক খুবই উপকারী। দুধের সাথে অল্প টকদই মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ চোখের চারপাশ ছাড়া মুখের বাকি অংশে লাগিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। এই মাস্ক আপনার ত্বককে করবে কোমল, ত্বকের ক্লান্তি দূর করবে এবং পিএইচ ব্যালেন্স বজায় রাখবে। শীতের রুক্ষতা থেকে ত্বককে দেবে সুরক্ষা।

ডিমের মাস্ক
একটা ডিমের সাদা অংশ আলাদা করে নিন। এবার এই ডিম ভালোভাবে ফেটে মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধঘণ্টা পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই মাস্ক খুবই উপকারী। এই মাস্ক ত্বককে করবে সতেজ ও টানটান। ত্বককে করবে আরো উজ্জ্বল। শীতের এই সময়ে আলাদা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে ডিমের এই মাস্ক। অন্য দিকে যাদের ত্বক শুষ্ক তারা ডিমের কুসুমের সাথে দুই চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে একইভাবে প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ডিমের কুসুম শুষ্ক ত্বকের জন্য খুবই ভালো।

ওটমিল মাস্ক
শীতে ত্বকের সুরক্ষায় খুবই ভালো কাজ করে এই মাস্ক। দুই টেবিল চামচ ওটমিল, দুই টেবিল চামচ ডিমের কুসুম ও দুই টেবিল চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টা। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক হবে কোমল, মসৃণ ও দাগমুক্ত।

কলার মাস্ক
মিশ্র ত্বকের জন্য এই শীতে কলার মাস্ক খুবই উপকারী। কলা চটকে তাতে গুঁড়া দুধ মিশিয়ে দিন। এরপর মুখে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এই মাস্ক ত্বকে পুষ্টি জোগাবে তাই ত্বক হবে উজ্জ্বল ও পেলব। শীতের শুষ্কতা থেকে ত্বককে সুরক্ষা দিতে এই মাস্ক খুবই কার্যকর। দুধের বদলে কলার সাথে মাখনও দিতে পারেন। কলার এই প্যাক ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে খুবই ভালো কাজ করে।

মধু ও গোলাপ জল
এক টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ গোলাপ জল ভালোভাবে ফেটে সারা মুখে লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। মধু ত্বকে ময়শ্চারাইজিংয়ের কাজ করবে আর গোলাপ জল টোনিংয়ের কাজ করে দেবে।

গাজর, মধু ও দইয়ের মাস্ক
গাজর বাটা দুই টেবিল চামচ, এক চামচ মধু ও দুই চামচ টকদই একসাথে ভালোভাবে ফেটে নিন। এবার এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে রাখুন আধঘণ্টা। শুকিয়ে এলে ধুয়ে ফেলুন। দাগ দূর করতে এবং ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করবে এই মাস্ক।
ঘরোয়া উপাদানে তৈরি এসব মাস্ক ত্বকে জোগায় ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। যা শীতের রুক্ষতা দূর করার পাশাপাশি ত্বককে করবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, মসৃণ ও সুন্দর।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ

উইন্টার কেয়ার !

আপডেট সময় : ০৪:০৯:০৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

ত্বককে সুরক্ষা দেয়ার জন্য বাজারে বহু পণ্য পাওয়া যায়। তবে রাসায়নিক উপাদানে তৈরি এসব পণ্যের বাইরে প্রাকৃতিক উপাদানে ত্বকের যত্ন নেয়ার বিষয়টি এখনো মেয়েদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়। শীতের রুক্ষ ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপাদানে তৈরি কিছু ফেস মাস্কের বিষয়ে জানানো হলো। এই শীতে এগুলো আপনার ত্বকের যত্নে খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

দুধের প্যাক
ক্লান্ত ত্বকের জন্য এই প্যাক খুবই উপকারী। দুধের সাথে অল্প টকদই মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ চোখের চারপাশ ছাড়া মুখের বাকি অংশে লাগিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। এই মাস্ক আপনার ত্বককে করবে কোমল, ত্বকের ক্লান্তি দূর করবে এবং পিএইচ ব্যালেন্স বজায় রাখবে। শীতের রুক্ষতা থেকে ত্বককে দেবে সুরক্ষা।

ডিমের মাস্ক
একটা ডিমের সাদা অংশ আলাদা করে নিন। এবার এই ডিম ভালোভাবে ফেটে মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধঘণ্টা পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই মাস্ক খুবই উপকারী। এই মাস্ক ত্বককে করবে সতেজ ও টানটান। ত্বককে করবে আরো উজ্জ্বল। শীতের এই সময়ে আলাদা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে ডিমের এই মাস্ক। অন্য দিকে যাদের ত্বক শুষ্ক তারা ডিমের কুসুমের সাথে দুই চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে একইভাবে প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ডিমের কুসুম শুষ্ক ত্বকের জন্য খুবই ভালো।

ওটমিল মাস্ক
শীতে ত্বকের সুরক্ষায় খুবই ভালো কাজ করে এই মাস্ক। দুই টেবিল চামচ ওটমিল, দুই টেবিল চামচ ডিমের কুসুম ও দুই টেবিল চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টা। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক হবে কোমল, মসৃণ ও দাগমুক্ত।

কলার মাস্ক
মিশ্র ত্বকের জন্য এই শীতে কলার মাস্ক খুবই উপকারী। কলা চটকে তাতে গুঁড়া দুধ মিশিয়ে দিন। এরপর মুখে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এই মাস্ক ত্বকে পুষ্টি জোগাবে তাই ত্বক হবে উজ্জ্বল ও পেলব। শীতের শুষ্কতা থেকে ত্বককে সুরক্ষা দিতে এই মাস্ক খুবই কার্যকর। দুধের বদলে কলার সাথে মাখনও দিতে পারেন। কলার এই প্যাক ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে খুবই ভালো কাজ করে।

মধু ও গোলাপ জল
এক টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ গোলাপ জল ভালোভাবে ফেটে সারা মুখে লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। মধু ত্বকে ময়শ্চারাইজিংয়ের কাজ করবে আর গোলাপ জল টোনিংয়ের কাজ করে দেবে।

গাজর, মধু ও দইয়ের মাস্ক
গাজর বাটা দুই টেবিল চামচ, এক চামচ মধু ও দুই চামচ টকদই একসাথে ভালোভাবে ফেটে নিন। এবার এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে রাখুন আধঘণ্টা। শুকিয়ে এলে ধুয়ে ফেলুন। দাগ দূর করতে এবং ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করবে এই মাস্ক।
ঘরোয়া উপাদানে তৈরি এসব মাস্ক ত্বকে জোগায় ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। যা শীতের রুক্ষতা দূর করার পাশাপাশি ত্বককে করবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, মসৃণ ও সুন্দর।