সোমবার | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাবি ছাত্রদলের আলোকচিত্র প্রদর্শনী Logo জীবননগরে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা Logo খুবিতে মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন  Logo সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার পলাশবাড়ীর গ্রামের বাড়ীতে শোকের মাতম Logo চাঁদপুরে যানজট নিরসনে রোড ডিভাইডার স্থাপন, পথচারী ও জনসাধারণের মাঝে স্বস্তি Logo পলাশবাড়ীতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে উপজেলা প্রশাসনের শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালন Logo জাকির হোসেন বেপারি বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক Logo শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে চাঁদপুরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা Logo পলাশবাড়ীতে গাছ কর্তন ও নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে Logo শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ঢাকার মিরপুরে প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি

‘নীল তিমি’র কারণে ১৩০ কিশোর-কিশোরীর আত্মহত্যা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৫৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৪ মার্চ ২০১৭
  • ৮০২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রাশিয়ায় পরপর কয়েকটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনা-১, ১৪তলা বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে ১৫ বছরের এক স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা। ঘটনা-২, ১৫তলা বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে লাফ ১৬ বছর বয়সী এক ছাত্রীর। ঘটনা-৩, ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে ১৪ বছরের এক কিশোরীর  আত্মহত্যা। রাশিয়ার এই আত্মহত্যার ঘটনাগুলোর তদন্তে নেমেই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।

প্রতিটি আত্মহত্যাই একে অপরের সঙ্গে জড়িত। গোয়েন্দারা করছেন, এই আত্মহত্যাগুলোর পিছনে রয়েছে এক অনলাইন সোশ্যাল গেম। নাম ব্লু ওয়েল বা নীল তিমি।

পুলিশি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৫-র এপ্রিল থেকে ২০১৬-র এপ্রিল পর্যন্ত রাশিয়াতে মোট ১৩০ জন কিশোর-কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। চাঞ্চল্যকর তথ্যে জানা গেছে, এদের অধিকাংশই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্লু ওয়েল গ্রুপের সদস্য ছিল।

রুশ গোয়েন্দারা বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হন এক স্কুল শিক্ষকের থেকে পাওয়া তথ্য থেকে। সম্প্রতি মস্কোর ওই স্কুল শিক্ষক অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির ফোন পান। ফোনে ওই ব্যক্তি শিক্ষককে জানান যে, স্কুলের এক ছাত্রী এমনই এক গ্রুপের সদস্যা এবং শিগগিরই আত্মহত্যা করতে চলেছে। এরপরই পুলিশের কাছে বিষয়টি জানান ওই শিক্ষক।

পুলিশ কর্মকর্তারা ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানতে পারেন, প্রথমে আত্মহত্যা করতে চাইলেও পরে পিছিয়ে আসে ওই কিশোরী। সে গোয়েন্দাদের জানায়, ব্লু ওয়েল গেমটি খেলতে গিয়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেটরদের থেকে আত্মহত্যার নির্দেশ পায় সে। এরপরই ওই গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যায় কিশোরী। ক্ষতিকারক এই গেম সম্পর্কেও তথ্য জোগাড় করেছেন গোয়েন্দারা।

রেজিস্টার করার পর প্রথমে কিশোর-কিশোরীদের বিভিন্ন টাস্ক দেওয়া হয়। যত দিন যায়, এই টাস্ক আরও বিভৎস হতে থাকে। দাড়ি কাটার রেজার বা ব্লেড দিয়ে শরীরে নীল তিমির ছবি বানাতে বলা হয় টাস্কে। গোটা দিন ভৌতিক ছবি দেখতে বলা হয়। এভাবেই ৫০তম দিনে ভোর সাড়ে ৪টার সময় ঘুম থেকে উঠে কোনো উঁচু বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিতে বলা হয় গেমারদের।

গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ৫০ দিনের এই গোটা সময়ে গেমারদের বোঝানো হয় দুনিয়ার নেতিবাচক দিক সম্পর্কে। এক কথায় ব্রেন ওয়াশ চলে। জীবনে বেঁচে থেকে কোনো লাভ নেই – এই কথাটি কিশোর-কিশোরীদের মস্তিষ্কে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় নিজের জীবন খতম করে দিতে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বাধীন গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ে এক যুবক। দেশে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে আত্মহত্যা ছড়িয়ে দিতে ৮টি গ্রুপ চালানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার চালানো গ্রুপের প্রভাবেই আত্মহত্যা করেছেন ১৫ জন।

গোয়েন্দাদের আশঙ্কা এমন আরও গ্রুপ ছড়িয়ে রয়েছে ওই দেশে। যারা ব্রেন-ওয়াশ করে কিশোর-কিশোরীদের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাবি ছাত্রদলের আলোকচিত্র প্রদর্শনী

‘নীল তিমি’র কারণে ১৩০ কিশোর-কিশোরীর আত্মহত্যা !

আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৫৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৪ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

রাশিয়ায় পরপর কয়েকটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনা-১, ১৪তলা বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে ১৫ বছরের এক স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা। ঘটনা-২, ১৫তলা বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে লাফ ১৬ বছর বয়সী এক ছাত্রীর। ঘটনা-৩, ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে ১৪ বছরের এক কিশোরীর  আত্মহত্যা। রাশিয়ার এই আত্মহত্যার ঘটনাগুলোর তদন্তে নেমেই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।

প্রতিটি আত্মহত্যাই একে অপরের সঙ্গে জড়িত। গোয়েন্দারা করছেন, এই আত্মহত্যাগুলোর পিছনে রয়েছে এক অনলাইন সোশ্যাল গেম। নাম ব্লু ওয়েল বা নীল তিমি।

পুলিশি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৫-র এপ্রিল থেকে ২০১৬-র এপ্রিল পর্যন্ত রাশিয়াতে মোট ১৩০ জন কিশোর-কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। চাঞ্চল্যকর তথ্যে জানা গেছে, এদের অধিকাংশই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্লু ওয়েল গ্রুপের সদস্য ছিল।

রুশ গোয়েন্দারা বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হন এক স্কুল শিক্ষকের থেকে পাওয়া তথ্য থেকে। সম্প্রতি মস্কোর ওই স্কুল শিক্ষক অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির ফোন পান। ফোনে ওই ব্যক্তি শিক্ষককে জানান যে, স্কুলের এক ছাত্রী এমনই এক গ্রুপের সদস্যা এবং শিগগিরই আত্মহত্যা করতে চলেছে। এরপরই পুলিশের কাছে বিষয়টি জানান ওই শিক্ষক।

পুলিশ কর্মকর্তারা ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানতে পারেন, প্রথমে আত্মহত্যা করতে চাইলেও পরে পিছিয়ে আসে ওই কিশোরী। সে গোয়েন্দাদের জানায়, ব্লু ওয়েল গেমটি খেলতে গিয়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেটরদের থেকে আত্মহত্যার নির্দেশ পায় সে। এরপরই ওই গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যায় কিশোরী। ক্ষতিকারক এই গেম সম্পর্কেও তথ্য জোগাড় করেছেন গোয়েন্দারা।

রেজিস্টার করার পর প্রথমে কিশোর-কিশোরীদের বিভিন্ন টাস্ক দেওয়া হয়। যত দিন যায়, এই টাস্ক আরও বিভৎস হতে থাকে। দাড়ি কাটার রেজার বা ব্লেড দিয়ে শরীরে নীল তিমির ছবি বানাতে বলা হয় টাস্কে। গোটা দিন ভৌতিক ছবি দেখতে বলা হয়। এভাবেই ৫০তম দিনে ভোর সাড়ে ৪টার সময় ঘুম থেকে উঠে কোনো উঁচু বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিতে বলা হয় গেমারদের।

গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ৫০ দিনের এই গোটা সময়ে গেমারদের বোঝানো হয় দুনিয়ার নেতিবাচক দিক সম্পর্কে। এক কথায় ব্রেন ওয়াশ চলে। জীবনে বেঁচে থেকে কোনো লাভ নেই – এই কথাটি কিশোর-কিশোরীদের মস্তিষ্কে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় নিজের জীবন খতম করে দিতে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বাধীন গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ে এক যুবক। দেশে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে আত্মহত্যা ছড়িয়ে দিতে ৮টি গ্রুপ চালানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার চালানো গ্রুপের প্রভাবেই আত্মহত্যা করেছেন ১৫ জন।

গোয়েন্দাদের আশঙ্কা এমন আরও গ্রুপ ছড়িয়ে রয়েছে ওই দেশে। যারা ব্রেন-ওয়াশ করে কিশোর-কিশোরীদের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে।