শুক্রবার | ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo নোবিপ্রবির মেগা প্রকল্প সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চায় ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী Logo খুবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৯৭ পরিক্ষার্থী  Logo টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার Logo খুবিতে ইউনেস্কো ও ইউজিসির উদ্যোগে পিয়ার-টু-পিয়ার ওরিয়েন্টেশন Logo সাতক্ষীরা–কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে

ইরানের ৯০ শতাংশ তেল রপ্তানি বন্ধের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র

ইরানের তেল রপ্তানি কমিয়ে ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ট্রাম্প প্রশাসন সর্বাধিক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে ইরানের তেল বাণিজ্য সীমিত করতে চায়।

গত শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন গণমাধ্যম ফক্স বিজনেস-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ইরান প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ১৬ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে থাকে, যা ১ লাখ ব্যারেলে নামিয়ে আনতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে পরমাণু খাতে অগ্রসর হওয়া থেকে বিরত রাখতে সর্বাধিক অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের নির্দেশ দেন। ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে এই পরিকল্পনা নিয়েছিলেন এবং তখনকার নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরানের তেল রপ্তানি ২০১৭ সালের ৩০ লাখ ব্যারেল থেকে ২০১৯ সালে ৪ লাখ ব্যারেলে নেমে আসে।

২০১৫ সালের যৌথ সমন্বিত কর্ম পরিকল্পনা (জেসিপিওএ) থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে আসার পর ওয়াশিংটন ইরানের ওপর সর্বাধিক চাপ প্রয়োগের নীতি গ্রহণ করে। নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য ছিল ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা।

ট্রেজারি সেক্রেটারি বেসেন্ট বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, ওয়াশিংটন ইরানের ওপর সর্বাধিক অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগে সক্ষম। যদি আমরা ইরানকে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে পারি, তাহলে তারা গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে।”

তিনি আরও দাবি করেন, ইরানের তেল রপ্তানি থেকে প্রাপ্ত অর্থ “সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড” অর্থায়নে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া, ইরানের উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও বিশাল বাজেট ঘাটতির বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি।

ট্রাম্পের নির্দেশনার পর যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে তিনটি তেল ট্যাংকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বেসেন্ট বলেন, “প্রয়োজনে রাশিয়ান শক্তির ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়ানো হবে।”

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবে না, যদি না চীন ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এ বিষয়ে বেসেন্ট বলেন, “চীন, সম্ভবত ভারতও নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ইরানি তেল কিনছে, যা মেনে নেওয়া হবে না।”

ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে নতুন একটি চুক্তির আশা করলেও, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বান আরাগচি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “সর্বাধিক চাপের নীতির অধীনে কোনো আলোচনাই সম্ভব নয়।”

তিনি বলেন, “আলোচনা দুর্বল অবস্থান থেকে পরিচালিত হতে পারে না। কারণ এটি আলোচনার বদলে আত্মসমর্পণের শামিল হবে, যা ইরান কখনোই মেনে নেবে না।”

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নোবিপ্রবির মেগা প্রকল্প সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চায় ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী

ইরানের ৯০ শতাংশ তেল রপ্তানি বন্ধের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় : ০৪:৫০:০১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ইরানের তেল রপ্তানি কমিয়ে ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ট্রাম্প প্রশাসন সর্বাধিক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে ইরানের তেল বাণিজ্য সীমিত করতে চায়।

গত শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন গণমাধ্যম ফক্স বিজনেস-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ইরান প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ১৬ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে থাকে, যা ১ লাখ ব্যারেলে নামিয়ে আনতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে পরমাণু খাতে অগ্রসর হওয়া থেকে বিরত রাখতে সর্বাধিক অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের নির্দেশ দেন। ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে এই পরিকল্পনা নিয়েছিলেন এবং তখনকার নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরানের তেল রপ্তানি ২০১৭ সালের ৩০ লাখ ব্যারেল থেকে ২০১৯ সালে ৪ লাখ ব্যারেলে নেমে আসে।

২০১৫ সালের যৌথ সমন্বিত কর্ম পরিকল্পনা (জেসিপিওএ) থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে আসার পর ওয়াশিংটন ইরানের ওপর সর্বাধিক চাপ প্রয়োগের নীতি গ্রহণ করে। নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য ছিল ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা।

ট্রেজারি সেক্রেটারি বেসেন্ট বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, ওয়াশিংটন ইরানের ওপর সর্বাধিক অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগে সক্ষম। যদি আমরা ইরানকে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে পারি, তাহলে তারা গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে।”

তিনি আরও দাবি করেন, ইরানের তেল রপ্তানি থেকে প্রাপ্ত অর্থ “সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড” অর্থায়নে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া, ইরানের উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও বিশাল বাজেট ঘাটতির বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি।

ট্রাম্পের নির্দেশনার পর যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে তিনটি তেল ট্যাংকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বেসেন্ট বলেন, “প্রয়োজনে রাশিয়ান শক্তির ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়ানো হবে।”

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবে না, যদি না চীন ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এ বিষয়ে বেসেন্ট বলেন, “চীন, সম্ভবত ভারতও নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ইরানি তেল কিনছে, যা মেনে নেওয়া হবে না।”

ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে নতুন একটি চুক্তির আশা করলেও, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বান আরাগচি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “সর্বাধিক চাপের নীতির অধীনে কোনো আলোচনাই সম্ভব নয়।”

তিনি বলেন, “আলোচনা দুর্বল অবস্থান থেকে পরিচালিত হতে পারে না। কারণ এটি আলোচনার বদলে আত্মসমর্পণের শামিল হবে, যা ইরান কখনোই মেনে নেবে না।”