পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক সার্জিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহর আজ শনিবারের রংপুর সফরকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এনিয়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাঁদের এ সফর প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভ করেছে।
শুক্রবার রাতে জাপার কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমানের নেতৃত্বে সেন্ট্রাল রোডস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার সেখানে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন নেতারা।
জানা যায়, আজ শনিবার আইজিপি ময়নুল ইসলাম শহীদ আবু সাঈদের বাড়ি পীরগঞ্জের বাবনপুরে যাবেন, সেখানে কবর জিয়ারত শেষে রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল হলরুমে সূধী সমাবেশ করবেন। সেখানে দুই সমন্বয়ক সার্জিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহর থাকার কথা রয়েছে।
জাপা নেতাদের অভিযোগ, প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সংলাপে জাতীয় পার্টিকে ডাকতে দেয়নি সমন্বয়করা। এই ঘটনায় সার্জিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে রংপুরে অবাঞ্ছিত করা হয়েছে। এর পরেও পুলিশপ্রধান ময়নুল ইসলাম প্রটোকল দিয়ে তাঁদের রংপুরে আনছেন।
কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে পুলিশ কমিশনার ও পুলিশপ্রধানকে দায়ী করবেন তারা। দলের ভাইস চেয়ারম্যান এসএম ইয়াসির বলেন, ‘জাতীয় পার্টি কথিত এই দুই সমন্বয়ককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। এরপরেও পুলিশ প্রধান তাদের রংপুরে আনছেন। তাদের এনে রংপুর জাতীয় পার্টিকে প্রশাসনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক অবস্থা তৈরি করছেন, মুখোমুখি করছেন। এজন্য দায়ী আইজিপি ও পুলিশ কমিশনার। আমরা প্রশাসনকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘আমরা শুনেছি ওই দুজন সমন্বয়ক পুলিশের আইজিপির সঙ্গে আসবেন, এটা দুঃখজনক ও পক্ষপাতমূলক আচরণ, যা কাউকে সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হচ্ছে। আমরা দাবি করবো যাতে করে তাদের রংপুরের মাটিতে আনা না হয়।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আলমগীর নয়ন বলেন, ‘জাতীয় পার্টির এই কর্মসূচির বিরুদ্ধে আমরা এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিইনি। আমরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেব।’ আরেক সমন্বয়ক ইমরান আহমেদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টি আসলে আমাদের কোনো হেডেক না। তাদের নিয়ে কোনো বক্তব্যও নাই।’
এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনার মজিত আলী বলেন, ‘সার্বিক বিষয়ে আমরা নজর রাখছি।’