শিরোনাম :
Logo মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে Logo স্বর্ণের দামে সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস Logo দুবাইয়ে বিগ টিকিট লটারি জিতে লাখপতি দুই বাংলাদেশি Logo বাবা হলেন যুক্তরাষ্ট্রে আটক খলিল, দেখতে পারলেন না সদ্যোজাত সন্তানের মুখ Logo এটিএম আজহার মুক্তি না পাওয়ায় আমরা ব্যথিত, তবে হতাশ নই Logo আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ ৩ বিচারপতি থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পক্ষে বিএনপি Logo ধর্ম নিরপেক্ষতা বিলুপ্তে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে একমত বিএনপি Logo হঠাৎ বৃষ্টিতে চাঁদপুর শহরের মুসলিম কবরস্থান রোড এলাকা সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী Logo ইনসাফের আকাঙ্ক্ষা থেকেই চব্বিশের লড়াই:ব্যারিস্টার ফুয়াদ Logo ইবিতে বিভাগের নাম পরিবর্তসহ দুই দফা দাবিতে প্রশাসন ভবন অবরোধ

অবকাঠামো ও পদোন্নতিসহ নানা সমস্যা বিচারকদের!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১০:৫৩:১০ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

নিম্ন আদালতের বিচারকদের অবকাঠামোগত ও পদোন্নতিসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনলেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। এসব সমস্যাসমূহ সমাধানের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে উত্থাপন করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বিচারকদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, আগামী বছর হবে আদালত ও জনগণের অধিকার রক্ষার বছর।

গতকাল শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের সদস্য ড. গোলাম মুর্তজা মজুমদার ১১ দফা পেশ করেন। এর মধ্যে অন্যতম, সহকারী জজ ও যুগ্ম জেলা জজ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ সকল পূর্বশর্ত পূরণপূর্বক পদোন্নতিপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট পদের বেতন পাচ্ছেন না। তাদেরকে পূর্ববর্তী নিম্ন পদের বেতন নিতে হচ্ছে। দ্বৈত শাসন পদ্ধতির ফলে বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতি প্রায়শ স্থবির অথবা অস্বাভাবিকভাবে বিলম্বিত হয়ে থাকে। এতে সংশ্লিষ্ট বিচারক ও বিচার প্রার্থীরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হন। এ সমস্যার গ্রহণযোগ্য সমাধানের জন্য প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
এদিকে বিকালে কর্ম অধিবেশনে নিম্ন আদালতের বিভিন্ন পর্যায়ের দশজন বিচারক তাদের সমস্যাসমূহ প্রধান বিচারপতির সামনে তুলে ধরেন। বিচারকরা বলেন, বিচার বিভাগ পৃথককরণের পর দীর্ঘ নয় বছরেও ম্যাজিস্ট্রেসির জন্য পৃথক ভবন নির্মিত হয়নি। যথাসময়ে ভবনের কাজ শেষ না হওয়ায় বিচারকগণকে এখনও এজলাস ভাগাভাগি করে বিচার কাজ পরিচালনা করতে হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিচারকের পদোন্নতির জি.ও. জারি না করেই জ্যেষ্ঠতার তালিকায় জুনিয়র কর্মকর্তাদের পদোন্নতির আদেশ জারি করার মতো দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাও ঘটেছে। যা বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ইতিহাসে নজিরবিহীন। ভবিষ্যতে যাতে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে কোনো কর্মকর্তার পদোন্নতির জি.ও. জারি করা না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সদয় বিবেচনার অনুরোধ করেন তারা।
এ ছাড়া প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত বিশেষ অগ্রিম এবং গাড়ি সেবা নগদায়ণ নীতিমালা, ২০১৪ অনুযায়ী সরকারের যুগ্ম সচিব ও ইকোনোমিক ক্যাডারের যুগ্ম প্রধান পর্যন্ত এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব (ড্রাফটিং) হতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণকে সুদমুক্ত ২৫ লাখ টাকা বিশেষ অগ্রিম এবং গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে ৪৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো পর্যায়ের বিচারককেই এই সুবিধা দেওয়া হয়নি। বিচারকগণের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা নিশ্চিতকল্পে জনস্বার্থে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের ন্যায়, সুদমুক্ত বিশেষ অগ্রিম এবং গাড়ি সেবা নগদায়ণ নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান বিচারকরা।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে

অবকাঠামো ও পদোন্নতিসহ নানা সমস্যা বিচারকদের!

আপডেট সময় : ১০:৫৩:১০ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

নিম্ন আদালতের বিচারকদের অবকাঠামোগত ও পদোন্নতিসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনলেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। এসব সমস্যাসমূহ সমাধানের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে উত্থাপন করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বিচারকদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, আগামী বছর হবে আদালত ও জনগণের অধিকার রক্ষার বছর।

গতকাল শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের সদস্য ড. গোলাম মুর্তজা মজুমদার ১১ দফা পেশ করেন। এর মধ্যে অন্যতম, সহকারী জজ ও যুগ্ম জেলা জজ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ সকল পূর্বশর্ত পূরণপূর্বক পদোন্নতিপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট পদের বেতন পাচ্ছেন না। তাদেরকে পূর্ববর্তী নিম্ন পদের বেতন নিতে হচ্ছে। দ্বৈত শাসন পদ্ধতির ফলে বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতি প্রায়শ স্থবির অথবা অস্বাভাবিকভাবে বিলম্বিত হয়ে থাকে। এতে সংশ্লিষ্ট বিচারক ও বিচার প্রার্থীরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হন। এ সমস্যার গ্রহণযোগ্য সমাধানের জন্য প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
এদিকে বিকালে কর্ম অধিবেশনে নিম্ন আদালতের বিভিন্ন পর্যায়ের দশজন বিচারক তাদের সমস্যাসমূহ প্রধান বিচারপতির সামনে তুলে ধরেন। বিচারকরা বলেন, বিচার বিভাগ পৃথককরণের পর দীর্ঘ নয় বছরেও ম্যাজিস্ট্রেসির জন্য পৃথক ভবন নির্মিত হয়নি। যথাসময়ে ভবনের কাজ শেষ না হওয়ায় বিচারকগণকে এখনও এজলাস ভাগাভাগি করে বিচার কাজ পরিচালনা করতে হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিচারকের পদোন্নতির জি.ও. জারি না করেই জ্যেষ্ঠতার তালিকায় জুনিয়র কর্মকর্তাদের পদোন্নতির আদেশ জারি করার মতো দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাও ঘটেছে। যা বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ইতিহাসে নজিরবিহীন। ভবিষ্যতে যাতে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে কোনো কর্মকর্তার পদোন্নতির জি.ও. জারি করা না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সদয় বিবেচনার অনুরোধ করেন তারা।
এ ছাড়া প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত বিশেষ অগ্রিম এবং গাড়ি সেবা নগদায়ণ নীতিমালা, ২০১৪ অনুযায়ী সরকারের যুগ্ম সচিব ও ইকোনোমিক ক্যাডারের যুগ্ম প্রধান পর্যন্ত এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব (ড্রাফটিং) হতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণকে সুদমুক্ত ২৫ লাখ টাকা বিশেষ অগ্রিম এবং গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে ৪৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো পর্যায়ের বিচারককেই এই সুবিধা দেওয়া হয়নি। বিচারকগণের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা নিশ্চিতকল্পে জনস্বার্থে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের ন্যায়, সুদমুক্ত বিশেষ অগ্রিম এবং গাড়ি সেবা নগদায়ণ নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান বিচারকরা।